এ সময়ের চর্মরোগ

এ সময়ের চর্মরোগ

এ সময়ের চর্মরোগ; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২২ মে ২০০৪,শনিবাসর; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত

প্রখর দহন তাপে সবাই অতিষ্ঠ। ভ্যাপসা গরম, আসছে প্যাচপ্যাচে বর্ষা। এ সময় যে সব চর্মরোগ দেখা যায় তার মধ্যে ছত্রাক সংক্রমণ বা ফ্যাংগাল ইনফেকশনজনিত রোগই বেশি। এমনিতে  এদেশের তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতা ছত্রাকের পক্ষে উর্বর জমিন। তার মধ্যে গ্রীষ্ম ও বর্ষাতে পরিবেশ ছত্রাকের কাছে আরো অনুকূল হয়ে ওঠে।
    আমাদের ত্বক থেকে বেরিয়ে আসা ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি বিভিন্ন ছত্রাকের আক্রমণ প্রতিরোধ করে। কিন্তু গরমে বেশি মাত্রায় লবণাক্ত ঘাম হওয়ার জন্য ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘনত্ব কমে যায়। তাছাড়া গরমের দিনে অনেকে আবার বেশি করে সাবান মাখেন। সাবানও ত্বকের ফ্যাটি অ্যাসিডের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাই চামড়ায় সহজেই রোগের আক্রমণ হয়। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলিতে অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে ছুলি, দাদ ও হাজার উপদ্রব বেশি।
    ছত্রাক সংক্রমণের বিষয়ে সমীক্ষা চালিয়ে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু মজার তথ্য পেয়েছেন। যেমন দেখা গেছে, কোনো নির্দিষ্ট জাতের ছত্রাক একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকাতেই রোগ সৃষ্টি করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যে ফ্যাংগাস মালদা জেলায় চুলের দাদ তৈরি করে, তা আবার জলপাইগুড়িতে তেমন সক্রিয় নয়। এছাড়াও একই পরিবেশে পাশাপাশি দুজন থাকলেও তাদের দুজনেরই ছত্রাকজনিত রোগ নাও হতে পারে। কোনো ফ্যাংগাস তাকেই আক্রমণ করতে পারে যার শরীরে ওই ছত্রাক গ্রহণ করার প্রবণতা বা সেনসিটিভিটি আছে। এটি নির্ভর করে ব্যক্তির ত্বকে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রকৃতির ওপর। যেমন দেবযানীর কাছে ঘেষলে গা-গুলায়, সেঁজুতি ডিওডোরেন্ট না মেখেও দুর্গন্ধহীন। শিবের গীত ছেড়ে এবার আসল কথায় আসা যাক। প্রথমেই আলোচনা করব ছুলি নিয়ে।
    ছুলি : ডাক্তারি ভাষায় একে আমরা বলি টিনিয়া ভারসিকালার। ম্যালাসেজিয়া ফারফার নামের ছত্রাকটি এ রোগের জন্য দায়ী। ত্বকের প্রকৃতি ও বর্ণ অনুসারে ছুলি সাদাটে, লালচে, কালচে, তামাটে, রূপালি নানা রঙের হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গে সাদাটে ও তামাটে ছুলিই বেশি দেখা যায়। প্রথমে অল্প জায়গায় শুরু হলেও পরে বড়ো জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণভাবে গলা ও ঘাড় ছুলির উৎপত্তি স্থল। শুকনো অবস্থায় ঘষলে গুড়ো গুড়ো ছাতুর মতো উঠে আসে।
 

   চিকিৎসা : ১৮ শতাংশ সোডিয়াম থায়োসালফেট ১০ শতাংশ প্রেসিপিটেট মলম ছুলিতে বেশ ভালো কাজ করে। তবে প্যাচপ্যাচে গরম ও বর্ষায় মলম ব্যবহার করা বেশ অস্বস্তিকর। প্রপিলিন গ্লাইকল ভেজানো তুলো দিয়ে দিনে দুবার ছুলির জায়গাগুলি মুছে দিলে উপকার পাওয়া যায়। মাইকোনোজেল, কোট্রিমাজেল, সাইক্লোপাইরক্স লোশন ছুলি সারাতে লাগানো হয়। কিটোকোনোজেল ট্যাবলেট খেলেও ছুলি কমে।
    হোমিওপ্যাথি মতে, লক্ষণ অনুসারে সালফার, অ্যাসিড নাইট্রিকাম, নেট্রাম সালফ ব্যবহার করে ছুলি সারানো সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় সালফার-৩০ বেশ ভালো কাজ করে। যাদের চামড়ার অনেকটা জায়গা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরে ছুলি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অ্যাসিড নাইট্রিকাম ২০০ দেওয়া যেতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় শীতে তেমন থাকে না। কিন্তু গরম বা বর্ষা এলেই ছুলি হতে শুরু করে। এদের জন্য নেট্রাম সালফ ৩০ বেশ ভালো ওষুধ।
    যাদের ত্বকে ছুলি হওয়ার প্রবণতা আছে তারা ঘামে ভেজা জামাকাপড় বেশিক্ষণ পড়ে থাকবেন না। সম্ভব হলে প্রতিদিনই কাচা জামাকাপড় পরুন। বিশেষত গেঞ্জি অর্ন্তবাস রোজ বদলানো দরকার। সিন্থেটিক নয়, কাপড় হবে সুতির। সাবান বেশি মাখবেন না, তেমন প্রয়োজন হলে সালফার সোপ ব্যবহার করুন। আপনার যদি ঘাম বেশি হয় তবে দিনে দু-বার স্নান করতে পারেন। বেশি ঘাম হওয়া কোন রোগের মধ্যে পড়ে না। ঘাম কমানোর জন্য কোন ওষুধ না খাওয়াই ভালো। বাজারে নানারকম ঘাম নিরোধক বা অ্যান্টি পার্সপিরেন্ট ক্রিম, স্প্রে, লোশন, পাউডার পাওয়া যায়। এসবের মধ্যে থাকে অ্যালুমিনিয়াম সল্ট। এই লবণ আমাদের চামড়ায় থাকা ঘর্মছিদ্রগুলি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে অন্য বহু রোগেই দেখা দিতে পারে।
    ছুলিতে জ্বালা, যন্ত্রণা, ব্যথা এসব উপসর্গ থাকে না বলে; অনেকেই গায়ের এই ব্যাধিটিকে তেমন গায়ে লাগান না। চামড়ায় ছুলি দেখা দিলে প্রথম থেকেই সতর্ক হোন। দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। কারণ রোগটি পুরানো হয়ে গেলে সারতেও দেরি হয়। মহবীর রাবণের সেই উপদেশটি স্মরন রাখবেন-
    ‘শুভস্য শীঘ্রম
        অশুভস্য কালহরণম’।    

এ সময়ের চর্মরোগ, পর্ব-২; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৯ জুন ২০০৪, শনিবাসর; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত

রাম কিপটে, টু পাইস ফাদার মাদার, হার চিপ্পুস-এর যে কোনো একটা বলুন না, বানারহাটের সবাই বুঝে যাবে কার কথা হচ্ছে। এ হেন শঙ্করবাবু একদিন মুখ কাঁচুমাচু করে আমার ক্লিনিকে উপস্থিত। বুঝতে বাকি রইল না রোগ-যন্ত্রণা অসহ্য।
    দীর্ঘদিন হয়ে গেল শঙ্কর বাবুর গোপনাঙ্গে দাদ হয়েছে। প্রথমে তো ভাবলেন এসব আপনা আপনি সেরে যাবে। তারপর পোস্ট অফিসের সুভাষদার পরামর্শে কিছুদিন লেবু ঘষলেন। তাতেও কিছু হল না। শেষমেষ দরদস্তুর করে বাসস্ট্যান্ডের এক হকারের কছ থেকে কিনলেন দাদের অব্যর্থ মলম। গোল বাঁধলো এখানটাতেই। সেই অব্যর্থ দাওয়াই লাগিয়েই মারাত্মক জ্বালা, ব্যথা, গোপন অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ সব ফুলে ঢোল। অগত্যা মধূসদন শরণম।
    শঙ্করবাবু একা নন। এ পথের অনেক পথিক দেখেছি। আসুন, সবার আগে রোগটি সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।
    দাদ হল ছত্রাক ঘটিত রোগ। বর্ষা কালে ভিজে জুতো তিন-চারদিন রেখে দিন না; দেখবেন তাতে ছাতা পড়েছে। এই ছাতারই ভদ্রস্থরূপ হল ছত্রাক। জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিতে এরা এক ধরনের উদ্ভিদ। চামড়ার ওপরে বাসা বাঁধে। ভেজা ত্বক থেকে খাদ্য খাবার-দাবার নেয়। তারপর তাদের বাচ্চা কাচ্চা নাতি নাতনি হয়। রোগ দেহের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। মোটামুটিভাবে তিনটি বর্গের ছত্রাক মানুষের শরীরে দাদ সৃষ্টি করে।
    দাদ কোথায় হয়েছে সেই জায়গা অনুসারে ডাক্তারি শাস্ত্রে রোগের নামকরণ করা হয়। যেমন-
টিনিয়া ক্যাপিটিস : মাথার পেছনে ও পাশের দিকে এই দাদ দেখা যায়। এ দাদ গোলাকার। চুল গোড়া থেকে ছোট ছোট হয়ে খসে পড়ে। গোড়ায় ছোট ছোট কালো বিন্দুর  মতো দাগ দেখা যায়। এরই আরেক রকম ভেদ আছে যাকে বলি কেরিয়ান টাইপ। এটিও চুলে হয়। গোড়ায় ছোট ছোট জলভরা ফুসকরি দেখা যায়। অল্প টানেই চুল উঠে আসে।
 

  টিনিয়া বারবি : দেখা যায় গাল ও গোঁফে। সেলুনে দাড়ি কামানোর ক্ষুর, ব্লেড থেকে এটি সংক্রমিত হয়ে থাকে। টিনিয়া বারবি বেশ চুলকায়। শুকনো অবস্থায় চুলকালে খোসা ওঠে।
    টিনিয়া কর্পোরিস : দেহের যে সব জায়গায় চুল বা রোম কম থাকে সেখানে এটি দেখা যায়। এগুলি গোল গোল টাকা বা আধুলির মতো দেখতে। নখ দিয়ে চুলকালে অনেক সময় পেকে যায় ও পুঁজ জমে। প্রথম দিকে ঠিকমতো গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসা না করলে পরে এ থেকে একজিমা হতে পারে।                                                                      টিনিয়া আনগুয়াম : এটি নখের দাদ। নখের সামনে থেকে শুরু হয়। নখ ঘোলাটে হয়ে যায়। সহজেই ফেটে ফেটে যায়। নখের বাঁকাভাব বা বক্রতা নষ্ট হয়ে যাওয়াতে চ্যাপ্টা হয়ে দুপাশে ছড়িয়ে পরে।
 

  টিনিয়া ক্রুরিস : এটি অন্ডকোষের থলির গায়ে, নিতম্বে, ঊরুর ভেতর দিকে, কুঁচকিতে হয়ে থাকে। খুব চুলকায়। চুলকানোর পর জ্বালা করে। চটচটে আঠার মতো রস বের হয়।
    চিকিৎসা : দাদের চিকিৎসায় ১ শতাংশ টলনাফটেট, ট্রিপলডাই, ক্যাস্টালিনিস পেন্ট ও হুইটফিল্ড মলম ও লোশন বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও গ্রাইসোফালভিন ট্যাবলেট খেলে উপকার পাওয়া যায়। কিটোকোনাজল, মাইকোনাজল ও কোট্রিমাজল ট্যাবলেট ও লোশন মোটামুটিভাবে সব ধরনের ছত্রাকজনিত রোগে কাজ করে।
    হোমিওপ্যাথিতে দাদের ভালো ওষুধ রয়েছে। তবে রোগ ও রোগীর লক্ষণ অনুসারে এগুলি প্রয়োগ করতে হয়। যেসব রোগীর চুলকানি ঠান্ডা জলে আরাম হয় তাদের সিপিয়া ২০০ দেওয়া যেতে পারে। চুলকানির পর জ্বালা, মিষ্টি খেতে ভালবাসে, নোংরা প্রকৃতির, স্নান করতে চান না- এই ধরনের রোগীকে সালফার ৩০ দিয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। সারা গায়ে চাকা চাকা দাদ, রাতে চুলকানি বাড়ে, রোগীর জিভ মোটা ও থলথলে এসব ক্ষেত্রে মার্কুরিয়াস সল ২০০ প্রয়োগে রোগী আরাম পান।
    অন্য সব ছত্রাকজনিত চর্মরোগের মতো দাদের ক্ষেত্রেও সাবানের ব্যবহার যতদূর সম্ভব কমাতে হবে। জামাকাপড় অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। আর যে কথাটি আগেই বলেছি- যে কোনো রোগের চিকিৎসা ডাক্তারবাবুকে দেখিয়েই করানো উচিত। কেন না তারাই জানেন রোগের সঠিক কারণ ও প্রকৃতি। এ বিষয়ে অন্যথা হলে অবস্থা বানারহাটের শঙ্করবাবুর মতো হতে পারে।          

এ সময়ের চর্মরোগ; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৩ জুলাই ২০০৪ ;উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
শুধু উত্তরবঙ্গে নয়, বর্ষাকালে এদেশের গ্রামগঞ্জে হাজা খুবই সাধারণ সমস্যা। ছত্রাকঘটিত এই রোগটির ডাক্তারি নাম মনিলিয়্যাসিস। ক্যানডিডা অ্যালবিকানস নামের ইস্টজাতীয় ছত্রাক এই রোগের জন্য দায়ী। দীর্ঘসময় চামড়া ভিজে থাকা, অত্যাধিক ঘাম, গুমোট গরম, আটোঁসাঁটো পোশাক, ত্বকে ঠিকমতো আলো বাতাস না লাগা এসব বিভিন্ন কারণে মনিলিয়্যাসিস দেখা যায়।
 

   হাজা দেহের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। ডাক্তারিশাস্ত্রে এক এক জায়গায় হাজাকে এক এক নাম দেওয়া হয়েছে। আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে ও চামড়ার  বিভিন্ন ভাঁজ খাওয়া জায়গাতে যে চর্মরোগ হয় আমরা তাকে বলি ইন্টারট্রিগো। যারা বেশিক্ষণ ধরে জলের কাজ করেন, যেমন বাসন মাজা, কাপড় কাচা- তাঁদের হাতে পায়ে এটি হয়। এদেশে কৃষি শ্রমিকদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা যায়। মহিলাদের স্তনের নীচেও হাজা হতে পারে।


    শিশুদের মুখের ভেতর যে লালচে বা সাদাটে ঘা হয় সেটাও এক ধরনের হাজা। একে বলে থ্রাশ। শিশুর দুধ খেতে অসুবিধে হয়, মুখে জ্বালা ও ব্যথা থাকে, কোনো কোনো সময় জ্বরও আসতে পারে। বড়োদের ক্ষেত্রে এই ছত্রাকেরই আক্রমণে জিভে, মুখে, ঠোঁটে ঘা হয়। ভিজে প্যান্ট পরে থাকলে বাচ্চাদের ন্যাপকিন র‌্যাশ দেখা যায়। নখে যখন হাজা হয় তখন এর নাম প্যারোনিকিয়া । এতে নখের দুপাশ ফুলে ওঠে, লালচে বা সাদাটে ঘা হয়। সঙ্গে ব্যথা ও রস পড়ে। ওপর থেকে শুকনো মনে হলেও নীচে নীচে ঘা বাড়তে থাকে।
    মহিলাদের যোনিমুখে মনিলিয়্যাসিস হতে দেখা যায়। ডাক্তারি ভাষায় ‘ক্যানডিডিয়াস অফ ভ্যাজাইনা।’ পুরুষাঙ্গে এই রোগের নাম গ্লানস, পেনিস অ্যান্ড ফোরস্কিন। ভেজা, ময়লা অন্তবার্স পরার কারণে এটি হতে পারে। বিশেষত ডায়াবেটিস মেলিটাস আছে যাঁদের, তাঁদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।


    জেনসিয়ান ভায়োলেট ও নিস্টানটিন যুক্ত মলম, মাইকোনোজেন, কোট্রিমাজোল মলম ও লোশন হাজার চিকিৎসায় খুব ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে কিটোকোনাজলও খুবই ভালো কাজ দেয়। স্ত্রী যোনিপথের চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে তৈরি ভ্যাজাইনাল ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
    হোমিওপ্যাথিতে হাজা-র বেশ কিছু ভালো ওষুধ আছে। রোগী ও রোগলক্ষণ অনুসারে প্রয়োগ করলে ভালো ফল হয়। দেহের বিভিন্ন সন্ধিস্থল হেজে গিয়ে খুব যন্ত্রণা হলে গ্রাফাইটিস ৩০ উপকারী। শিশুদের ক্ষেত্রে ক্যামোমিলা ৩০ ভালো কাজ দেয়। দেহের বিভিন্ন স্থানে এই এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে থাকলে লাইকোপডিয়াম ২০০ প্রয়োগ করা যেতে পারে। তাছাড়া যারা মেদবহুল, অনবরত হাঁটার জন্য ঘষা লেগে লেগে ঊরুদেশ হেজে গেলে ইথুজা-৩০ ভালো ওষুধ। হাজা বা মনিলিয়্যাসিস হলে সাবানের ব্যবহার কমাতে হবে।

Join our mailing list Never miss an update