ও গ্রুপ ম্যালেরিয়ায় কাবু হয় না -ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১০ নভেম্বর ২০০৭;উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত যাঁদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’, তাঁরা সহসা ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন না। ম্যালেরিয়া হলেও মরণাপন্ন হতে হয় না। কারণ ও গ্রুপের রক্তে যে লোহিতকণিকা থাকে, সেই লাল রক্তকোষগুলিই ম্যালেরিয়ায় রোগভোগে বিপন্ন হতে দেয় না। আফ্রিকায় শিশুদের উপর সর্বেক্ষণ চালিয়ে এই তথ্য উপহার দিয়েছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, মারাত্মক ধরনের ম্যালেরিয়া হলে যেটা হয়, ব্রেনে রক্তবাহিত অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে মৃত্যু ঘটে। যেসব পরজীবীর আক্রমণে রক্তবহা ধমনিতে সংক্রমণ ঘটে, বাধার প্রাচীর তৈরি হয় ‘ও’ গ্রুপের লোহিতকণিকা সেইসব পরজীবীকে শায়েস্তা করতে পারে। ফলে ও গ্রুপের ম্যালেরিয়া আক্রান্তরা সচরাচর কোমায় বা জীবন বিপন্নকারী অ্যানিমিয়ার শিকার হন না। উল্লেখ্য, ভারতের ৩৮ শতাংশ মানুষের রক্তের গ্রুপ ‘ও’। গবেষক দলের প্রধান এডিনবুর্গ ইউনিভার্সিটির ডা. অ্যালেক্স রোয়ি জানিয়েছেন, দেখা গিয়েছে একই এলাকায় যখন ম্যালেরিয়া মহামারি হয়েছে,...
continue reading →রাম রাম . . . -ডাঃ পার্থপ্রতিম। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৩; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত বর্ষা শেষের নীল আকাশ। তাতে মেঘের তুলো ভেলা। ডায়না-রাঙ্গাতি নদীপারের কাশবন জানান দিচ্ছে মা আসছেন। পূজো মানেই হই-হুল্লোড়, নিত্যদিনের রুটিন ভাঙা। আর পেট পুজো? সে তো বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে হ্যাঁ, লাগাম ছাড়া ভূরিভোজে পেটের অসুখ, শারীরিক অসুবিধা দেখা দেয়। গা- বমি বমি, চোওয়া- চোওয়া ঢেকুর, ছোটো ঘরটিতে বারবার ছুটে যাওয়া- এসব উপসর্গ পূজোর সব আনন্দকে একেবারে মাটি করে দিতে পারে। তাই খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে একটু বিধিনিষেধ মেনে চললে আখেরে লাভই হয়। না-না, আমি ততটা বেরসিক ডাক্তার নই যে এমন দিনে চাওমিন-মোমো-ফ্রিসফ্রাইয়ের কাফেগুলিতে ১৪৪ ধারা লাগিয়ে দেব। ওই যে দূরে, একটু আবডালে, সেগুনতলায় দাঁড়িয়ে প্রিয়তমার সঙ্গে খাও না একটা করে এগরোল। না, মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। রানীনগর বা ঝাজাঙ্গির লাইন হোটেলে- 'তবুও দুজনে কূজনে কূজনে' . . . শাহি পনিরের সঙ্গে আলু পরোটা তেমন কিছু ক্ষতি করতে পারবে না। পেটপুজো নিয়ে মনে মনে একটি ছক কষে নিন। এ কদিন বাইরে খাওয়ার কথা থাকলে বাড়িতে কম ...
continue reading →শোনার লোক পেলে রোগ বিলাস বাড়ে ; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১৮ ডিসেম্বর ২০০৪ উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত টাবুর মা বাবার একমাত্র ছেলে। মাসি- দিদুর নয়নমণি। রাত দশটার সময় টাবুলের ইচ্ছে হল মোমো খাবে। ছোট মামা টিফিন বাক্স হাতে ছুটলেন মোমোওয়ালার বাড়ি। পড়াশোনায় যথারীতি লবডঙ্কা। টিভির কার্টুন চ্যানেলের পোকা। এহেন টাবুলের জ্বর-সর্দি হয়েছে। সারা বাড়ি বিষাদে বিরস। চার-পাঁচজন অভিভাবক পরিবেষ্টিত হয়ে টাবুল ক্লিনিকে হাজির। টাবুলের শারীরিক অসুবিধার কথা বলতে সবাই সরব। পাঁচজনের সমস্বর বাক্ উচ্ছাসে আমার কানমাথা ভোঁ-ভোঁ। শুধু টাবুল কেন, অনেককেই দেখি পাঁচ-ছ জন আত্মীয়-পরিজন নিয়ে ডাক্তারখানায় হাজির হতে। রোগী যদি খুব অসুস্থ হন বা চলার মতো শক্তি না থাকে তবে অন্য কথা। তা যদি না হয়, তাহলে দলবেঁধে ফুচকা খেতে যাওয়ার মতো ডাক্তারখানায় যাওয়ার কোন মানেই হয় না। রোগীর কষ্ট তাকেই বলতে দিন। তা না হলে বাড়ির যেকোনো একজন কথা বলুন। একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তির কথা শোনা সবার কাছেই বিরক্তিকর। এতে রোগ নির্ণয় সঠিক না হয়ে উল্টোপাল্টা হয়ে যেতে পারে। কারো কারো মধ...
continue reading →গর্ভপাতকারী খাবার; -ডাঃ পার্থপ্রতিম। ; ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত গর্ভাবস্থায় খাবার-দাবারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ব্যাপারে যেমন আগ্রহী হতে হয়, তেমনই সতর্কতাও অবলম্বন করতে হয়। একসময়ে ধারণা করা হতো, গর্ভাবস্থায় শাকসবজি, ফলমূল, দানাশস্য জাতীয় খাবার গ্রহণে কোনো বাধা নেই। কিন্তু উৎকৃষ্ট পুষ্টিমান, গুণসম্পন্ন এইসব খাবার গর্ভাবস্থায় রান্না না করে খাওয়ার কারণে গর্ভপাত হতে পারে। গর্ভপাতকারী এইসব শাকসবজি, ফলমূল ও শস্যদানার তালিকায় রয়েছে: পেঁপে, আনারস, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম সহ সব রকমের বাদাম, পেস্তা, গাজর, বিট, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, আলু, শাকালু, রাঙা আলু ছোলা এসব। উল্লেখিত খাদ্যগুলো রান্না না করে খেলে সেগুলো গর্ভপাত ঘটাতে পারে। কারণ এই খাদ্যগুলোতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা ভ্রুণশিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যেহেতু ভ্রুণশিশু মায়ের রক্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টিচাহিদা পূরণ করে থাকে, তাই মায়ের শরীরে প্রবেশকারী অধিকাংশ উপাদানের প্রভাব ভ্রুণশিশুর ওপর পড়তেই পারে। কাজেই ভ্...
continue reading →ব্যাধির নাম সোরিয়াসিস -ডাঃ পার্থপ্রতিম। উত্তরবঙ্গ সংবাদ এ সুস্থু থাকুন বিভাগে প্রকাশিত। প্রথমে মাথার কিছু কিছু জায়গায় চামড়াটা কেমন মোটা মোটা মনে হতে লাগলো। ভাবলাম খুসকি হয়েছে। তারপর কনুই, পা ও দেহের বিভিন্ন জায়গায় লাল উঁচু মতো দেখায়, ঢাকা থাকে আঁশে। প্রথমে তেমন গা করিনি। পরে অনেক ডাক্তার, ওষুধ, মলম, টোটকা করলাম কোনোটাতেই তেমন ফল হল না। হ্যাঁ এভাবেই শুরু, বলছিলেন সেঁজুতি সাহা। প্রথম দর্শনেই চিনতে ভুল হল না রোগটি-সোরিয়াসিস। ত্বকের যতরকম রোগ ব্যাধি আছে তার মধ্যে এটাকে সারিয়ে তোলাই বোধহয় সবচেয়ে কঠিন। গ্রিক শব্দ সোরা মানে চুলকানি। সেখান থেকেই এসেছে সোরিয়াসিস কথাটি। তবে এ রোগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুলকানির তেমন উপসর্গ থাকে না। যে কোনো বয়সেই রোগটি হতে পারে। বিশেষত যৌবনে পা দেওয়ার সময় এটি শুরু হতে দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে রোগটি কমে গিয়ে কয়েক বছর পর আবার ফিরে আসে। ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কপালে ভাঁজ ফেলে দেওয়া এই ব্যাধির প্রকৃত কারণ কে বা কোন্ ধরনের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানতে পারেননি। এ রোগের পিছনে এখনো জীবাণু তার...
continue reading →কারণ সেবায় বারণ কেন? ডাঃ পার্থপ্রতিম; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত মাঝে মধ্যে নয়, প্রতিদিন নিয়ম করে হাতে তুলে নিতেই পারেন পানপাত্র, দুটো পেয়ালার দুবার। যদি নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় মদ্যপান করেন তবে জরা-ব্যাধির চাবিকাঠি অনেকটাই আপনার হাতের মুঠোয় এসে যাবে। মৃত্যু দরজায় কড়া নাড়লে, আপনি তাকে মুখের উপর বলে দিতে পারবেন, পরে এসো ভাই। এমনটি বলছেন নামজাদা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষক টিড্ডা গোল্ডফিংগার এক মজার প্রতিযোগিতা করেছেন। মেমোরি কুইজ। কার কত স্মৃতিশক্তি তারই পরীক্ষা নিরীক্ষা। প্রতিযোগীদের শিক্ষার মান, সামাজিক মর্যাদা এসব একই রকম রেখে দুটি দলে ভাগ করেন। একদল হল, যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন। অন্যদল, যাঁরা ওপথ মাড়ানই না। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে নিয়মিত মদ্যপায়ীদের স্মৃতিশক্তি অনেক সবল। আমাদের দেহের বিভিন্ন রক্তনালির মধ্যে লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এল ডি এল জাতীয় কোলেস্টেরল জমা হয়। ফলে ধমনির ভেতরটা সংকুচিত হয়ে যায়, রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। এই অসুবিধা আমরা স্বাভাবিকভাবে টের প...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →