এই বয়সেও

এই বয়সেও

এই বয়সেও; উত্তরবঙ্গ সংবাদ; ২১ জুন ২০০৮, পৃষ্ঠা- তিন
মেয়ের বয়স সাড়ে পাঁচ বছর। ছেলের বয়স চার বছর। ছেলে এবং মেয়ে দু-জনকেই দিনে দুবার করে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ান এই মা স্টেলা অনিয়নস (৪৫)। স্টেলা মনে করেন, ছেলেমেয়েদের শরীর সুস্থ রাখতে, ক্যানসারের মতো রোগভোগ থেকে বাচাঁতে মাতৃদুগ্ধের কোনো বিকল্প নেই। স্টেলা জানেন, মাতৃদুগ্ধে ছেলেমেয়েদের আই কিউ যেমন বাড়ে, তেমনই যে মায়েরা এক বছর বা তার বেশি ছেলেমেয়েদের স্তন্যদান করেন, তাঁদের বাতের ভোগান্তি হয় না, স্তন এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার হয় না। স্টেলার এও জানা আছে, স্তন্যদানের সময় মায়ের শরীরে মন মেজাজ শান্ত এবং চাঙ্গা রাখার হরমোন বের হয়। স্টেলার বক্তব্য, মাতৃদুগ্ধ শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করে আর তাই দেশের বাইরে এবং দেশের ভেতরে যত্রতত্র জল খাওয়ার সময় সে জল তাঁর ছেলেমেয়েদের জন্য নিরাপদ কিনা। তা নিয়ে দুর্ভাবনায় ভুগতে হয় না। টানা মাতৃদুগ্ধ পানে প্রস্রাব নিগর্মন পথে, অন্ত্রে, শ্বসনতন্ত্রে সংক্রমণ রোখা যায়। মা এবং ছেলেমেয়েদের মধ্যে বন্ধন নিবিড় হয়। স্ট্রেলার কথায়, দক্ষিণ আফ্রিকায় বড়ো হয়েছি আমি, সেখানকার মহিলাদের দেখেছি, তাঁরা স্তন্যদানকেই মহান কর্তব্য মনে করেন, সম্পর্কিত যৌনতাকে নয়। স্টেলার মেয়ের নাম জোসেফিন। ছেলের নাম জ্যাক। স্টেলাদের বাড়ি ব্রিটেনের শ্রোপশায়ারের লাডলো-তে। স্টেলার স্বামী অ্যান্ডি কম্পিউটার গেম ডিজাইনার। পৃথিবী জুড়ে স্তন্যদানের উপকারিতা প্রচার করে বেড়ান স্টেলা। যেখানেই প্রচারে যান, সঙ্গে দুই ছেলেমেয়েই থাকে। সকাল, সন্ধে ওদের স্তন্যদান করেন জনসমক্ষেই। সর্বসমক্ষে স্তন্যদানের পক্ষে যুক্তি, বাছুর বা মেষশাবক যখন স্তন্যপান করে, তখন কি ওদের মায়েরা চাদরের ঢাকা নেয়? স্টেলা জানাচ্ছেন, আমার ছেলেমেয়ের সঙ্গে যারা পড়ে, তারাও দেখে ওদের মাম্মি মিল্ক পান। স্টেলার বিশ্বাস, যখন আমার ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারবে আর স্তন্যপান দরকার নেই, তখন ওরা নিজেরাই বুকের দুধ খাওয়া ছেড়ে দেবে। তবে আমি চাইব, ওরা ৮ বছর বয়স পর্যন্ত স্তন্যপান চালিয়ে যাক। মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং নৃতত্ত্ববিদ ডাঃ ক্যাথি ডেটওয়াইলার জানাচ্ছেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে যত গবেষণা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে দু-বছর বয়স পর্যন্ত স্তন্যপানে শিশু-শরীর নানাভাবে উপকৃত হয়। যদিও তিন বছর বা তার বেশিদিন স্তন্যপানে কোনো ক্ষতি হতে পারে, সেরকম কোনো গবেষণা এখন পর্যন্ত হয়নি।
জিনের কারণে
অস্টিওগ্লাইসিন নামে একটি জিনের অস্বাভাবিক  কাজকর্মের কারণেই কারও কারও হার্ট বড়ো হয়ে যায়। হার্টের রোগভোগ, হার্ট অ্যাটার্ক হয়। নেচার জেনেটিকস-এ জানিয়েছেন ইম্পিরিয়াল কলেজ, লন্ডনের গবেষকরা। বলেছেন, হৃদপিন্ডের রক্ত পাম্প করার কুঠুরি এবং বাম নিলয়ের গঠনশৈলির সঙ্গে যুক্ত অস্টিওগ্লাইসিন। গবেষকদের আশা, জিনের কারচুপি ধরে ফেলায় এ সম্পর্কিত চিকিৎসা আরও সহজ হবে।

ডায়াবেটিস হবে
যাঁরা কাজের চাপে নিয়মিত সকাল, দুপুর, বিকেল, রাতের খাবার খান না, স্রেফ স্ন্যাকস তথা ভাজাভুজি সহ নানা খুচরো খাবারে পেট ভরান , তাঁদের ব্লাড প্রেসার বাড়ে, কোলেস্টেরলও বাড়ে। শরীর ইনসুলিন প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। তলপেটে মেদ জমতে থাকে। এসবই ডায়াবেটিসের পূর্বলক্ষণ। শরীর ইনসুলিন প্রতিরোধী হয়ে উঠলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। জানিয়েছেন সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউটের গবেষকরা।

বেশি মদ খেলে
অতিরিক্ত মদ্যপানের জেরে লিভার, হার্ট, ব্রেনের তো ক্ষতি তো হয়ই, হালফিলের গবেষণা জানাচ্ছে, প্যানক্রিয়াস তথা অগ্ন্যাশয়েরও ক্ষতি হয়। প্যানক্রিয়াসের এই ক্ষতিজনিত রোগের নাম : প্যানক্রিয়াটাইটিস। ইঁদুরদের অ্যালকোহল খাইয়ে এবং তাদের ওপর কার্বোকোল ওষুধ প্রয়োগ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

Join our mailing list Never miss an update