এখানেতেই হৃদয় আমার গেছে চুরি : ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১৬ মে ২০০৩ (শুক্রবার); আনন্দবাজার পত্রিকায় 'ভূমিপুত্র' শিরোনামে প্রকাশিত জন্ম ডুয়ার্সের বানারহাটে। এক ছোট্ট রেল কোয়ার্টারে। ঘরগুলি মাটি থেকে কিছুটা উঁচুতে। পোকা-মাকড়, সাপ-খোপের হাত থেকে বাঁচার জন্য। সে সময় ব্রডগেজ লাইনের রমরমা ছিল না। বেশির ভাগ জায়গাতে যেতে হত মিটারগেজে চড়ে। বিহারের কাটিহার থেকে মাছ-লিচু আসত ট্রেনে চেপে। কমলালেবু, চা, ডলোমাইট পাড়ি জমাত দূর দেশে। ঘন্টা পড়ত ঢং ঢং ঢং। কয়লার ধোঁয়া-ছাড়া কু-উ-উ ঝিক-ঝিক। ডিজেলের পোঁ পোঁ নেই বললেই চলে। ট্রেন যাত্রায় গেলে কয়েকটি রুমাল আবশ্যক। জানলার কাছে বসা যাত্রীদের চোখ থেকে বের করতে হত কয়লার কণা। সত্যজিতের পথের পাঁচালি-র দৌলতে যা আজও বেঁচে আছে। বাস-ট্যাক্সি তখন হাতগুনতি। সাধারণ জনবসতি গড়ে উঠেছে রেলস্টেশন ঘিরেই। আর চারপাশে সবুজ সবুজ গালিচার চা-বাগান, নেপালিদের দাপট কম, আদিবাসী মানুষের সংখ্যাই বেশি। ডাকা হয় ‘মদেশিয়া’ নামে। বাগানের বাবুরা সব আসত কালচিনি, বানারহাট, ময়নাগুড়ি বন্দরে কেনাকাটি করতে। চা-বাগানে ছিল ঢালাও রেশন।...
continue reading →বানারহাটে গড়ে তোলা হোক পর্যটন কেন্দ্র; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; বৃহস্পতিবার ৪ কার্তিক ১৪০৫; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত বর্ষা রাতের শেষে চা বাগিচার সবুজ গালিচায় আছড়ে পড়া সোনা রোদের আভা, অদূরেই মাথা তোলা হিমালয়, যৌবনমদে মত্ত পাগলা ঝোরা, অলস পায়ে হেঁটে চলা বুনো হাতির দল- এ সবই ডুয়ার্সের পরিচিত ল্যান্ডস্কেপ। হ্যাঁ, এ সবের বাইরেও বানারহাটে রয়েছে আরও বহু আকর্ষণ। যা শুধু ভ্রমণবিলাসীদের নয়, ছাপোষারও মন কেড়ে নেবে। শিলিগুড়ি জংশন থেকে আসা মিটারগেজ ট্রেনে চা বাগিচার কোলে ছোট্ট সুন্দর বানারহাট রেল স্টেশন। বানারহাট থেকে নয় কিলোমিটার দূরে সীমান্ত গ্রাম চামুর্চি। চামুর্চি থেকে হাঁটাপথে পাহাড়ি পাকদণ্ডী ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় মহাকাল মন্দিরে। পাহাড়ে ট্রেকিং করা যাদের নেশা, এ পথ তো তাদের কাছে স্বর্গরাজ্য। প্রকৃতির এক অদ্ভুত খেয়ালে পাহাড়ের গুহার ভেতর নেমে এসেছে পাথরের তৈরি লম্বা লম্বা শিবের জটা। এগুলি আবার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। জটা থেকে অবিরাম টুপটাপ ঝড়ে পড়ছে জলবিন্দু। এই জলে রয়েছে কিছু দুরারোগ্য চর্মরোগ আরোগ্য ক্ষমতা। ভূবিজ্ঞানীদের পরিভাষা...
continue reading →বানারহাট ব্লক না হওয়া সার্বিক ব্যর্থতা ; ২৮শে ফ্রেব্রুয়ারী ২০১১; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত ৬২২৭ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত জলপাইগুড়ি জেলায় মোট ব্লক রয়েছে ১৩টি। বানারহাট রয়েছে ধূপগুড়ি ব্লকে। ধূপগুড়ি ব্লকের আকার ৫৬৫১০ বর্গ কিমি । ধূপগুড়ি ব্লকের দুটি থানা। ধূপগুড়ি ও বানারহাট। বানারহাট থানায় প্রশাসনিক এলাকা রয়েছে ৫৯টি গ্রাম ও ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে। বানারহাট ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত , বানারহাট ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত, চামুর্চি গ্রাম পঞ্চায়েত,বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত,সাঁকোয়াঝোরা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত, শালবাড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত, শালবাড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত, আংরাভাসা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত ও আংরাভাসা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত। এরমধ্যে আংরাভাসা ১নং ও ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত দুটি রয়েছে নাগরাকাটা ব্লকের অধীনে। ডায়না নদীর অপর পাড়ে থাকার জন্য বর্ষাকালে এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব দুর্গম হয়ে ওঠে। সে কারণে নাগরাকাটা ব্লকের এই দুটি পঞ্চায়েত বানারহাট থানার আওতায় রয়েছে। বি...
