ভ্যবসা গরম, সাথে রিম-ঝিম-ঝিম বৃষ্টি। এই অম্বরঘন কুঞ্জছায়ায়, যারা লকডাউনের বিষাদ কাটাতে বিপিনবাবুর কারণসুধার রসাস্বাদন করেন; তাদের শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য গবেষণাধর্মী প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিলেন- ডাঃ পার্থপ্রতিম। নীলপাখি পত্রিকার প্রস্তুতি সংখ্যা আগস্ট ২০১৩ প্রকাশিত বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল. . . নয় । ভরা ভদরে বৃষ্টিধারার আমেজ ... আমাদের বলাকা মনকে নিয়ে যায় বিরহ কল্পলোকে। বর্ষা হৃদয়কে নষ্ট্যালজিক করে। মন টানে সুদুর রামগিরিতে। এ লগনে যারা আড্ডা-সুর-সঙ্গীতেই মাতোয়ারা, যাদের আর কোন মাদকতার প্রয়োজন নেই, অমৃতে যাদের অরুচি -তারা নমস্য। কিন্তু যারা আমার মতো অন্যরকম মৌতাতে মাতেন; তাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য কিছু ব্যাকরণ মেনে চলতে হবে। ব্যাকরণ জানার আগে, সুরা বা মদের ইতিকথাটা একটু নাড়াচাড়া করে দেখা যাক্ । আর্যদের কাছে যে সোমরস এক উত্তেজক পানীয় ছিল সে অনেকেরই জানা। ঋক্বেদে সোম নামে এক লতাজাতীয় গাছের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই লতা একটু গরম করে পাথরে ছেঁচে, হাতের দশ আঙ্গুলে নিংড়ে তা থেকে রস বার করা হতো। তারপর ভেড়ার রোম থেকে তৈরী এ...
continue reading →উত্তরবঙ্গ সংবাদ ২২ নভেম্বর ২০০৮; পৃষ্ঠা-তিন -এ প্রকাশিত আমাদের শরীর জুড়ে রয়েছে এক সুবিশাল স্নায়ুর জাল। এই স্নায়ুতন্ত্র বা নার্ভস সিস্টেমের জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি আমরা উপলব্ধি করতে পারি। প্রয়োজনে সেই উপলব্ধি বা উত্তেজনায় সাড়া দিয়ে থাকি। একটা ছোট উদাহরণের মধ্যে দিয়ে ব্যাপারটা সহজে বোঝা যেতে পারে। যেমন, আপনার পায়ে কাঁটা ফুটলো সেই বেদনা আপনার মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে। মস্তিষ্ক থেকে নির্দেশ আসে আপনার পা টাকে সরিয়ে নেওয়ার। এই নির্দেশ সবার প্রথমে আসে পায়ের মাংসপেশীতে, মাংসপেশী নড়াচড়া করে বা সঙ্কুচিত করে কাঁটা বেছানো পথ থেকে আপনার পা-টিকে সরিয়ে ফেলার। মস্তিষ্ক থেকে পেশীতে যে সব স্নায়ুকোষের মধ্যে দিয়ে নির্দেশ আসে; সেই স্নায়ুকোষগুলিকে বলে মোটর নার্ভ । এই মোটর নার্ভ বা স্নায়ুকোষ নিউরোনের মধ্যে দিয়ে আসা সংকেতটা আসলে বৈদ্যুতিক সংকেত । কোন কারনে এই বৈদ্যুতিক সংকেত না পৌঁছালে বা মোটর নিউরোন কোষগুলি ঠিকমত কাজ না করতে পারলে মাংসপেশীগুলির উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ আপনার ইচ্ছা করছে পা-টিকে সরিয়ে নেবার; ...
continue reading →যযাতি নারী হলে ইতিহাস অন্যরকম হতো; ডাঃ পার্থপ্রতিম; জুন সংখ্যা ২০০৬; পৃষ্টা- ৮৭ 'তথ্যকেন্দ্র' পত্রিকাতে প্রকাশিত নদীর ঢেউ-এর মতো নারীর যৌবন দ্রুত বয়ে যায়। ফেরে না। কিন্তু বয়ে যাওয়া যৌবনকে যদি সমুদ্রের ঢেউ-এর মতো ফিরিয়ে আনা যায়! কিংবা ধরে রাখা যায় বদ্ধ জলাশয়ের মতো? প্রায় অবিশ্বাস্য সেই চিকিৎসার কথা শোনাচ্ছেন -ডা.পার্থপ্রতিম। কালের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুই ক্ষয় হতে থাকে। আমাদের এই নরদেহও প্রকৃতির এই অমোঘ নিয়মের বাইরে নয়। আমরা ধরার বুকে ধরা দেওয়ার পর থেকে দেহের মধ্যে চলতে থাকে বিভিন্ন পরিবর্তন। শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে আমরা চলতে থাকি বার্ধক্যের অভিমুখে। নারীদেহে যখন বার্ধক্য আসে, তখন বেশ কিছু লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যায়। সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রজঃস্রাব। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘মেনোপজ’। এই সময় শরীরের ভেতরে থাকা বিভিন্ন হরমোন্যাল গ্রন্থগুলি তাদের কাজকারবার পালটে ফেলে। ডিম্বাশয় বা ওভারি থেকে বেরিয়ে আসা ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ খুবই কমে যায়। দেখা দেয় বিভিন্ন উপসর্গ। কান, মাথা ঝাঁ ঝাঁ করা হঠাৎ করে গরম হলকার অনু...
continue reading →মেনোপজ ও খাবার- দাবার; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১৩ই আগষ্ট ২০০৬; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত জীবনটাই হল একটা সঙ্গীত। এতে আভোগ আছে, স্থায়ী আছে। আছে অন্তরা- সঞ্চারী। প্রকৃতির বুকে খেলে যাওয়া গ্রীষ্ম - বর্ষা, শরৎ ও হেমন্তের মতো আমাদের জীবন অঙ্গনে হতে থাকে ঋতু পরিবর্তন। কৈশোর থেকে আমরা যখন যৌবনে পা রাখি তখন আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন আসে। দ্রুত পাল্টাতে থাকে দেহের ভূগোল। কিশোরের চেয়ে কিশোরীর এই আভ্যান্তরীণ ও বাহ্যিক পরিবর্তন বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো। দশ বছরের কিশোরীর সাথে চতুর্দশবর্ষীয়ার যেন কোনও মিলই নেই। শুধু দেহের গঠনে নয়; চিন্তা- মননে সে হয়ে উঠেছে এক নারী। ডিম্বাশয় বা ওভারীতে তৈরী হওয়া ইস্ট্রোজেন হরমোন চোখের আড়ালে দাঁড়িয়ে এইসব পরিবর্তন ঘটাতে থাকে। যুবতী মেয়ের ডিম্বাশয় বা ওভারিতে থাকে ছোট ছোট থলির মতো ফলিকল। ফলিকলগুলির ভেতরে থাকে ওভাম বা ডিম্বাণু। এই ডিম্বাণুগুলি ক্রমশ বড় হতে হতে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়, তারপর ফলিকস ফেটে বেরিয়ে আসে। ডাক্তারী ভাষায় একে বলা হয় অভিউলেশন। বাংলা তর্জমায় কবে ডিম্বাণু নিষ্ক্রমণ...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →