About-Heart (49 )

হৃদয়ের কথা পর্ব-৪০; হৃদরোগীর খাবার-দাবার

28 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব-৪০; হৃদরোগীর খাবার-দাবার

হৃদয়ের কথা পর্ব-৪০; হৃদরোগীর খাবার-দাবার; ডাঃপার্থপ্রতিম।     শুধু প্রাণরক্ষা নয়, হৃদয়কে নীরোগ ও সাবলীল রাখতে খাদ্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যারা হৃদয়ের ওপর আসা ঝামেলা-ঝঞ্ঝাটকে প্রতিহত করতে চান, তাদের সুষম সঠিক খাবারের প্রতি সবার আগে দৃষ্টি দিতে হবে। খাদ্যের মধ্যে দিয়ে ছয়টি প্রধান পুষ্টি উপাদান আমাদের দেহে সরবরাহিত হয়। এগুলি হলো- প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও জল। এই উপাদানগুলি পরিমাণ মতো শরীরে না গেলেই দেখা দেয় বিপত্তি।     হৃদরোগ এড়াতে কী কী খাবেন না-     রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে তা করোনারি ধমনীর ভেতর অ্যাথেরোসক্লেরোসিসের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পাঁঠা-খাসির মাংস, বয়লার মুরগি, গো-মাংস (Beef), শূকরের মাংস (Pork) অর্থাৎ এসব রেডমিট খেলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরল বাড়তে থাকে। যাদের বয়স চল্লিশ বছরের কম তারা মাসে দু’একদিন রেডমিট খেতে পারেন। তবে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি ২০০ মিগ্রা/১০০ মিলি’র বেশি থাকে তখন রেডমিট খাওয়া একদম বদ্ধ। পরিবারের যদি হা...

continue reading →

হৃদয়ের কথা পর্ব-৩৪; হার্ট ফেল

28 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব-৩৪; হার্ট ফেল

হৃদয়ের কথা পর্ব-৩৪; হার্ট ফেল; ডাঃ পার্থপ্রতিম।     ব্যাপারটা পরীক্ষার পাশ ফেলের মতো। নির্দিষ্ট নম্বর না পেলেই ফেল। হৃদযন্ত্র থেকে সঠিক পরিমাণে রক্ত বেরিয়ে যেতে না পারলে তাকে বলে হার্ট ফেলিওর (Heart Failure)। আভিধানিকভাবে হার্ট ফেলিওর হলেও হার্ট ফেল নামেই বেশি পরিচিত। ডাক্তারি শাস্ত্রে প্রয়োজনের তুলনায় কার্ডিয়াক আউটপুট কমে যাওয়াকে এ নামে বোঝানো হয়।     হার্ট ফেলকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। হঠাৎ করে কার্ডিয়াক আউটপুট কমে আসতে পারে মায়োকার্ডিয়াক ইনফ্রাকশনের ফলে। এ ধরনের ঘটনাকে বলে অ্যাকিউট হার্ট ফেলিওর Acute Heart Failure)। আবার হৃদযন্ত্রের কপাটিকার ত্রুটিতে হৃৎপিন্ড থেকে রক্ত নির্গমনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে। এ রকম অবস্থার নাম ক্রনিক হার্ট ফেলিওর (Chronic Heart Failure)। লেফ্ট হার্ট ফেলিওর (Left Heart Failure)-হৃদযন্ত্রের বাম নিলয় থেকে রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই হৃৎপিন্ডের বাম অঞ্চল ঠিক মত কাজ না করলে দেখা দেয় বিভিন্ন রকমের বিপত্তি। শ্বাস বন্ধ হওয়া অবস্থা, শোওয়া অবস্থায় শ্বাস কষ্ট (Orthopnoea), রাতে থেকে থেকে শ্বাস কষ্ট (Paroxysmal nocturnal dyspnoea), শ্বাসগ্রহণ করার সময় ফুসফুসে চট...

continue reading →

হৃদয়ের কথা পর্ব-২৯; রক্ত সংবহন ধারণার বিবর্তন

28 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব-২৯; রক্ত সংবহন ধারণার বিবর্তন

