রনাঙ্গনে ঘুড়ি

রনাঙ্গনে ঘুড়ি

রনাঙ্গনে ঘুড়ি; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; বর্তমান; ৭ম বর্ষ ২৯১ সংখ্যা শনিবার ১১ আশ্বিন ১৩৯৮
দূর আকাশে এল এক ঝাঁক উড়ন্ত বস্তু। কামান্ডার নির্দেশ দিলেন, ফায়ার... সঙ্গে সঙ্গে গর্জে উঠল বিমান ধ্বংসী কামানগুলি। না-না এ কোন রণাঙ্গনের বর্ণনা নয়। যুদ্ধের মহড়া মাত্র। এসবেই মার্কিন নৌবাহিনীর গোলন্দাজদের নিশানা অনুশীলন করার জন্য, কমান্ডার পল গার্বার ঘুড়িকে লক্ষ্য বস্তু হিসাবে ব্যবহারের প্রচলন করেন। কিন্তু এর বহু আগেই ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে সামরিক কাজে ঘুরির ব্যবহার শুরু হয়েছিল।
তখনও বিমান আবিষ্কৃত হয়নি। সেনাদের প্রকান্ড ঘুরিতে বেধে ওপরে ওঠানো হতো যাতে বহু দূরে থাকা শত্রুদের শিবিরে নজরে আসে। মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাপ্টেন বা ডেন্ পাওয়েল ১৮৯৯ সালে এক সৈনিককে ঘুড়িতে বেঁধে ১২০ ফুট উঁচুতে তুলেছিলেন।

পাখি বা ঘুড়ি উড়ন্ত বিমানের কাছে কামানের গোলার মতোই মারাত্মক। এ আমাদের অজানা নয় তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনীর রণতরীগুলির সাথে অসংখ্য ঘুরি বাধা থাকত, যাতে শত্রুপক্ষের বিমান পিছন থেকে আঘাত হানতে না পারে। বিগত বিশ্বযুদ্ধে ঘুড়ির সাথে ধাক্কা লেগে চারটি জার্মান বিমান নষ্ট হয়েছিল। এইসব ঘুড়ির নক্সা তৈরি করেছিলে। এইসব ঘুড়ির নক্সা তৈরি করেছিলেন হ্যারি.সি.সার্ডলস।
আমরা জানি যে, বেতার যন্ত্রের এরিয়ালকে যত উপরে ওঠানো হয় বেতার সংকেতের সম্প্রসারণ ক্ষমতা ততই বেড়ে যায়। সেকারণেই বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যুদ্ধক্ষেত্রের খবরাখবর আদানপ্রদানের সময় যন্ত্রে এরিয়ালকে বাক্সঘুড়িতে বেধে উচুঁতে ওঠানো হতো। 

  

Join our mailing list Never miss an update