ঈর্ষা; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৫ নভেম্বর ২০০১; রবিবারের সাময়িকী; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সাত সকালেই এ কী কান্ড! মি. চ্যাটার্জি তো এক্কেবারে থ। নতুনকেনা মারুতি এসটিমের উইন্ড গ্লাস ভেঙ্গে চুরমার। গ্যারেজের দরজার ফাঁক দিয়ে এই কান্ডটা কেউ করে বসেছে। ঠিক এমনটি না হলেও ঈর্ষার এ ধরণের প্রকাশ আমরা মাঝে মধ্যেই দেখতে পাই। ঈর্ষা বা হিংসা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি নয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন-শিশু তিনটি মৌলিক অনুভূতি নিয়ে এই পৃথিবীর আলোয় চোখ মেলে। এই তিনটিকে বলে সহজ প্রাথমিক অনুভূতি (সিম্পল প্রাইমারী ইমোশন), ভয় (Fear), রাগ (Anger),ও ভালোবাসা (Love) হলো তাই। কোনো কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ, বাজি পটকার শব্দ, শিশুকে ফেলে দেওয়া হবে এমন ভঙ্গি (Loss of support) করলে সে ভয় পায়। শিশু মন যা করতে চায় যেমন মুখে আঙ্গুল দেওয়া, কোনো কিছুকে ধরতে চাওয়া এসব না করতে দিলে তার রাগ হয়। অনেক সময় বাচ্চাকে জোরে চেপে ধরা হলে তার রাগ হতে পারে। মা-বাবা কোলে নিলে বা তার পছন্দ মতো কিছু পেলে তার ভালোলাগে এটাই ভালবাসা। জন্মের পর থেকে ৬-৭ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর মধ্যে এগুলিই থাকে। তারপর ধীরে ধীরে সামাজিক যৌথ অনু...
continue reading →কুসংস্কারবিরোধী আন্দোলন ও প্রবীর ঘোষ প্রায় সমার্থক হয়ে গেছে। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। শতাধিক জ্যোতিষী ও আলৌকিক ক্ষমতাশীল ভন্ড বাবাজির তিনি মুখোশ খুলেছেন। চল্লিশটির বেশি গ্রন্থের লেখক। তাঁর লেখা ‘আলৌকিক নয় লৌকিক’ বইটি সপ্তাহের পর সপ্তাহ বেস্ট সেলার ছিল বাংলা প্রকাশনার জগতে। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের কিছু প্রশ্ন নিয়ে শ্রীঘোষের মুখোমুখি হয়েছেন ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১১ আগস্ট, ২০০৫ ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত ডাঃ পার্থপ্রতিমঃ-বিজ্ঞান আন্দোলন চললেও আবার পৃথকভাবে যুক্তিবাদী আন্দোলন কেন? প্রবীর ঘোষঃ- ৭০ এর দশকের আগে বিজ্ঞান আন্দোলন বলতে মনে করা হত বিজ্ঞানের তৈরি, মডেল প্রদর্শনী, দু-একটি কর্মশালা এমন কিছু অনুষ্ঠান। এর বাইরে সাধারণ মানুষের সমস্যাকে কেন্দ্র করে তেমন কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। কোনো রকম বড় উত্তোরণকেই আমরা বিপ্লব বলতে পারি। আসলে যুক্তিবাদী মন বা মানসিকতা ছাড়া কোনো রকম উত্তোরণ বা বিপ্লব সম্ভব নয়। নকশাল আন্দোলনের ক্ষেত্রে সমাজ পালটে দেওয়ার মানসিকতা থাকলেও গ্রাম্য ও শহরের মানুষের মধ্যে...
continue reading →উত্তরবঙ্গ সংবাদ ২২ নভেম্বর ২০০৮; পৃষ্ঠা-তিন -এ প্রকাশিত আমাদের শরীর জুড়ে রয়েছে এক সুবিশাল স্নায়ুর জাল। এই স্নায়ুতন্ত্র বা নার্ভস সিস্টেমের জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি আমরা উপলব্ধি করতে পারি। প্রয়োজনে সেই উপলব্ধি বা উত্তেজনায় সাড়া দিয়ে থাকি। একটা ছোট উদাহরণের মধ্যে দিয়ে ব্যাপারটা সহজে বোঝা যেতে পারে। যেমন, আপনার পায়ে কাঁটা ফুটলো সেই বেদনা আপনার মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় স্নায়ুতন্তুর মাধ্যমে। মস্তিষ্ক থেকে নির্দেশ আসে আপনার পা টাকে সরিয়ে নেওয়ার। এই নির্দেশ সবার প্রথমে আসে পায়ের মাংসপেশীতে, মাংসপেশী নড়াচড়া করে বা সঙ্কুচিত করে কাঁটা বেছানো পথ থেকে আপনার পা-টিকে সরিয়ে ফেলার। মস্তিষ্ক থেকে পেশীতে যে সব স্নায়ুকোষের মধ্যে দিয়ে নির্দেশ আসে; সেই স্নায়ুকোষগুলিকে বলে মোটর নার্ভ । এই মোটর নার্ভ বা স্নায়ুকোষ নিউরোনের মধ্যে দিয়ে আসা সংকেতটা আসলে বৈদ্যুতিক সংকেত । কোন কারনে এই বৈদ্যুতিক সংকেত না পৌঁছালে বা মোটর নিউরোন কোষগুলি ঠিকমত কাজ না করতে পারলে মাংসপেশীগুলির উপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ আপনার ইচ্ছা করছে পা-টিকে সরিয়ে নেবার; ...
continue reading →‘গ্রিন হাউস এফেক্ট’ এবং একটি অভয়বাণী; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ২০ এপ্রিল ১৯৯৩,মঙ্গলবার; বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত চারদিকে জলের ছড়াছড়ি। হলদিয়া বন্দর চলে গেছে দুই ফুট জলের তলায়। উত্তর ও দক্ষিণ দুই মেরুপ্রান্তের সব শুভ্র-স্বচ্ছ তুষার গলে তরল। প্রশান্ত মহাসাগরের কিরবাতিতুভাল-চৌঙ্গা ও ভারত মহাসাগরের মালদ্বীপ, বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকা সম্পূর্ণ সমুদ্রবক্ষে। ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবিরাম ঝড়-ঝঞ্ঝা। মারা পড়েছে নাম জানা-না-জানা অসংখ্য পশুপাখি। না-না, এসব বর্তমান ঘটনার বর্ণনা নয়। ভবিষ্যতের আশঙ্কা মাত্র। হ্যাঁ, বিষয়টি নিয়ে গত এক দশক ধরে ভূবিজ্ঞানীদের মধ্যে বেশ সোরগোল পড়ে গেছে। পৃথিবীর উত্তাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। বাড়ছে প্রাণীদের অস্তিত্ব সংকট। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে আবহাওয়াবিদেরা ‘গ্রিন হাউস এফেক্ট’কে সবচেয়ে বেশি দায়ী করেছেন। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে রয়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন গ্যাস। সূর্য থেকে আসা স্বল্পতরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি এর ভেতর দিয়ে পৃথিবীপৃষ্ঠে পৌঁছায়। কিন্তু এরা পৃথিবী থেকে বিকিরিত তাপকে বাইরে যেতে বাধা দেয়। এই ঘট...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →