অথ মাংসকথা; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১৮ আগস্ট ২০০৭ শনিবাসর-উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের আওতাধীন হায়দরাবাদের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ নিউট্রিশনের তরফে জানানো হয়েছে: ছাগল/ পাঁঠার মাংসে ফ্যাটের পরিমাণ প্রতি ১০০ গ্রামে ৩.৬ গ্রাম। প্রোটিন ২১.৪ গ্রাম। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যথাক্রমে ১২ এবং ১৩৯ মিলিগ্রাম। রান্না করা গোমাংসের ১০০ গ্রামে প্রোটিনের পরিমাণ ৭৯.২ গ্রাম। ফ্যাট ১০.৩ গ্রাম। খনিজ পদার্থ ১.৬ গ্রাম। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রনের পরিমাণ যথাক্রমে ৬৮, ৩২৪ এবং ১৮.৮ মিলিগ্রাম করে। মোষের মাংসে প্রোটিনের পরিমান ১৯.৪ গ্রাম। ফ্যাট ০.৯ গ্রাম। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস যথাক্রমে ৩ এবং ১৮৯ মিলিগ্রাম। হাঁসের মাংসের প্রতি ১০০ গ্রামে প্রোটিন ২১.৬ গ্রাম এবং ফ্যাট ৪.৮ গ্রাম। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস যথাক্রমে ৪ এবং ২৩৫ মিলিগ্রাম। বনমোরগে প্রোটিন এবং ফ্যাট যথাক্রমে ২৫.৯ এবং ০.৬ গ্রাম। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস যথাক্রমে ২৫ এবং ২৪৫ মিলিগ্রাম। ভেড়ার মাংসে প্রোাটিন এবং ফ্যাট যথাক্রমে ১৮.৫ এবং ১৩.৩ গ্রাম। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস দুটোতেই ...
continue reading →এ সময়ের চর্মরোগ; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২২ মে ২০০৪,শনিবাসর; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রখর দহন তাপে সবাই অতিষ্ঠ। ভ্যাপসা গরম, আসছে প্যাচপ্যাচে বর্ষা। এ সময় যে সব চর্মরোগ দেখা যায় তার মধ্যে ছত্রাক সংক্রমণ বা ফ্যাংগাল ইনফেকশনজনিত রোগই বেশি। এমনিতে এদেশের তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতা ছত্রাকের পক্ষে উর্বর জমিন। তার মধ্যে গ্রীষ্ম ও বর্ষাতে পরিবেশ ছত্রাকের কাছে আরো অনুকূল হয়ে ওঠে। আমাদের ত্বক থেকে বেরিয়ে আসা ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি বিভিন্ন ছত্রাকের আক্রমণ প্রতিরোধ করে। কিন্তু গরমে বেশি মাত্রায় লবণাক্ত ঘাম হওয়ার জন্য ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘনত্ব কমে যায়। তাছাড়া গরমের দিনে অনেকে আবার বেশি করে সাবান মাখেন। সাবানও ত্বকের ফ্যাটি অ্যাসিডের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাই চামড়ায় সহজেই রোগের আক্রমণ হয়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলিতে অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে ছুলি, দাদ ও হাজার উপদ্রব বেশি। ছত্রাক সংক্রমণের বিষয়ে সমীক্ষা চালিয়ে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু মজার তথ্য পেয়েছেন। যেমন দেখা গেছে, কোনো নির্দিষ্ট জাতের ছত্রাক একটি নির্দিষ্ট ...
continue reading →কেস যখন জন্ডিস; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১১ নভেম্বর ২০০১ রবিবারের সাময়িকী; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত জন্ডিস অনেক সময়ই মারাত্মক হয়ে ওঠে। চলতি বাংলায় ন্যাবা, পান্ডুরোগ, কামলারোগ বলা হলেও ডাক্তারি পরিভাষায় একে হেপাটাইটিস বলে। 'হেপার' কথার অর্থ হল যকৃত বা লিভার। এই লিভারের প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশনকে হেপাটাইটিস বলা হয়। আলোচনা করেছেন -ডাঃ পার্থপ্রতিম। সাধারণভাবে দু’ধরনের জন্ডিস দেখা যায়। হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং হেপাটাইটিস ‘বি’। হেপাটাইটিস ‘এ’ কে বলা হয় ইনফেকটিভ হেপাটাইটিস এবং ‘বি’ কে বলা হয় সিরাম হেপাটাইটিস। এছাড়াও আরো বহু ধরনের জন্ডিস আছে। আমাশয় জীবাণু অ্যামিবিয়া হিস্টোলিকা অনেক সময় লিভারে ঢুকে জন্ডিস ঘটিয়ে থাকে। একে বলে ‘অ্যামিবিক হেপাটাইটিস’। গলব্লাডারস্টোন, টিউমার থেকে পিত্তনালীতে বাধা সৃষ্টির ফলে জন্ডিস হতে পারে। একে বলে 'অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস'। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যাসিটামিনোফেন, আইসোনায়াজাইড, ভ্যালপ্রয়িক জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার (Side effect) ফলে হেপাটাইটিস হতে দেখা যায়। অতিরিক্ত প্যারসিটামল খেলে...
continue reading →মহারাজ- ইনজামামদের সঠিক পানীয়; ডাঃ পার্থপ্রতিম; মার্চ ২০০৪; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত চলছে মহারণ। শুধু ম্যাচ নয়, দিল ভি জিতনা পরেগা। টিভি-র পর্দায় আটকে আছে কয়েক কোটি চোখ। মাঝের বিরতিতে শীতল পানীয়ের উষ্ণ বিজ্ঞাপন। বিভিন্ন কোম্পানির কোটি কোটি টাকা পকেটে পুরে-‘এ দিল মাঙে মোর’ বা ঠান্ডা মতলব...’ বলে যতই নাচানাচি করুন না কেন, এই তারকারা যে নিজেরা কতখানি এসব পানীয়তে গলা ভেজান সেটা কিন্তু বড়ো প্রশ্ন। না, সে বিতর্কে আপাতত যাচ্ছি না। তবে হ্যাঁ, খেলাধুলার সঙ্গে পানীয়ের সম্পর্ক খুবই নিবিড়। এক্ষেত্রে আমাদের শরীরটাকে মোটরগাড়ির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। গাড়ির ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখতে যেমন তার রেডিয়েটারে জল ঢালতে হয়, তেমনই অতিরিক্ত পরিশ্রমের সময় প্রয়োজন হয় পানীয়ের। আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৭-৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। শারীরিক পরিশ্রম করলে দেহের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে সে সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য ঘাম বেরিয়ে আসে। যে কারণে মাটির কলসিতে রাখা জল তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা থাকে, সেই একই কারণে ঘাম নিঃসরণে দেহ শীতল হয় ও দেহের তাপ সুনি...
continue reading →কুকুর পুষলে মানসিক চাপ কমে, রোগভোগও; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৩ আগস্ট ২০০৫, শনিবাসর-উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত কুকুর পুষুন। কুকুরটিকে সন্তান সম যত্নে লালন-পালন করুন। রোগভোগে জোরবার হতে হবে না, আায়ুও বাড়বে। আপনার উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ছাড়া যত ধরনের মানসিক চাপ আপনাকে বিধ্বস্ত করে, ভালোবেসে কুকুর পুষলে সে সব যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলবে। জার্মান সোশিও-ইকনমিক প্যানেল গবেষণা-সমীক্ষা চালিয়ে এই প্রতিবেদন পেশ করেছেন। জার্মানির গবেষণা ও উন্নয়ন মন্ত্রক এই কাজের জন্য টাকা জুগিয়েছিল। আমাদের দেশে এসব গবেষণা, টবেষণা হয় না। ভেটিরিনারি সার্জেন সুভাষ সরকার জানাচ্ছেন, যাঁরা কুকুর পোষেন, তাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন হন। কিছু খেতে হলে প্রতিবারই খাওয়ার আগে হাত, পা ধোওয়া, কুকুরদের খাওয়ানোর আগে পরেও একইভাবে হাত পা ধুয়ে নেওয়া, এই নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন কুকুরের মালিক এবং মালকিনরা। এরকম চলতে থাকায় শরীর শুধু সুস্থই থাকে না, কুকুরের সঙ্গে ওঠাবসার কারণে শরীরের প্রতিরোধী ক্ষমতাও বেড়ে যায়। ফলে, ঘনঘন ডাক্তারবাবুর চেম্বারে ছুটতে হয় না, আজ এ সমস্যা, কাল সে সমস্যায় ভুগ...
continue reading →গরমে সোনামণির খাবার-দাবার ; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৯ই জুলাই ২০০৬; রবিবারের সাময়িকী; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত গরম মানেই ভ্যাপসা ব্যাপার। ঘামে প্যাচপ্যচে শরীর, খাবারে অনীহা, অল্পতেই পেটের গোলমাল আরো কত কী। এ সময় আপনার সোনামনির শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় জলীয় পদার্থের। তবে যে শিশু পুরোপুরি বুকের দুধের ওপরে রয়েছে তাকে আর আলাদা করে জল খাওয়ানোর দরকার নেই। কারণ, মায়ের দুধে ৮৭ শতাংশই জল। তাছাড়া এদের আলাদা করে জলখাওয়াতে গেলে বেশ কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে। জল ফোটাতে শুরু করার পর অন্তত ২০ মিনিট লাগে পুরোপুরি জীবাণু মুক্ত হতে। যারা দুধের শিশুদের আলাদাভাবে জল খাওয়ান তারা বাচ্চার শরীরে বিভিন্ন রকম সংক্রমণ ঢুকিয়ে দিতে পারেন। এই জীবাণুগুলি মূলতঃ ঢোকে জলের বোতলের নিপল, ঝিনুক- বাটি থেকে। অনেকে আবার ফোটানোর পর জলকে ছেঁকে নেন। ছাকনিতে বা কাপড়ে থাকতে পারে বিভিন্ন রকমের রোগ-জীবাণু। মোটামুটিভাবে ৬ মাস বয়সের পর বাচ্চা মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার খেতে শুরু করে। এসময় বাচ্চাকে পরিশ্রুত জল খাওয়াতে পারেন। যারা এ গরমে স্কুলে যাচ্...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →