খাই খাই ....ডাঃ পার্থপ্রতিম; উত্তরবঙ্গ সংবাদ; ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ (তিন) কেন এত খাই খাই, মন জানে না, জানে শুধু ব্রেন। যাঁদের শরীরে লেপটিন হরমোন যথার্থ পরিমাণে উৎপাদন হয় না, তাঁরাই বেশি খেয়ে ফেলেন। হ্যাঁ, আসল খিদে না থাকা সত্ত্বেও বেশি খাওয়া হয়ে যায়। চর্বি কোষগুলিতে এই লিপটিন হরমোন তৈরি হয়, রক্তস্রোতের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছায়, মস্তিষ্ক জানায় পেট ভর্তি হয়ে গেছে আর খেতে হবে না। কারো কারো শরীরে জিনগত ত্রুটির কারণে লেপটিন উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরকম হলে যেসব পছন্দের নয়, সেসব খাবার-দাবারও বেশি খাওয়া হয়ে যায়। বেশি খেতে খেতে মুটিয়ে যায়। ‘সায়েন্স জার্নাল’ এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছেন ডাঃ পল সি ফ্লেচার এবং তাঁর সহযোগীরা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে ব্যাতিক্রমী জিন-ত্রুটিগ্রস্ত দুই ব্যাক্তিকে নিয়ে গবেষণা চালিয়ে লেপটিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং কমে যাওয়ার জেরে কী হয়, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন এঁরা। এই দুই ব্যাক্তির সামনে বিভিন্ন খাবার-দাবার হাজির করে ব্রেনের স্ট্রিয়াটাল অঞ্চলে কী ধরনের উদ্দীপ...
continue reading →সুগার নিয়ন্ত্রণ করে কুন্দরি; -ডাঃ পার্থপ্রতিম ; ১ ডিসেম্বর ২০০৭; শনিবাসর পৃষ্ঠা সংখ্যা তিন; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত কেউ বলেন কুন্দরু, কেউ কেউ বলেন কুন্দরি বা কুদরি। সবে যাঁদের ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে, উপোসি পেটে ব্লাড সুগার দুশোর নিচে, তাঁরা এই কুন্দরি খেয়ে ব্লাড সুগারের মাত্রা ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ নামিয়ে আনতে পারবেন। পটোলের মতো দেখতে কুন্দরি সব বাজারেই পাওয়া যায়। ব্যাঙ্গালোরের ইন্সটিটিউট অফ পপুলেশন হেলথ অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দিনে ৫০ গ্রাম করে কুন্দরির সবজি খেলেই হবে। কুন্দরির সঙ্গে পরিণত কারিপাতা মিশিয়ে খেতে পারলে আরো ভালো। তিরিশ জনকে টানা তিন মাস ধরে প্রতিদিন কুন্দরি খাইয়ে দারুণ ফল পেয়েছেন চিকিৎসকরা। বাঙ্গালোরের সেন্ট জনস মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালের এন্ডোক্রিনোলজলির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডাঃ গণপতি বান্তওয়াল জানিয়েছেন, মাত্র ১৫ গ্রাম করে কুন্দরি বা এক গ্রাম করে কুন্দরি পাউডার খাইয়ে দেখা গিয়েছে, ব্লাড সুগার বেশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কুন্দরি খাওয়ার ফলে গ্লাইকোসাইলেটেড হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ০.৪ শতাংশ ...
continue reading →হাঁচি রহস্য - ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৩ জানুয়ারি ২০০৯ (তিন পাতা); উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত স্রেফ ঠান্ডা লাগার কারণেই সবসময় হাঁচি হয় এমন নয়। হাঁচি আসে যৌনতাকাক্সখী ভাবনাচিন্তার জেরেও। এমন মানুষও আছেন যাঁদের সঙ্গমকালে উত্তেজনার চরম মুহুর্তে অনেকক্ষণ ধরে হাঁচি চলতে থাকে। কারও কারও যাঁকে দেখে প্রেম জাগে, সেই প্রেমাকর্ষণ থেকেও হাঁচি হয়। কারও হাঁচি হয় বন্ধ ঘর থেকে রোদে গিয়ে দাঁড়ানো মাত্রই। কারও হাঁচি হয় যৌনকামনা বিষয়ক কাব্য-সাহিত্য পড়লে বা শিল্প দেখলে, কেউ কেউ শৃঙ্গার রসাত্মক বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় হাঁচি দেন। কোনো কোনো পরিবারের সবাই একই কারণে হাঁচি দেন। শরীরের নিয়ন্ত্রণে থাকে না বলেই হাঁচি আটকানো যায় না। জানিয়েছেন অক্সফোর্ডের জন র্যাডিক্লিফ হসপিটালে ইএনটি বিষেশজ্ঞ ডাঃ মাহমুদ ভুট্টা। তাঁর বক্তব্য, স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রীর একাংশ এলেবেলে হয়ে পড়ার কারণেই হাঁচি আসে। ব্লাডপ্রেসার, শ্বাস নেওয়া, চোখের মণি তথা কনীনিকা, হজমপ্রণালী এবং হাঁচি নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করে যেসব স্নায়ু, সেগুলি সব মস্তিষ্ক-বৃন্তের কাছাকাছির কাজ। Gist:-Sneeze mystery. Sneezing is...
continue reading →সয়াবিন খেলেই হবে; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ শনিবাসর; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত মেনোপজ পর্বে ঢুকতে চলেছেন বা ঢুকে পড়েছেন এমন মহিলাদের জন্য সয়াবিন দারুণ উপকারী। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির-র বিকল্প হিসেবে দিনে সত্তর গ্রাম করে সয়াবিনই যথেষ্ট। মেনোপজ পর্বে যেটা হয়, শরীরে ইস্ট্রোজেন নামের যৌন হরমোনের অভাব ঘটে। সেই খামতি পূরনের জন্য বাইরে থেকে হরমোন দেওয়া হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের সঙ্গে সামান্য প্রোজেস্টরন বা প্রোজেস্টিন এবং অ্যান্ড্রোজেনও দেওয়া হয়। এই যে বাইরে থেকে যোগানের মাধ্যমে হরমোনের খামতিপূরণ তথা রিপ্লেসমেন্ট, সে কাজটা সয়াবিনে থাকা ফাইটোইস্ট্রোজেন করে থাকে। এক বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর জানাচ্ছেন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। সয়াবিনে ফাইট্রোইস্ট্রোজেন থাকে প্রচুর পরিমাণে। সাধারণত যে সয়াবিন হামেশাই আমরা খাই, রান্না করা সেই দলা দলা সয়াবিনের প্রতি আধ কাপে থাকে ৫৫ মিলিগ্রাম ফাইটোইস্ট্রোজেন মেলে। ২৫০ মিলিলিটার সয়াবিনের দুধে ২০ মিলিগ্রাম মেলে। আধ কাপ সয়াব...
continue reading →এই বয়সেও; উত্তরবঙ্গ সংবাদ; ২১ জুন ২০০৮, পৃষ্ঠা- তিন মেয়ের বয়স সাড়ে পাঁচ বছর। ছেলের বয়স চার বছর। ছেলে এবং মেয়ে দু-জনকেই দিনে দুবার করে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ান এই মা স্টেলা অনিয়নস (৪৫)। স্টেলা মনে করেন, ছেলেমেয়েদের শরীর সুস্থ রাখতে, ক্যানসারের মতো রোগভোগ থেকে বাচাঁতে মাতৃদুগ্ধের কোনো বিকল্প নেই। স্টেলা জানেন, মাতৃদুগ্ধে ছেলেমেয়েদের আই কিউ যেমন বাড়ে, তেমনই যে মায়েরা এক বছর বা তার বেশি ছেলেমেয়েদের স্তন্যদান করেন, তাঁদের বাতের ভোগান্তি হয় না, স্তন এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হয় না। স্টেলার এও জানা আছে, স্তন্যদানের সময় মায়ের শরীরে মন মেজাজ শান্ত এবং চাঙ্গা রাখার হরমোন বের হয়। স্টেলার বক্তব্য, মাতৃদুগ্ধ শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করে আর তাই দেশের বাইরে এবং দেশের ভেতরে যত্রতত্র জল খাওয়ার সময় সে জল তাঁর ছেলেমেয়েদের জন্য নিরাপদ কিনা। তা নিয়ে দুর্ভাবনায় ভুগতে হয় না। টানা মাতৃদুগ্ধ পানে প্রস্রাব নিগর্মন পথে, অন্ত্রে, শ্বসনতন্ত্রে সংক্রমণ রোখা যায়। মা এবং ছেলেমেয়েদের মধ্যে বন্ধন নিবিড় হয়। স্ট্রেলার কথায়, দক্ষিণ আফ্রিকায় বড়ো হয়েছি আমি, সেখানকার মহিল...
continue reading →বাঁ পায়ে অস্থিসন্ধিই ছিল না; ১৮ নভেম্বর ২০০৬ শনিবাসর;উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত থাইবোন তথা ঊর্বস্থি সরাসরি জুড়ে গিয়েছিল কোমরের হাড় তথা ফিমারের সঙ্গে। ২৫ বছরের মেয়ে গত ১৩ বছর ধরে হাঁটাচলার একটা নিজস্ব কেতা তৈরি করে নিয়েছিল নিজের মতো করে। বাইরে থেকে সেভাবে বোঝার উপায় ছিল না ঠিকই, কিন্তু নেহা অন্যদের মতো গুরদোয়ারায় হাঁটুভাঁজ করে বসতে পারত না, উবু হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। নির্দিষ্ট দিকে কাত হয়ে শোওয়া বা চিৎ হয়ে শোওয়া ছাড়া অন্যদের মতো স্বাধীনভাবে শোওয়ার অবস্থা ছিল না তাঁর। ১২ বছর বয়সে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিল নেহা, তখন থেকেই দুই অঙ্গের হাড় জুড়ে গিয়েছেল। মেঝেয় বসতে পারত না। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতেও পারত না। সেই থেকে মর্মাঘাতজনিত পীড়ায় নেহার কতটা যে করুন দশা হয়েছিল তা বলার নয়। এর মধ্যে নেহার বিয়েও ঠিক করে ফেলা হয়। পায়ের ত্রুটি ঢাকতে সে বিয়েতে লেহেঙ্গা পরবে, স্বজনদের মধ্যে আলোচনায় সেরকমই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। নেহা জানাচ্ছেন, লেহেঙ্গা পরে পায়ের এই অসুস্থতা ঢাকতে হবে জানার পর বাকি জীবন কীভাবে কাটাব তা ভেবে সারারাত কেঁদে ভা...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →