রাজীবের প্রিয় হ্যাম; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ৭ম বর্ষ ২০১ সংখ্যা শনিবার ১৪ আষাঢ় ১৩৯৮; বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত যদি নিজের ঘরে বসেই সেই বন্ধুর সাথে কথা বলা যায়, যে এখন রয়েছে জর্ডন বা ইওথোপিয়ায় কিংবা রোমে। নিঃসন্দেহে ব্যাপারটি হবে খুবই মজাদার। এই মজার শখই যুবক রাজীবের বড় প্রিয় ছিল। অক্সফোর্ডের ট্রিনটি কলেজে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে অথবা সুনীল আকাশে ধাতবপাখী ওড়ানোর মাঝে যখনই সময় পেতেন বসতেন ট্রান্সরিসিভারের সামনে। বেতার যন্ত্রের সাহায্যে কথা বলতেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অ্যামেচার রেডিওর সদস্যদের সঙ্গে। প্রচলিত কথায় এই হবিকে বলে হ্যাম। হ্যামের সভ্যরা তাদের নিজেদের মধ্যে ভাব ও অনুভবের আদানপ্রদান ঘটিয়ে গড়ে তোলে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। পৃথিবীর ১৬৫টি দেশে প্রায় ২০ লক্ষের কাছাকাছি রেডিও অ্যামেচারিস্ট রয়েছেন। হ্যাম সদস্য হতে হলে দেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে নিতে হয় অনুমতি পত্র। আমাদের দেশে এ দায়িত্বে রয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রকের ওয়ারলেস প্ল্যানিং এন্ড কোঅর্ডিনেটিং উইং। লাইসেনস পেতে হলে উত্তীর্ণ হতে হবে বিশেষ পরীক্ষায়; জানত...
continue reading →জল সরবরাহ প্রযুক্তির ইতিকথা; ডাঃ পার্থপ্রতিম। জ্ঞান ও বিজ্ঞান (প্রতিষ্ঠাতা: আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু) ৪৪তম বর্ষ চতুর্থ সংখ্যা ‘জল জীবনধারনের অপরিহার্য উপাদান’- একথা আমাদের অজানা নয়। বহু প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ জলের প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার সম্বন্ধে সচেতন ছিল। বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ সেই সাক্ষ্য বহন করে। পৃথিবীর প্রাচীনতম মানব সভ্যতাগুলি গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন নদীর অববাহিকায়। আজ থেকে প্রায় ৫৩০০ বছর আগে গড়ে ওঠা সিন্ধু সভ্যতার জল সরবরাহ ব্যবস্থা ছিল উন্নত। সিন্ধু নদের মোহনা থেকে ২৫০ মাইল ভিতরে ডানতীরে মহেঞ্জোদড়ো থেকে ৯০০ মাইল উত্তরে হরপ্পা নগরী অবস্থিত ছিল। এখানকার প্রতিটি বাড়িতে স্নানের ঘর ও পায়খানা থেকে ময়লা জল বের হত নালীর মাধ্যমে। মহেঞ্জোদড়োতে একটি স্নানাগারের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এই স্নানগৃহটি লম্বায় ৩৯ ফুট চওড়ায় ২৩ ফুট এবং ৮ ফুট গভীর। চৌবাচ্চায় জল ধরে রাখার জন্য ইটের মধ্যবর্তী ফাঁক বিশেষ মশলা দিয়ে বন্ধ করা। জলাধরের এক কোনে জল ঢোকাবার ও বের করার ব্যবস্থা ছিল। গ্রীকেরা দূরবর্তী পাহাড়ী ঝরণা থেকে পাইপ বা নালার সাহায...
continue reading →রনাঙ্গনে ঘুড়ি; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; বর্তমান; ৭ম বর্ষ ২৯১ সংখ্যা শনিবার ১১ আশ্বিন ১৩৯৮ দূর আকাশে এল এক ঝাঁক উড়ন্ত বস্তু। কামান্ডার নির্দেশ দিলেন, ফায়ার... সঙ্গে সঙ্গে গর্জে উঠল বিমান ধ্বংসী কামানগুলি। না-না এ কোন রণাঙ্গনের বর্ণনা নয়। যুদ্ধের মহড়া মাত্র। এসবেই মার্কিন নৌবাহিনীর গোলন্দাজদের নিশানা অনুশীলন করার জন্য, কমান্ডার পল গার্বার ঘুড়িকে লক্ষ্য বস্তু হিসাবে ব্যবহারের প্রচলন করেন। কিন্তু এর বহু আগেই ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে সামরিক কাজে ঘুরির ব্যবহার শুরু হয়েছিল। তখনও বিমান আবিষ্কৃত হয়নি। সেনাদের প্রকান্ড ঘুরিতে বেধে ওপরে ওঠানো হতো যাতে বহু দূরে থাকা শত্রুদের শিবিরে নজরে আসে। মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাপ্টেন বা ডেন্ পাওয়েল ১৮৯৯ সালে এক সৈনিককে ঘুড়িতে বেঁধে ১২০ ফুট উঁচুতে তুলেছিলেন। পাখি বা ঘুড়ি উড়ন্ত বিমানের কাছে কামানের গোলার মতোই মারাত্মক। এ আমাদের অজানা নয় তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনীর রণতরীগুলির সাথে অসংখ্য ঘুরি বাধা থাকত, যাতে শত্রুপক্ষের বিমান পিছন থেকে আঘাত হানতে না পারে। বিগত বিশ্বযুদ্ধে ঘু...
continue reading →স্মার্টনেস ডিটেকটার; ডাঃ পার্থপ্রতিম; কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান; পূজাবার্ষিকী ১৯৯১ স্মার্টনেস সম্বন্ধে বিভিন্ন লোকের ধারণা বিভিন্ন। কেউ ফিটফাট পোশাক পরাকে, কেউ বা গড়গড় করে ইংরেজি বলাকে আবার অনেকে অন্য কোন বৈশিষ্ট্যকে স্মার্টনেস ভাবেন। বহু মনোবিজ্ঞানী মনে করেন- যার শর্তসাপেক্ষ প্রতিবর্তক্রিয়া (Refex action) যত দ্রুত হয় অর্থাৎ যে যত শীঘ্র কোন প্রকার নির্দেশ বা উত্তেজনায় সাড়া দেয় সে তত স্মার্ট। শর্তসাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়া কার কত তাড়াতাড়ি হয় তা তুলনামূলক বিচার করার জন্য একটি ইলেকট্রনিক মডেল তৈরী তোমাদের শেখাবো। ‘সার্কিট ডায়াগ্রাফ’ দেখে পার্টসগুলি ভেরো বোর্ডে গেঁথে নাও। ট্রানজিসটরের এমিটর, বেস ও কালেকটর ঠিক মতো দেখে নিয়ে বসাবে। Component list :- i)Transistor –SL 100 X 2, (ii) Resistance – 1.8k; ¼ watt x 2; (iii) Bulb – 6 Volt 100 ; mA x 2, (iv) Switch – N/O Type x 3, (v) LED – Red x 1 , (vi) Battery – 6 Volt, (vii) Bulb holder x 2 , Vero Board or Stiff Board, solder wire, wire etc. এখানে দুইটি বাল্ব (L1 ও L2), জ্বালানোর জন্য রয়েছে দুটি সুইচ (S1, S2)। S3 হচ্ছে মাষ্টার সুইচ। এখানে তিনজনের প্রয়োজন, দু’জন প্রতিযোগী ও একজন বিচারক। বিচারক S3 সুইচ টিপে LED টি জ্বালোনোর সঙ্গে সঙ্গেই দু’জন প্র...
continue reading →আকাশেতে দেহ মেলে কেমনে ঘুড়ি ওড়ে? ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১৬ সেন্টেম্বর, ১৯৯৯সোমবার; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত সুনীল আকাশে পাখির আনাগোনা দেখে শূন্যে পাড়ি জমাবার সাধ জেগে-ছিল এক কৌতুহলী মানবের মনে, সে চাইলো তাঁর সৃষ্টিকে সীমাহীন গগনের বুকে মেলে দিতে। তাঁর বলাকা মনের স্বপ্ন বাস্তবতার পরশে রূপ নিলো ঘুড়ির ..... আমাদের কবি বন্ধুরা ঘুড়ির প্রচলন নিয়ে হয়তো এমনি একটি গল্পো শোনাবে। সে সত্যি-মিথ্যে যাই হোক। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলেন খৃষ্টের জন্মের এক হাজার বছর আগে চীন দেশে প্রথম ঘুড়ি ওড়ানো হয়। তারপর ৫০০ সালে পূর্বদিকে জাপান, তাইওয়ান, ফিলিপিন্স, ইন্দো-নেশিয়া প্রভৃতি প্রশান্ত মহাসাগরীর দ্বীপগুলিতে ও পশ্চিম দিকের আরবীয় দেশে ঘুড়ি ওড়ানো চালু হয়। ইউরোপে প্রথম ঘুড়ি পৌঁছায় ১৩১৪ সালে এক ডাচ বণিকের মাধ্যমে। অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুড়ি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বক্সঘুড়ি, ঢাউস, মাছঘুড়ি, পতঙ্গঘুড়ি হরেক রকম ঘুরি থাকলেও আমাদের দেশে চৌকো ঘুড়িই সবচেয়ে জনপ্রিয়। ইংরেজি পরিভাষায় একে বলে ডায়মন্ডসেপড কাইট। এই ঘুড়িগুলি দ্বিমাত্রিক, ওড়ার সময় মাথ...
continue reading →আঁধার রাত অন্ধকার কেন? ডাঃ পার্থপ্রতিম; শারদীয়া সংখ্যা ১৪০৯ উত্তরের হাওয়া পত্রিকায় প্রকাশিত আঁধার রাত অন্ধকার কেন? প্রশ্নটি সত্যই উদ্ভট। শুনে কেউ হাসবেন, কেউ হয়তো প্রশ্নকর্তাকে পাগল ভাববেন, কারো কাছে জিজ্ঞাসাটি শিশুসুলভ মনে হতে পারে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে এমনই প্রশ্নতুলে বিজ্ঞানীমহলে সাড়া ফেলে দিয়েছিল হ্যালি ধূমকেতুর আবিষ্কারক স্যার এডমন্ড হ্যালি। বিষয়টিকে আরো সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করলেন জ্যোতির্বিদ হাইনরিক ওলবার্স। অমাবস্যা রাতের আকাশে সূর্য-চাঁদ নেই বটে; কিন্তু সূর্যের মতো ও তার চেয়েও উজ্জ্বল অসংখ্য নক্ষত্র আকাশের প্রতিটি জায়গা জুড়ে রয়েছে। অসীম-অনন্ত বিশ্বের অগুণতি নক্ষত্র, নক্ষত্রজগত, নীহারিকা প্রভৃতি উজ্জ্বল বস্তুরা যে যার জায়গায় থাকলে; যে দিকে তাকানো যাবে সে দিকেই চোখ পড়বে কোন না কোন আলোর রোশনাই, যেন আকাশটাই ছিদ্রহীন আলোর চাদর দিয়ে ঢাকা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন-তারা- নক্ষত্রের ঔজ্জ্বল্য তাদের দূরত্বের উপর নির্ভর করে না। ঔজ্জ্বল্যের দিক থেকে সূর্য একটি সাধারণ নক্ষত্র মাত্র।...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →