বাচ্চার ওজন কত? -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৮ মার্চ ২০০৬; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত জন্মের সময় বাচ্চার ওজন আড়াই কিলোগ্রাম হলেই ভালো। সামান্য কম বা বেশিতে উদবেগের কিছু নেই। তিন থেকে বারো মাস বয়সি বাচ্চাদের ওজন ঠিক আছে কিনা, তা জানার সহজ উপায়, বাচ্চার বয়স যত মাস, তার সঙ্গে ৯ যোগ করে ২ দিয়ে ভাগ করুন। যা ফল হবে,তত কিলোগ্রাম হওয়া উচিত আপনার বাচ্চার ওজন। যেমন ধরুন, আপনার বাচ্চার বয়স ৫ মাস। তাহলে অংকটা হবে এইরকমঃ- ৫+৯/২=১৪/২=৭ কিলোগ্রাম। ১থেকে ৬ বছরের বাচ্চার ঠিকঠাক ওজন হওয়া উচিত যত বছর বয়স, তাকে ২ দিয়ে গুণ করে ৬ যোগ দেওয়া। যদি বাচ্চার বয়স ৪ বছর হয়, তাহলে ওর ওজন হওয়া উচিত এইরকমঃ- ৪ x ২+৬=১৪ কিলোগ্রাম। ৬ বছরের বেশি বয়স হলে, যত বছর বয়স তাকে ৭ গিয়ে গুণ করে ৫ বিয়োগ করতে হবে। যদি আপনার বাচ্চার বয়স হয় দশ বছর, তাহলে অংকটা হবে এরকম। ১০-কে ৭ দিয়ে গুণ করে ৫ বিয়োগ। তাকে ৫ দিয়ে ভাগ। অংকটা দাঁড়াবে এরকমঃ- ১০ x ৭-৫/২= ৭০-৫/২= ৬৫/২ কিলোগ্রাম। অর্থাৎ ১০ বছর বয়সে আপনার বাচ্চার ওজন হওয়া উচিত সাড়ে বত্রিশ কিলোগ্রাম। নির্দিষ্ট সময়ের আগেভাগে কম ওজন নিয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুরা পড়াশোনায় ভালো ...
continue reading →টনসিলের সমস্যা অবহেলা করবেন না; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৬ জানুয়ারি ২০০২; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত নতুন বছরের শুরুতে শীত জাঁকিয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গে। অনেকেরই এসময় একটা বড় সমস্যা টনসিলে ব্যথা। এই সমস্যা এবং তার প্রতিকার নিয়ে লিখেছেন -ডাঃ পার্থপ্রতিম টনসিল হলো আমাদের মুখের ভেতরে থাকা লসিকা গ্রন্থি। মোটমুটিভাবে সব স্তন্যপায়ী প্রাণীদের টনসিল থাকে। তবে টনসিল কিন্তু একজোড়া নয়, তিনজোড়া। গলার মধ্যে, নাকের ভেতর ও জিভের নিচে টনসিল থাকে। এরা আবার লসিকা নালী দিয়ে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। নাকের ভেতরে থাকা টনসিলকে বলে ফ্যারিনঞ্জিয়াল টনসিল। এর ডাকনাম অ্যাডিনয়েড (Adenoids)। অ্যাডিনয়েড বড় হলে রোগীর নাক দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। রাতের বেলায় মাঝে মাঝে নাক বন্ধ হয়ে আসে, তখন সে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। পরবর্তীকালে আরো বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়। জিভের নিচে থাকা টনসিলের নাম লিংগুয়াল টনসিল (Lingual tonsil)। তবে এতে সাধারণভাবে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। কারো কারো ক্ষেত্রে এটি ফুলে যায় ও ব্যথা হয়। গলার ভেতরে ফ্যারিংসের দু’পাশে থাকা টনসিলকে আমরা সাধারণভাব...
continue reading →কাঁঠাল খান; -ডাঃ পার্থপ্রতিম।; ২৩ জুলাই ২০০৫; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত পাকা কাঁঠাল খান, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মিলবে। তলপেটে ব্যথা? পাকা কাঁঠালের কোয়ায় সেই ব্যথার উপশম হবে। যাঁরা এমন ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য পাকা কাঁঠাল খুবই ভালো। পাকস্থলিতে গ্যাস তৈরি করে পাকা কাঁঠাল। সেই গ্যাস খিদে কমিয়ে দেয়। যাঁরা অর্শে ভুগছেন, তাঁদের জন্যও পাকা কাঁঠাল উপকারী। এইচ আই ভি ওয়ানে (এইডসে) আক্রান্ত যাঁরা, তাঁদের দরকার কাঁঠালের বিচিতে থাকা প্রোটিন জ্যাকালিন, যা কোষ থেকে কোষে এইডস জীবাণুর ছড়িয়ে পড়ার পথে প্রতিরোধ গড়ে। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানে শরীরের যে সব ক্ষতি হয়, তার অনেকটাই সামাল দিতে পারে পাকা কাঁঠাল। পাকা কাঁঠালের জ্যাম, জেলি, আইসক্রিম এমনকী চিপস, পাপড়ও খাওয়া যায়। পাকা কাঁঠালের প্রতি ১০০ গ্রাম ভোজ্য অংশে প্রোটিন থাকে ১.৩ থেকে ১.৯ গ্রাম। ফ্যাট ০.১ গ্রাম থেকে ০.৩ গ্রাম। কার্বেহাইড্রেট তথা শর্করার পরিমাণ ১৮.৯ গ্রাম থেকে ২৫.৪ গ্রাম। খাদ্য আঁশ থাকে ১ গ্রাম থেকে ১.১ গ্রাম। ক্যালসিয়াম মেলে ২২ মিলিগ্রাম। ফসফরাস ৩৮ মিলিগ্রাম। আয়রন ০.৫ গ্রাম। সোডিয়া...
continue reading →হাঁ করুন কিংবা হাই তুলুন; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১০ ডিসেম্বর ২০০৫; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত শহুরে জীবনের প্রতিযোগিতা এবং মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন অল্প সময় বার করে নিয়ে, কিছু ব্যায়াম যদি করা যায়, তাহলে সহজেই মন মর্জিকে চাঙ্গা করে যেতে পারে। সকলের সামনে করতে হয়তো লজ্জা করতে পারে, সেক্ষেত্রে একটু নির্জনে যে কোনো জায়গায় করতে পারেন। নিম্নলিখিত ব্যায়ামগুলি প্রয়োজন বুঝে বেশি বার করুন আর হাতেনাতে ফল উপভোগ করুন। রাগ কমাতে প্রথমে মুখটা হাঁ করবেন। গভীর করে শ্বাস নিন। তারপর কোনোরকম আওয়াজ না করে নিঃশ্বাসটা ছেড়ে দিন। অন্য একভাবেও রাগ কমানো যেতে পারে। চোখ বন্ধ রেখে বা খুলে গভীর প্রশ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এটি করার সময় সম্পূর্ণ মনযোগ দেবেন শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে। এরকম ক্রমান্বয়ে বেশি সময় ধরে করুন। হতাশা কমাতে হতাশা থেকে নিজেকে তাড়াতাড়ি জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে হৃদপিন্ডের ব্যায়াম খুব কাজ দেয়। কিছু পরিমাণ ওজনের জিনিস হাতে নিয়ে হাঁটুন। কয়েক মিনিট পর হাঁটা থামিয়ে সামান্য লাফান। এটি একধরনের উপায়। অথবা অ্যারোবিকসের একটি পাঠ্...
continue reading →হৃদরোগ আটকাতে ব্যায়াম; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৪ নভেম্বর ২০০৭, পৃষ্টা- তিন; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত জীবনের সব সাফল্যই কষ্টার্জিত, শরীরকে সুস্থ ও কর্মঠ রাখতে গেলে তার জন্য সঠিকভাবে পরিশ্রম করতে হবে। সজীব ও সবল রাখতে হবে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ হল সঠিক নির্দেশ মেনে, শরীর চালনার মধ্য দিয়ে দেহ ও মনকে নীরোগ রাখার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। হৃদরোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় করতে নিয়মিত ব্যায়ামের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। হৃদয়ের পেশিগুলিকে সুস্থ সবল রাখতে চাই পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি। করোনারি ধমনি নিয়মিতভাবে হৃদযন্ত্রে তা সরবরাহ করে। রক্তের মধ্যে কোলেস্টেরল বা চর্বির পরিমাণ বেশি হলে সেই চর্বি কারোনারি ধমনির মধ্যে এক বা একাধিক স্থানে জমতে থাকে, ফলে হৃদপেশিগুলিতে রক্ত সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে করোনারি ধমনির ভেতরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। সে কারণে করোনারি ধমনির অন্তর্বর্তী আয়তন ক্রমশ বাড়তে থাকে, ধীরে ধীরে এই ধমনি অনেক বেশি রক্তচাপ নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। হর্টের পেশি বেশি পুষ্টি ও অক্সিজেন পেয়ে সুস্থ-সবল হয়ে ওঠ...
continue reading →টনসিলে টনটন; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত টনসিল হল আমাদের মুখের ভেতরে থাকা লসিকা গ্রন্থি। মোটামুটিভাবে সব স্তন্যপায়ী প্রাণীদের টনসিল থাকে। তবে টনসিল কিন্তু একজোড়া নয়, তিন জোড়া। গলার মধ্যে, নাকের ভেতর ও জিভের নীচে টনসিল থাকে। এরা আবার লসিকানালি দিয়ে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। নাকের ভেতরে থাকা টনসিলকে বলে ফ্যারিনজিয়াল টনসিল। এর ডাকনাম অ্যাডিনয়েড। এই অ্যাডিনয়েড বড়ো হলে রোগীর নাক দিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। রাতের বেলায় মাঝে মাঝে নাক বন্ধ হয়ে আসে, তখন সে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়। পরবর্তীকালে আরও বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়। জিভের নীচে থাকা টনসিলের নাম লিংগুয়াল টনসিল। তবে এতে সাধারণভাবে তেমন কোনও অসুবিধা হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে এটি ফুলে যায় ও ব্যথা হয়। গলার ভেতরে ফ্যারিংসের দু-পাশে থাকা টনসিলকে আমরা সাধারণভাবে টনসিল বলি। অর্থাৎ সাধারণভাবে টনসিল বলতে গলার ভেতর জিভের গোড়ায় থাকা ডিম্বাকৃতি লসিকা গ্রন্থি দুটিকেই বুঝি। এর ডাক্তারি নাম প্যালাটাইন টনসিল। সাধারণত জন্মের পর থেকে টনসিলের আকার ধীরে...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →