Health (82 )

জলপাইঃ আরও

23 Sep 2020 জলপাইঃ আরও

জলপাইঃ আরও; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১২ জানুয়ারি ২০০৮; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত জলপাইয়ে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ভিটামিন ই এবং পলিফেনল যৌগগুলির সন্মিলিত পরিচর্যায় হাঁপানি, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রুম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের বাড়াবাড়ি কমে। মেনোপজ অধ্যায়ে ঢুকে পড়া মহিলাদের কান-মাথা গরম হয়ে ওঠার মতো উপসর্গও হ্রাস করে ভিটামিন ই। জলপাইয়ে অনেকটা আয়রন থাকে। অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন যাঁরা একটা দুটো করে জলপাই খান। কাঁচা-পাকা খেতে পারেন না হলে আচার।     অলিভ তথা জলপাইয়ে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের ৭৫ শতাংশই অলিক অ্যাসিড। এই অলিক অ্যাসিড। এই অলিক অ্যাসিড রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাধিক্য হ্রাস করে। ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় তট অঞ্চলের মানুষরা জলপাই এবং জলপাই-তেল খেতেন। রোগভোগ হত না। বাঁচতেন বেশিদিন। জলপাই তেতো হয় এটির ত্বকে গ্লাইকোসাইড অলিওরোপিন নামে একটি যৌগ জমা হওয়ার কারণে। কেটে নুন দিয়ে সরষের তেলে ভিজিয়ে রাখলে এই তেতোভাব কেটে যায়। বাইবেলে জলপাইয়ের উল্লেখ রয়েছে। গ্রিক পুরাণে, মিশরের শিল্পকলায় জলপাইয়ের উজ্জ্বল উপস্থিতি রয়েছে। জলপাই মা...

continue reading →

মৃত্যুর নিকট আত্মীয় কোমা

10 Sep 2020 মৃত্যুর নিকট আত্মীয় কোমা

মৃত্যুর নিকট আত্মীয় কোমা; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৪১৫; ডুয়ার্স সমাচার শারদীয়া সংখ্যায় প্রকাশিত লস ভেগাসের প্রশস্ত রাজপথ ধরে দ্রুত বেগে ছুটছে ফোর্ড গাড়িটি। স্টিয়ারিং ধরে থাকা অষ্টাদশী বার্বি এখন সুখ স্বপ্নে বিভোর। দমকা হাওয়ায় তার উড়ু উড়ু চুলের মতো বলাকা মনটিও উড়ে চলেছে স্বর্গীয় কল্পলোকে। বহুদিন পর দেখা হবে প্রাণাধিক বিয়ার্ডের সাথে। এই অন্যমনস্কতার ভুলে হঠাৎই গাড়িটি রাস্তা পেভমেন্ট ছেড়ে হুড়মুড়িয়ে পড়লো এক রেস্তোরাঁয়। সজোরে ধাক্কা খেল দেওয়ালে।     গত দু’মাস বার্বি রয়েছে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। সকাল-বিকাল নিয়ম করে বিয়ার্ড তাকে দেখতে আসে, আর হ্যাঙ্কিতে চোখ মোছে বারবার। নার্স-ডাক্তার কেউই বলতে পারে না কবে অবস্থার উন্নতি হবে। বার্বির নির্বাক, নিথর, সপ্রাণ দেহটি কোমায় আচ্ছন্ন।     হ্যাঁ কোমায়। শব্দটি পরিচিত হলেও, অনেকেরই সঠিক কোন ধারণা নেই। কোমা কোন অসুখ নয় এটা হল আমাদের শরীর ও মনের এক বিশেষ অবস্থা। যখন আমরা সুস্থ স্বাভাবিক থাকি তখন আমাদের মস্তিষ্কে স্নায়ুকোষগুলি পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ঘটনায় সাড়া দেয়। যেমন ধরা যাক আপন...

continue reading →

হাসিমারার সেঁজুতি রায়, আপনাকে যে চেনাই দায়!

07 Sep 2020 হাসিমারার সেঁজুতি রায়, আপনাকে যে চেনাই দায়!

হাসিমারার সেঁজুতি রায়, আপনাকে যে চেনাই দায়!; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৪ জানুযারি ২০০৪; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত নিজে থেকে পরিচয় না দিলে চিনতেই পারতাম না, এ সেই সেঁজুতি। রঙটা চাঁপা বটে, কিন্তু গোলগাল চেহারার মধ্যে একটা আলাদা অ্যাপিল ছিল। চোখের সেই মায়াবিনী চাহনি, টোলপড়া গালের দুষ্টু-দুষ্টু হাসি-স্মৃতির পটে এখনো তুফান তোলে। আজ যেন সব উধাও। কে যেন দু-পোঁচ কালি লেপ্টে দিয়েছে সেই মিষ্টি মুখে।     শুধু সেঁজুতি কেন? মিতালি, সুরঞ্জনা, ডালিয়া অনেকেরই তো একই দশা। রোগা হতে গিয়ে দিনের পর দিন উপোস করে কাটায়। তাতে তারা কতটা রোগা হয়েছে সেটা জানা না গেলেও, এদের অনেককেই রোগী হয়ে যেতে দেখেছি। এ ধরনের অপচেষ্টা শুধু এদেশে নয়, আটলান্টিকের ওপারে তো বহুদিন আগেই শুরু হয়েছে। বারবি পুতুল ও ফ্যাশন শো-র মডেলদের লিকপিকে পেনসিল কাটিং চেহারা দেখে হাজারো হাজারো যুবতী তাদেরকেই আইডল করে জোর কদমে নেমে পড়েছেন। রোগা হওয়ার জন্য খাওয়ার পাট প্রায় তুলেই দিয়েছেন। কেউ আবার খাওয়ার পর গলায় আঙুল দিয়ে বমি করে কৃশতার সাধনায় রত। এইসব তরুণীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অ্যানোরোক্সিয়...

continue reading →

তন্বী? না স্থূলকায়া?

05 Sep 2020 তন্বী? না স্থূলকায়া?

তন্বী? না স্থূলকায়া? -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২০ ডিসেম্বর ২০০৩; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত না, আমার আগ বাড়িয়ে বলার কোন দরকার নেই। হাসিমারার সবাই জানে সেঁজুতি রায় তন্বী আর গায়ত্রী দিদিমণি স্থূলকায়া। চোখের দেখাতেই লোকে বুঝতে পারে কে প্যাঁকাটি আর কে হোঁদল কুতকুত। তবে চিকিৎসাশাস্ত্রে এসবের সঠিক মাপজোকের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। দেহের মেদ নির্ণয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি চালু পদ্ধতিটি হল বডি মাস ইনডেক্স বা সংক্ষেপে বি এম আই। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব দেশের ডাক্তারবাবুরা এটাকেই ব্যবহার করেন। দেহের উচ্চতার সঙ্গে আপনার ওজনের হিসেবনিকেশ করে বি এম আই জানা যায়। ফর্মূলাটি হলঃ- কিলোগ্রামে আপনার ওজন/ (মিটারে আপনার উচ্চতা)২     ধরা যাক আপনার ওজন ৬০ কেজি আর উচ্চতা ১.৬০ মিটার। তবে বি এম আই হবে- ৬০/১.৬০x ১.৬০= ২৩.৪৩ অঙ্কটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে উচ্চতার তুলনায় যার ওজন যত বেশি হবে তার বি এম আই ততই বাড়বে। ছেলেদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বি এম আই ২০-২৫ ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৯-২৪ এর বেশি হলেই তাকে মোটা বলে ধরে নিতে হবে।     দেহের মেদবৃদ্ধি থেকে যে হাজারো রোগ বাসা বাঁধে তা ...

continue reading →

রোগ: যোগ বিয়োগ, আস্থা-অনাস্থা

31 Aug 2020 রোগ: যোগ বিয়োগ, আস্থা-অনাস্থা

রোগ: যোগ বিয়োগ, আস্থা-অনাস্থা; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২১ মে ২০০৫; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট দেখে তো চক্ষু চড়ক গাছ। প্রশ্ন করলাম, ওষুধগুলি ঠিকমতো খাচ্ছেন তো? হ্যাঁ মানে না, অ্যাঁ, আসলে গত মাস থেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ রেখেছিলাম। টিভি দেখে যোগ করছিলাম তো তাই। না, শুধু এল. আই. সি-র অধিকারী বাবু নয়, আমার পাড়ার ঘোতনদা, রুবি বউদি অনেককেই দেখছি এই আশ্চর্য হুজুকে মেতে উঠেছেন। ব্যাপারটা ঠিকমতো বুঝে না নিয়ে, শুধুমাত্র টিভি দেখে সকলেই রাতারাতি যোগী হয়ে উঠেছেন। একটি টিভি চ্যানেলের দৌলতে পেপসি-পপকর্ন খাওয়ার  সঙ্গে যোগ  প্রাণায়াম করার তেমন কোনো আর পার্থক্য নেই। প্যাকেট খুলে গলায় ঢাললেই হল। যোগব্যায়াম বা প্রাণায়াম করবেন তাতে ক্ষতি নেই। এ ব্যাপারে বাগড়াও দিচ্ছি না। তবে সব কিছু জেনে বুঝে তারপর শুরু করাটাই ভাল। নাহলে আপনার দশা সেই বিক্রম অধিকারীর মতো হতে পারে। কথা না বাড়িয়ে গোড়া থেকে শুরু করা যাক।     অনেককালের কথা। তপোবনবাসী ঋষিমুনিরা ঈশ্বরের আরাধনা করতে গিয়ে দেখলেন, শরীর সুস্থ না থাকলে ভগবানের সাধনা কেন, কোন কাজই ঠিক মতো করা সম্ভব নয়। তাঁর...

continue reading →

মেদ কমাতে লাইপোসাকশন

10 Jun 2020 মেদ কমাতে লাইপোসাকশন

মেদ কমাতে লাইপোসাকশন; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ৭ আগস্ট ২০০৪; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সবে আসর জমে উঠেছে। শ্রীমতি জ্যোৎস্না পাল তাঁর সুরেলা কন্ঠে গান ধরেছেন- চলো না দীঘার সৈকত ছেড়ে ঝাউবনের ছায়ায়....। হঠাৎই বিকট চিৎকার - হেল্প হেল্প। ঘাড় ঘুড়িয়ে সবাই মিসেস রায়ের দিকে তাকিয়ে। পঁচানব্বই কেজি ওজনের স্থূলকায়া মিসেস রায় বসেছিলেন হাতলওয়ালা কেদারায়। ওঠার সময় লক্ষ্য করলেন হাতল দুটি প্রবলভাবে আটকে গেছে তাঁর সুবিপুল নিতম্বে। তাই এই আর্তনাদ। মিস্টার অতীন রায় নিদাম চা বাগিচার ম্যানেজার। কোম্পানির খরচে বাংলোতে দশ-বারোটি নোকর-চাকর। মালি, বাবুর্চি, খানসামা। শ্রীমতি রায়ের মূল কাজ হলো কেবলে বিদেশি চ্যানেল লাগিয়ে টিভি-র সামনে বসে থাকা। মোবাইলে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা মেয়েলী গল্প করা, এটা সেটা হুকুম করা। টুকটাক মুখ চালানো। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। দিনের পর দিন শরীরের গিরি- উপত্যকায় ভিড় বাড়াচ্ছে স্নেহ নামক বিষম বস্তু।     যাঁদের দেহে স্নেহ বা মেদ বেড়েই চলছে, কিন্তু শারীরিক পরিশ্রম বা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না তাঁদের দিকে হাত বাড়ি...

continue reading →

Join our mailing list Never miss an update