continue reading →তরুণ সংঘ গ্রন্থাগার-বঞ্চিত তবু স্পর্ধায় আকাশ ছুঁয়েছে; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১২ মে ২০০৫ জলপাইগুড়ি ক্রোড়পত্র পৃষ্ঠা খ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত। নাগরা-মান্দর-চায়ের দেশে বানারহাট তরুণ সংঘ গ্রন্থাগার। সরকারি বঞ্চনার শিকার। দীর্ঘ তিন বছর ধরে এখানে গ্রন্থাগারিক নেই। রয়েছে আর্থিক বৈষম্য। তবুও জনসাধারণের সম্মিলিত প্রয়াস ও সুষ্ঠু পরিচালন ব্যবস্থার মেলবন্ধনে এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। সূর্যস্নাত সেই যাত্রাপথের বর্ণময় ছবি এঁকেছেন -ডাঃ পার্থপ্রতিম। অবিন্যস্ত বইয়ের স্তূপ, আলমারি বা ঘরের আনাচে-কানাচে জাল বুনছে বেরসিক মাকড়সারা, সময়মত খোলে না। ধূলিধূসরিত বই-এর তাক...। সরকারি আনুকূল্যে চলা বেশিরভাগ গ্রামীণ গ্রন্থাগারের এই দশা দেখে যারা রীতিমতো বিরক্ত, তারা বানারহাট তরুণ সংঘ গ্রামীণ গ্রন্থাগারে এলে চমকে যেতে পারেন। গ্রামীণ গ্রন্থাগার হয়েও যে-কোনো টাউন লাইব্রেরির সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিতে পারে। সুন্দর রিডিংরুম, ২৫টি আলমারিতে বিষয়ভিত্তিকভাবে সাজানো রয়েছে সাত হাজারের বেশি বই, পত্র-পত্রিকা, আলো-পাখা, পুরুষ-মহিলার পৃথক শৌচালয়, প...
continue reading →সেঁজুতির গোলাপ আজ বিবর্ণ; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৬ এপ্রিল ২০১২; পৃষ্ঠা- দশ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত না, পন্ডিত স্যারের বাড়ির আমড়া সেই গাছটা আজ আর নেই। থাকার কথাও নয়। সে কতদিন আগের কথা। স্কুল ছুটির পর সবাই ছুটতাম সেই গাছের দিকে। গাছের মগডালে ঝুলে থাকা আমড়া পাড়া নিয়ে কত ঢিল ছোড়াছুঁড়ি। যার ঢিলে আমড়া পড়ত সে নোবেল বিজয়ী বীর। মুখে যুদ্ধ জয়ের উল্লাস। উত্তরে মাথা তোলা নীল শিবালিক রেঞ্জ। তারই কোল বেয়ে আদিগন্ত বিস্তৃত চা বাগিচার সবুজ গালিচা। মাঝে ছোট্ট জনপথ বানারহাট। মূলত ওপার বাংলা থেকে আসা ছিন্নমূল মানুষের নতুন দেশ গড়ার স্বপ্ন চারাগাছ হয়ে মাথা তুলছে গ্রাম গঞ্জে। গড়ে উঠেছে নতুন পল্লিসংঘ, গ্রন্থাগার, স্কুল। প্রাথমিক স্কুলটির সরকারি নাম ছিল বানারহাট স্টেট প্ল্যান প্রাইমারি স্কুল। কিন্তু লোকের মুখে মুখে তা হেডমাস্টার মাখনলাল ব্যানার্জির নাম অনুসারে মাখন বাবুর স্কুল। স্কুলে তিনি ছাড়া আর তিনজন দিদিমণি ছিলেন। মাখনবাবু অঙ্ক শেখাতেন। ব্ল্যাকবোর্ডে একটা অঙ্ক কসে জিজ্ঞাসা করতেন - কীরে বুঝছস? বলতাম বুঝসি স্যার। সঙ্গে সঙ্গে পালটা প্রশ্ন- ...
continue reading →ডুয়ার্সে উন্নয়ন বারবার বাধা পায় কেন? -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২১ এপ্রিল ২০১৭; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত লাটাগুড়ি রেলপথের ওপর ওড়ালপুল নির্মাণের কাজ আবার অনিশ্চিত হল। ন্যায়ালয়ের আদেশে স্থগিত রইল গাছ কেটে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ। অদূর অতীতের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব, বেশ কয়েক যুগ চা বাগিচা অধ্যুষিত এই ডুয়ার্স তথা উত্তরবঙ্গ ছিল বিভিন্ন বিষয়ে অবহেলিত। বিগত বাম আমলে সুন্দরবন উন্নয়নের জন্য পৃথক দপ্তর থাকলেও উত্তরবঙ্গের জন্য তেমন কিছু ছিল না। ইংরেজ আমলে গড়ে ওঠা ডুয়ার্সের চা শিল্প বিভিন্ন কারণে রুগণ থেকে রুগণতর হয়েছে। ভাঙাচোরা পথঘাট, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে গয়ংগচ্ছভাব, বেকারত্ব, দারিদ্র্য, হতাশা, নৈরাজ্যের মধ্যে ঠিক যেমনটি হয়, তেমনভাবেই মাথাচাড়া দিয়েছিল বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি। আর ঘন ঘন বনধ-হরতালে নাভিশ্বাস উঠেছিল এই এলাকার মানুষজনের। রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদলের পর ডুয়ার্স এলাকার মানুষ নতুনভাবে আশার আলো দেখতে শুরু করেন। পর্যটন শিল্প ঘিরে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ক্রমেই উজ্জ্বলতর হচ্ছে। লাটাগুড়ি, মাদারিহাট, জয়ন্তীকে গ...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →