About-Heart (49 )

হৃদয়ের কথা পর্ব-৩৭; বিপদের নাম-সেরিব্রাল স্ট্রোক

28 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব-৩৭; বিপদের নাম-সেরিব্রাল স্ট্রোক

বিপদের নাম-সেরিব্রাল স্ট্রোক; -ডাঃ পার্থপ্রতিম।     ক্ষোভ হওয়ারই কথা। তিল-তিল করে গড়ে তোলা এই সাম্রাজ্যের পতন কী নিজের চোখে দেখা যায়? শৈশবের দিনগুলির ছবি আজও অজিতবাবুর চোখের সামনে জ্বল জ্বল করে। অনেক সংগ্রামের পর দেশ স্বাধীন হলো। কারার ঐ লৌহ কপাট লোপাট করার আনন্দ কোথায়? সবার চোখে মুখে আতঙ্কের ধূসর ছায়া। রাতের অন্ধকারে হলদিবাড়ি বর্ডার পেরিয়ে এদেশে ঢুকে ছিল বাবা-মা ও চার বাচ্চার পরিবার। তখন অজিতবাবুর বয়স কত হবে; খুব বেশি হলে বছর পনেরো। তারপর বিরাট এক লড়াইয়ের ইতিহাস। রেশন দোকান, ধানিজমি, পাটগুদাম আরো কত কী। এখন একমাত্র ছেলে বিজু এক এক করে সবই বেচে দিচ্ছে। লোকমুখে শোনা যায় এখন প্রতিদিন নাকি বিজুর মদ লাগে। এ নিয়ে বাপ বেটাতে বহুবার বচসা হয়েছে। গত পরশু রাগারাগি করতে করতেই অজিতবাবু হঠাৎ পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান। কিছুক্ষণের মধ্যে ডাক্তার আসে, তারপরেই নার্সিংহোমে। ডাক্তারবাবু জানালেন এটি ব্রেন স্ট্রোক (Brain Stroke)।     ডাক নাম ‌'ব্রেন স্ট্রোক' হলেও ডাক্তারি ভাষায় একি বলি সেরিব্রো ভ্যাসকুলার অ্যাক্সিডেন্ট (Cerebrovascular Accident)। আমাদের দেহের অন্য...

continue reading →

হৃদয়ের কথা পর্ব- ২৪; হৃদয়ের চক্রাবর্ত ও কিছু পরিভাষা

28 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব- ২৪; হৃদয়ের চক্রাবর্ত ও কিছু পরিভাষা

হৃদয়ের চক্রাবর্ত ও কিছু পরিভাষা; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ৭ই ফেব্রুয়ারী ২০০০; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত     ধুক্-পুক্-ধুক্-পুক্ ... এ এক অবিরাম তান। জীবনে যত কথা-প্রেম-সুর সবই তাকে ঘিরে। আমাদের হৃদয় ধুক-পুক্ সুরে প্রতি মিনিটে ৭০ থেকে ৮০ বার সংকুচিত ও প্রসারিত হচ্ছে। গড়ে হৃৎস্পন্দনের হার ৭৫ বার প্রতি মিনিট ধরলে- হৃৎপিন্ডের একবার সংকোচন ও প্রসারণের সময় লাগে ৬০ / ৭৫ = ০.৮ সেকেন্ড। একে বলে হৃদচক্রের স্থিতিকাল। হৃৎস্পন্দনের হার যত বাড়ে হৃদচক্রের স্থিতিকাল সেই অনুপাতে কমে যায়। প্রতি ০.৮ সেকেন্ডে পর পর আমাদের হৃদয় চক্রের মতো একবার সংকুচিত ও প্রসারিত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমিক ভাবে হৃদযন্ত্রের এই যান্ত্রিক পরিবর্তনকে বলে হৃদচক্র বা কার্ডিয়াক সাইকেল (Cardiac Cycle)।     হৃদচক্রের স্থিতিকাল অর্থাৎ ০.৮ সেকেন্ডের মধ্যে অলিন্দে যে ঘটনাগুলি ঘটে তাকে অলিন্দচক্র ((Auricular Cycle)  এবং নিলয়ের ঘটনাগুলিকে নিলয়চক্র (Ventricular Cycle)  বলে। অলিন্দ সংকোচন (Auricular Systole) ) : আমাদের হৃৎস্পন্দনের একমাত্র উৎপত্তিস্থল সাইনো অরিকিউলার নোড যেহেতু ডান অলিন্দে রয়েছে, তাই ডান অলিন্দ বাম অলিন্দের ...

continue reading →

হৃদয়ের কথা পর্ব-২৫; হৃদরোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে যন্তর-মন্তর

28 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব-২৫; হৃদরোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে যন্তর-মন্তর

হৃদরোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে যন্তর-মন্তর; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৬ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৯; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত     না, পাড়াতে আর নাড়িটেপা ডাক্তারের অতি উঁচু নাক দেখা যায় না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে ভোল পাল্টে যাচ্ছে আমাদের পরিচিত ধরিত্রীর। চিকিৎসা পদ্ধতিতে এসে গেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। হৃদরোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে অনেক যন্তর-মন্তর। এখন এ দেশের নগরগুলির কার্ডিওকেয়ার ইউনিটে এই ব্যয়বহুল পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু হয়েছে। ট্যাঁকের জোর থাকলে এগুলি সহজসাধ্য। কার্ডিয়াক ক্যাথিটারাইজেশন, বেলুন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, এম.আর.আই, হৃদরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এইসব যন্ত্রপাতির কার্যপদ্ধতি সম্বন্ধে এই অবসরে কিছু ধারণা নেওয়া যাক্ । কার্ডিয়াক ক্যাথিটারাইজেশন (Cardiac Catheterization) ও অ্যাঞ্জিওগ্রাফি (Angiography)  : হৃদযন্ত্রের অ্যানাটামি ও ফিজিওলজির ওপর পর্যবেক্ষণ করার জন্য কার্ডিয়াক ক্যাথিটারাইজেশন ও অ্যাঞ্জিওগ্রাফি এক সুন্দর  পদ্ধতি। ১৯২৯ সালের ওয়ারনার  ফরস্ম্যান (Werner Forssman)  প্রথম মানবদেহে কার্ডিয়াক ক্যাথিটারাইজেশ...

continue reading →

হৃদয়ের কথা পর্ব-২৮; করোনারি কেয়ার ইউনিট

28 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব-২৮; করোনারি কেয়ার ইউনিট

করোনারি কেয়ার ইউনিট; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ২০শে ডিসেম্বর ১৯৯৯; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত     ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’! -একে ঠিক তেমনভাবে বলা যাবে না। চুপিসারে কৃষ্ণ কালো মেঘ জমে পশ্চিম দিগন্তে। অবগুন্ঠনের আড়ালে থাকে বিজলি চমক। তারপর একদিন ঘটে বজ্রপাত।     রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে গেলে তা ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে হৃদযন্ত্রের করোনারি ধমনীর ভেতর দেওয়ালে। প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহের অভাবে মাঝে মাঝে দেখা দেয় হৃদবেদনা বা অ্যানজাইনা পেক্টোরিস। অবশেষে ঘটে বজ্রপাত বা হার্ট অ্যাটাক।     হার্ট অ্যাটাকে যত জন মারা যান তার শতকরা ৪০ জনের মৃত্যু ঘটে ২৪ ঘন্টার মধ্যে। তিন দিনের মধ্যে মারা যান ৭০ শতাংশ রোগী। আর শতকরা ৮৫ জনের মৃত্যু হয় প্রথম সপ্তাহে। হার্ট অ্যাটাকের পর রোগীর জীবন বাচাঁনোর জন্য প্রতি সেকেন্ড মূল্যবান। কয়েক মূহূর্ত দেরিতে চিকিৎসা শুরু করার জন্য রোগী চিরদিনের জন্য মর্ত্যলোক ছেড়ে চলে যেতে পারেন।     আমাদের দেশে বিশেষত যারা মফস্বল শহরে বাস করেন তাদের হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসা বেশ দেরি করে শুরু হয়। প...

continue reading →

হৃদয়ের কথা পর্ব-৩১; হৃদরোগ দেশে দেশান্তরে

28 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব-৩১; হৃদরোগ দেশে দেশান্তরে

হৃদরোগ দেশে দেশান্তরে; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ২৯শে নভেম্বর ১৯৯৯; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত     ‘কালো আর ধলো বাহিরে কেবল, ভেতর সবার সমান রাঙা।’ হ্যাঁ, বাইরে দেখার ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে যতই প্রভেদ থাকুক না কেন, অন্তরে সবার মধ্যে এক অদ্ভুত মিল রয়েছে। বসুন্ধরা জুড়ে এই যে এত মানুষের সমাবেশ; একে হৃদয়ের মেলাও বলা যায়। কারণ সবার জীবনের জীয়নকাঠি লুকিয়ে আছে হৃদযন্ত্রের সচলতার মাঝে। তাই হৃদরোগ আছে দেশে, আছে দেশান্তরে।     সত্তর দশক পর্যন্ত ভারতের ঘাতক তালিকায় হৃদরোগ ছিল সাত নম্বরে। কিন্তু বর্তমানে এর স্থান তৃতীয়। ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন কনসেনসাস কার্ডিওলজি অ্যান্ড ইকোকার্ডিওগ্রাফির সহসভাপতি ডাঃ কে কে অগ্রওয়ালের মতে, 'আগামী বছর পাঁচেকের মধ্যে ঘাতক তালিকায় প্রথম স্থানটি দখল করবে কার্ডিও ভ্যাসকুলার ডিজিজ।' বর্তমানে প্রতি বছর সাড়ে তিন লক্ষ ভারতীয় হৃদয় ব্যাধির কারণে এই ধরাতল থেকে  পাড়ি দেন পরপারে। এখন দেশে অন্তত ৮০ লক্ষ হৃদরোগী রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৯ সালের মধ্যে সংখ্যাটি গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ১ কোটির বেশি। তেমন সঠিক ভাবে কোনো পর...

continue reading →

হৃদয়ের কথা পর্ব-২৩; হৃদরোগীর ব্যায়াম

28 May 2018 হৃদয়ের কথা পর্ব-২৩; হৃদরোগীর ব্যায়াম

হৃদরোগীর ব্যায়াম; ডাঃ পার্থপ্রতিম।১৪ই জুন ১৯৯৯; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত     জীবনের সব সাফল্যই কষ্টার্জিত, শরীরকে সুস্থ ও কর্মঠ রাখতে গেলে তার জন্য সঠিকভাবে পরিশ্রম করতে হবে। সজীব ও সবল রাখতে হবে, সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ (Exercise) হলো সঠিক নির্দেশ মেনে, শরীর চালনার মধ্যে দিয়ে, দেহ ও মনকে নীরোগ রাখার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।     হৃদরোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় করতে নিয়মিত ব্যায়ামের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। হৃদয়ের পেশিগুলিকে সুস্থ সবল রাখতে চাই পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি। করোনারি ধমনী নিয়মিতভাবে হৃদযন্ত্রে তা সরবরাহ করে। রক্তের মধ্যে কোলেস্টেরল বা চর্বির পরিমাণ বেশি হলে সেই চর্বি করোনারি ধমনীর মধ্যে এক বা একাধিক স্থানে জমতে থাকে, ফলে হৃৎপেশিগুলিতে রক্ত সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে - * করোনারি ধমনীর ভেতর রক্তচাপ বেড়ে যায়। সে কারণে করোনারি ধমনীর অন্তবর্তী আয়তন ক্রমশ বাড়তে থাকে, ধীরে ধীরে এই ধমনী অনেক বেশি রক্তচাপ নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। হার্টের পেশি বেশি পুষ্টি ও অক্সিজেন পেয়ে সুস্থ-সবল হয়ে ওঠে। * করোনা...

continue reading →

Join our mailing list Never miss an update