রক্ত সংবহন ধারণার বিবর্তন; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ২১শে- ২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০০০; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত     ঝোপঝাড়ের আড়ালে তেমনভাবে কিছুই চোখে পড়ে না। লতাগুল্ম নাড়িয়ে পাহাড়ের গুহা থেকে বেরিয়ে এল একদল স্তন্যপায়ী। দু’পায়ে ভর করে এগিয়ে আসছে। কারো কাছে পাথরের কুঠার, কেউবা পাথরের ফলা লাগানো বল্লম হাতে। ধুলো-ময়লায় জটপাকানো চুল, ঝোলানো চোয়াল, হাঁটার ভঙ্গি কিছুটা সামনে ঝুঁকে। উন্মুক্ত বুক-স্তন। শুকনো পাতা, গাছের বাকল বা পশু চামড়া দিয়ে শরীর অর্ধ আবৃত।     না, এ আজকের নয়। স্মরণাতীত কোনো অতীতের কথা। তারপর কেটেছে বহু হাজার বছর। গুহা আশ্রয় থেকে বেরিয়ে মানুষ হয়েছে গগনচুম্বী। অট্টালিকা নিবাসী। সে যাই হোক, সৃষ্টিলগ্ন থেকেই আমাদের দেহের সঙ্গে রোগের এক নিবিড় সম্পর্ক। শুধু মানুষ কেন? মনুষ্যেতর প্রাণীরাও বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। তাই প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে মানুষ শরীর ও শরীরের ভেতরে থাকা অসুখ নিয়ে বিভিন্ন সময় চিন্তিত, বিব্রত ও হতাশ হয়েছে। প্রাচীনকালে জ্ঞানের পরিধি ছিল খুবই সীমিত। দেহের ভেতর থাকা বিভিন্ন অঙ্গ-যন্ত্রের কাজকারবার তাদের ক...

continue reading →

হৃদয়ের কথা পর্ব-২২; হৃদরোগে আয়ুর্বেদ

26 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব-২২; হৃদরোগে আয়ুর্বেদ

হৃদরোগে আয়ুর্বেদ; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ২১ শে জুন ১৯৯৯; পৃষ্ঠা -তিন; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত     সে আজ অনেক কালের কথা। তপোবনবাসী ঋষিমুনিরা ঈশ্বরের আরাধনা করতে গিয়ে দেখলেন যে, শরীর সুস্থ না থাকলে ভগবানের সাধনা কেন; কোন কাজই ঠিক মতো করা সম্ভব নয়। তারা উপলদ্ধি করলেন- ‘শরীরমাদ্যম্, খলু ধর্মসাধনম্।’     শুরু হলো শরীরকে সুস্থ সবল রাখার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। গাছ, লতা-পাতা, ফল-মূল থেকে তৈরী হল বিভিন্ন ভেষজ ওষুধপত্র; স্বাস্থ্য রক্ষার নিয়মকানুন। পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে প্রাচীন মনীষীদের অর্জিত জ্ঞান লিপিবদ্ধ হলো আয়ুর্বেদে।     হৃদযন্ত্র যে আমাদের শরীর মন্দিরের সদাজাগ্রত বিগ্রহ; তৎকালীন ঋষিরা তা বুঝতে পেরেছিলেন। তাই হৃদয়কে সুস্থ-সবল রাখতে তাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। তারা তাদের মতো করেই কার্ডিয়াক ডিজিজের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেন। আয়ুর্বেদের প্রাচীনগ্রন্থ মাধবনিদানে আছে - “ অত্যুষ্ণ  গুর্ব্বন্ন কষায়তিক্তৈঃ শ্রমাভিঘাতাধ্যশন প্রসঙ্গৈঃ সঞ্চিন্ত নৈর্বেগ বিধারনৈশ্চ হৃদাময়ঃ পঞ্চবিধঃ প্রদিষ্টঃ। দূ...

continue reading →

হৃদয়ের কথা; পর্ব-৪; উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপ সমস্যা

26 May 2018 হৃদয়ের কথা; পর্ব-৪; উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপ সমস্যা

হৃদয়ের কথা; পর্ব-৪; উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপ সমস্যা; ডাঃ পার্থপ্রতিম।     এর জন্য ডাক্তার হওয়ার দরকার নেই। তেমন শিক্ষিত না হলেও এ শব্দটির সঙ্গে কম-বেশি সবাই পরিচিত। তবে হ্যাঁ, ব্লাডপ্রেসার সমন্ধে ভাসা ভাসা ধারণা আবার কিছু ক্ষেত্রে বিপদ ডেকে আনে। অনেকে মনে করেন তার উচ্চরক্তচাপ নেই; কারণ তার মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, কান-মাথা গরম এসব উপসর্গ হয় না। আসলে ব্লাডপ্রেসার হাই, লো বা নরম্যাল তা বোঝার একমাত্র উপায় স্ফিগ্মোমনোমিটারের সাহায্যে রক্তচাপ মাপা। দেখা গেছে কোনো ব্যক্তির বেশিমাত্রায় হাই-ব্লাডপ্রেসার রয়েছে কিন্তু তার কোনো শারীরিক উপসর্গ নেই। হঠাৎ কোনো রুটিন চেকআপ বা লাইফ ইনসিওরেন্স করার সময় সেটি ধরা পড়ে। যারা উচ্চরক্তচাপে ভোগে তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে কারণ জানা যায় না। এই জন্য তাকে বলে কারণ বিহীন উচ্চরক্তচাপ (Essential Hypertension)।  হাই ব্লাডপ্রেসার বিভিন্ন রকমের। কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় সিস্টোলিক চাপ ১৬০ মি.মি.-এর বেশি কিন্তু ডায়াস্টোলিক চাপ ৯০ মি.মি.-র কম থাকে। এ ধরণের উচ্চরক্তচাপকে বলে আইসোলেটেড সিস্টোলিক হাইপারটেনশন (Isolated Systolic Hypertension)। আবার ...

continue reading →

হৃদয়ের কথা পর্ব-২১; হৃদরোগে হোমিওপ্যাথি

26 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব-২১; হৃদরোগে হোমিওপ্যাথি

হৃদয়ের কথা পর্ব-২১; হৃদরোগে হোমিওপ্যাথি; ডাঃপার্থপ্রতিম। অ্যালোপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির মতো হোমিওপ্যাথিতে হৃদরোগের অনেক ভালো ভালো ওষুধ রয়েছে। অনেকের ধারণা হোমিও ওষুধ খুব ধীরে কাজ করে; তাই হার্ট ডিজিজের ক্ষেত্রে এর ওপর ভরসা করা যায় না। ঘটনাটি আসলে তা নয়, সঠিক মাত্রায় ঠিক ওষুধটি প্রয়োগ করতে পারলে অল্পসময়ের মধ্যেই তার কার্যকারিতা বোঝা যায়।             হোমিও চিকিৎসা মূলত লক্ষণভিত্তিক। অর্থাৎ রোগের কারণ যাই হোক না কেন-রোগের প্রকাশিত লক্ষণের ওপর নির্ভর করে ওষুধ নির্বাচন করা হয়। হৃদব্যাধির ক্ষেত্রে কার্যকারী কয়েকটি ওষুধ নিয়ে এবার আলোচনা করা যাক-         ডিজিটেলিস (Digitalis):- ১X, ৬, ৩০-এটি হার্ট ডিজিজের একটি টনিক ওষুধ। প্রবল হৃৎস্পন্দন এই ওষুধে কমে যায়। হৃৎপেশির সংকোচন শক্তি বাড়িয়ে দেয়, ফলে রক্ত চলাচলের ক্ষমতা বাড়ে। মাইট্রাল ভালভের ত্রুটিতে যখন নাড়ির স্পন্দন অনিয়মিত (Irregular) হয়ে পড়ে। তখন ডিজিটেলিস ভালো করে কাজ করে। হৃদযন্ত্রের শোথ (Cardiac) থাকলেও ওষুধ প্রয়োগ করা যায়। মাইট্রাল কপাটিকার সংকোচনে (Mitral Stenosis) যখন প্রস্রাবের পরিমাণ কমে আসে ...

continue reading →

Join our mailing list Never miss an update