কবিগুরুর খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থের সেই ডাক্তারের ছড়াটা মনে আছে ? না, পাড়াতে আজ আর নাড়ী টেপা ডাক্তারের অতি উচু নাক দেখা যায় না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভিনব অবিষ্কারের ফলে ভোল পাল্টে যাচ্ছে পরিচিত দুনিয়ার। চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে আসছে নিত্য নতুন অত্যাধুনিক উপকরণ। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বহু আধুনিক যন্তর- মন্তর আজ আমাদের দোরগোড়ায়। ডাক্তারবাবুরা এখন হামেসাই এইসব পরীক্ষার জন্য রোগী ও তার পরিবারকে পরামর্শ দেন। এই ...
continue reading →কবিগুরুর খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থের সেই ডাক্তারের ছড়াটা মনে আছে ? না, পাড়াতে আজ আর নাড়ী টেপা ডাক্তারের অতি উচু নাক দেখা যায় না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভিনব অবিষ্কারের ফলে ভোল পাল্টে যাচ্ছে পরিচিত দুনিয়ার। চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে আসছে নিত্য নতুন অত্যাধুনিক উপকরণ। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বহু আধুনিক যন্তর- মন্তর আজ আমাদের দোরগোড়ায়। ডাক্তারবাবুরা এখন হামেসাই এইসব পরীক্ষার জন্য রোগী ও তার পরিবারকে পরামর্শ দেন। এই স...
continue reading →ডাক্তার বাবুর কাছে (প্রথম পর্ব); -ডাঃ পার্থপ্রতিম; জানুয়ারী- ফ্রেব্রুয়ারী২০০৬; জ্ঞান বিজ্ঞান (ত্রিপুরা) পত্রিকায় প্রকাশিত প্রায় সকলকেই অসুখে-বিসুখে ডাক্তারবাবুর কাছে যেতে হয়। তবে অনেকেই অসুবিধার কথা সঠিকভাবে বলতে জানি না।ফলে একদিকে আমরা যেমন যথার্থ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হই, অন্যদিকে ডাক্তারবাবুরাও ব্যাপক বিরক্ত এবং উত্যক্ত হন। এই অসুবিধা দূর করতে কলম ধরেছেন- ডাঃ পার্থপ্রতিম। ছিপছিপে চেহারা মাঝারি গড়ন। নাম শ্যামল সরকার। চা বাগানের কেরানী নিজের পরিচয় দেন রেশনবাবু। ডাক্তারবাবু আপনার সঙ্গে বিশেষ কথা আছে- ‘বলুন’। “ গত বছর পুজোর সময় আমি চেন্নাইতে গিয়েছিলাম। আমার ভায়রা তো ইস্টার্ন রেলের কমার্সিয়াল অফিসার। ওই-ই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এখান থেকে কোলকাতা ফ্লাইটে যাই, তারপর করোমন্ডল এক্সপ্রেসে। চেন্নাইতে ছিলাম রেলের গেস্ট হাউসে। এলাহি ব্যবস্থা, বাথরুমে প্রতি ঘরে ঘরে ঠান্ডা জল-গরম জল, নিচে কার্পেট। জানালা দিয়ে মেরিনা বিচটা সুন্দর দেখা যায়।” ‘ও আচ্ছা’( আমি নিরুত্তাপভাবে )। “চেন্নাইতে বহু জায়গা ঘুরলাম। পক্ষীতীর্থম, শ্রীপেরাম...
continue reading →স্বপ্নদোষ দোষই নয়; মিথ্যে জুজুর ভয়;-ডাঃ পার্থপ্রতিম। ২৩ আগষ্ট ২০০৮ ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত লম্বা ছিপছিপে, ফর্সা চেহারা। বছর ষোল বয়স হবে। সমীরের চোখের কোণে কালি। কাচুমাচু মুখ করে বলল- “ ডাক্তারবাবু আমার না মারাত্মক রোগ হয়েছে। স্বপ্নদোষের জন্য দিনদিন শুকিয়ে যাচ্ছি, খিদে একদম নেই, যখন তখন মাথা ঘেরায়, পড়লে কিচ্ছু মনে থাকে না। ” শুধু সমীর নয়; এ বয়সের অনেক ছেলে- ছোকড়া একই রকম সমস্যায় ভুগে থাকে। এদের মধ্যে সামান্য কয়েকজন ডাক্তারের কাছে আসে; বেশীর ভাগ ছেলেরাই নিজের মনে চেপে রাখে দুঃচিন্তা আর উদ্বেগ। ঘুমের মধ্যে উত্তেজক স্বপ্ন দেখে বীর্যপাত খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এই বীর্যপাতকে ঘিরে বহু ভ্রান্ত ধারণা এদেশের যুবকের মধ্যে দেখা যায়। এই ধারণা তৈরীর পটভূমিও খুব প্রাচীন। প্রাচীন ঋষি বলেছেন - এই কথার ধর্মীয় গুরুত্ব কিছু থাকলেও থাকতে পারে তবে বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। আমাদের মানব জীবন একটি রৈখিক পথ চলে। শৈশবের আগে মাতৃগহ্বরে জীবনের সুরুয়াৎ। তারপর শৈশব থেকে কৈশোর, কৈশোর থেকে যৌবন। কৈশোর থেকে আমরা যখন যৌবনে পা রাখি তখন আমাদের দেহের ভেতর ...
continue reading →ঋজু কিচ্ছুই খায় না- সব মোনালিসাদের একই কথা; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১২ জুন ২০১০ পৃষ্ঠা- নয় -উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সময় হলেই এক হুলুস্থুল কান্ড। আগে আগে ছুটছে ঋজু পেছনে পেছনে ছোট্ট ডিস হাতে মোনালিসা দেবী। ঋজু আর খাবে না, মোনালিসাও তাকে না খাইয়ে ছাড়বে না। খাবার সময় হলেই নিত্য দিনের হাউস ওয়ার বা গৃহযুদ্ধ। হ্যাঁ, শুধু ঋজু কেন? স্নেহা- সাম্য- পহেলী সবার মা-ই তো একই বগর বগর করে- “ডাক্তারবাবু, আমার বাচ্চাটা না সত্যিই একদম কি-ই-ছ- ছু খায় না।” আমার মতো চিকিৎসক যাদের শিশু নিয়ে বেশী নাড়াচাড়া করতে হয়; তাদের তো এ অভিযোগ শুনে শুনে কান-মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। বেশী কথায় যাবার আগে আমাদের খিদে লাগার ও খাওয়ার ব্যাপারটি ছোট্ট করে বুঝে নেওয়া যাক। অন্যসব বিষয়ের মতো আমাদের খিদে, তৃষ্ণা নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিষ্ক থেকে। খিদে পাওয়া ও খাবার হজম করা বিষয়টির মধ্যে দুটি বিষয় লুকিয়ে আছে। প্রচলিত ভাষায় একে আমরা বলি আনকন্ডিশনাল ও কন্ডিশনাল বিফ্রেক্স অ্যাকশন। বাংলায় অনপেক্ষ ও সাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়া। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে সোভিয়েত জীব বিজ্ঞানী আইভান পাভলভ এ...
continue reading →শুরু হয়ে গেল বোর্ড পরীক্ষা। অনেকের জীবনে এটাই প্রথম বড় পরীক্ষা। তাছাড়া যারা দিল্লী বোর্ডের অধীনে পড়ছো তাদের আবার সামনেই ফাইন্যাল পরীক্ষা। লিখিত হোক বা মৌখিক যে কোন পরীক্ষার সময় শরীর -স্বাস্থ্য ঠিক রাখা বিশেষ দরকার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এধরনের বড় পরীক্ষার আগে স্বাভাবিকভাবেই ছেলে- মেয়েরা একটু মানসিক চাপের মধ্যেই থাকে। এই মানসিক চাপ তৈরী হয় আমাদের গুরু মস্তিস্ক বা সেরিব্রাল হিমোস্ফেয়ারের মধ্যে থাকা লিম্বিক জোনে। এই লিম্বিক অংশ হল আমাদের উত্তেজনা, উৎকণ্ঠা, আশঙ্কা, আবেগ, দুঃচিন্তার উৎপত্তিস্থল। লিম্বিক জোন থেকে উৎকণ্ঠা তৈরি হলে আমাদের দেহের ভেতরে থাকা বেশ কিছু অন্তস্রাবী গ্রন্থি বা হরমোন্যাল গ্ল্যান্ড সক্রিয় হয়ে ওঠে। আমাদের প্রতিটি বৃক্ক বা কিডনির ওপরে থাকা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে অ্যাড্রিন্যালিন ও নন- এপ্রিনেফ্রিনহরমোন নিঃসৃত হয়। এর প্রভাবে খিদে কমে আসা, হাত- পা ঘামে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা আরো কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে। অ্যাড্রিন্যাল গ্রন্থির কর্টেক্স অংশ থেকে বেরিয়ে আসা গ্লুকোকর্টিকয়েড হরমোন কার্বোহাইড্রেট,...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →