হৃদয়ের কথা; পর্ব-২০; মেদবৃদ্ধি ও হৃদরোগ; ডাঃ পার্থপ্রতিম। টাকাকড়ি বাড়লেই ভুঁড়ি বাড়ে-এমন একটি কথা প্রচলিত আছে। আসলে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য মানুষের জীবনধারাকে বদলে দেয়। হাঁটাহাঁটির পরিবর্তে বিভিন্ন যানবাহন হয়ে ওঠে চলার সাথী। দৈহিক পরিশ্রম লাঘব করতে এসে যায় লিফট, ওয়াসিং মেশিন, মাইক্রোওভেন, মিক্সিগ্রাইন্ডার আরো কত কী। হাঁটাচলা, দৈনন্দিন কাজকর্ম এসব করার জন্য আমাদের শক্তি বা ক্যালোরির প্রয়োজন। এই ক্যালোরি আমরা খাদ্য থেকে পাই। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালোরি চর্বি বা মেদ হিসাবে আমাদের দেহে সঞ্চিত হয়। দেহে যদি কোনো সময় খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, তবে চর্বির সঞ্চিত শক্তি সেই অভাব পূরণ করে। এক্ষেত্রে দেহকে ব্যাঙ্কের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। আমাদের ব্যয়ের অতিরিক্ত টাকা যেমন আমরা ব্যাঙ্কে জমা রাখি; প্রয়োজন মতো আবার টাকা তুলে খরচ করি। দেহে শক্তি সঞ্চয়ের বিষয়টিও সেরকম। ব্যাঙ্কে অতিরিক্ত টাকা জমানো ভালো কি না, এ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, তবে দেহে অতিরিক্ত মেদ জমা যে খুবই মারাত্মক সে বিষয়ে চিকিৎসকেরা একমত। দেহে অতিরিক্ত ...
continue reading →হৃদয়ের কথা; পর্ব-১৫; গর্ভবতীর হৃদরোগ; -ডাঃ পার্থপ্রতিম। উত্তেজনার পারদ এখন লাফিয়ে-লাফিয়ে উঠছে। দীর্ঘরোমহর্ষক নাটকের অন্তিম দৃশ্য। শরীরের মাপজোখ, অঙ্গভঙ্গী, ফটোজনিক টেস্ট-এসব কিছুর শেষে এখন চরম পরীক্ষা, প্রশ্নের বাণ। নারীর জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব কিসে? উত্তরে বিশ্বসুন্দরী জানালো-‘এক সুন্দর শিশুর মাতৃত্বই নারীর জীবনের চরম পূর্ণতা।’ কথাটির মধ্যে চমক থাকলেও নতুনত্ব নেই। কে না জানে-স্নেহ বিহ্বল করুণা ছলছল, শিয়রে জেগে থাকা ঐ দুটি আঁখির জন্যই আমাদের জীবন এত রঙ্গিন স্বপ্নে ভরপুর। অন্যসব প্রসঙ্গ না হয় ছেড়েই দিলাম; শুধু গর্ভসঞ্চার থেকে শিশুর জন্ম পর্যন্ত মা যে কষ্ট স্বীকার করে, তা সত্যই অতুলনীয়। এবার ডাক্তারি দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখা যাক। গর্ভাবস্থায় হৃদযন্ত্রের কার্যকলাপ প্রায় ত্রিশ শতাংশ বেড়ে যায়। বেড়ে যায় হৃৎস্পন্দের হার ও রক্তের পরিমাণ। ভাবী মা নিজের পুষ্টি ও অক্সিজেনের সাথে সাথে গর্ভস্থ ভ্রূণকেও রসদ যোগায়। স্বাভাবিকভাবেই এ সময় মহিলাদের মধ্যে কিছু শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন- প্রথম হৃদধ্বনি (First Heart Sound) বেশ জোরে হয়,...
continue reading →জন্মগত হৃদরোগ; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ২৬ শে জানুয়ারী ২০০৮; পৃষ্ঠা নয়; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত শুধু আমি কেন? আপনি-তিনি-আমরা সবাই এক প্রাকৃতিক কারণেই এসেছি এই বসুন্ধরার মাঝে। কিন্তু সবার আগমন সুখের হয় না। কেউবা জন্মের সাথে সাথেই নিয়ে আসে মৃত্যুর পরোয়ানা। আনন্দ-উজ্জ্বল পরমায়ুর পরিবর্তে, জন্মের পূর্বেই দাঁতাল যমদূত বাসা বাঁধে হৃদয়ের কোটরে। এক সমীক্ষায় জানা গেছে, বিগত তিন বছরে সারা পৃথিবীতে যত শিশু জন্মেছে তার এক হাজার জনের মধ্যে ১২ জন শিশু জন্মগত হৃদরোগের শিকার। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে আমরা বলি কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ্ (Congenital Heart Disease)। মাতৃগর্ভে ভ্রূণের বৃদ্ধির সময়েই এ রোগের বীজ বপন হয়। জন্মগত হৃদরোগ বিভিন্ন রকমের। কিছু রোগের তীব্রতা এমন হয় যে- জন্মের পরেই শিশু খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে; অনেক ক্ষেত্রে মারাই যায়। আবার অনেক সময় রোগী বেশ স্বাভাবিকভাবেই বড়ো হয়ে ওঠে। অসুখের কোনো লক্ষণ সচরাচর চোখে পড়ে না। সামান্য পরিশ্রম বা খেলাধূলা করলে শিশুর নিঃশ্বাসে কষ্ট, কাশি-সর্দি ছাড়াই বুকে ব্যথা, মাঝে মাঝে পা ফুলে যায়, ফুসফুসে ঘন ঘ...
continue reading →মানসিকতা ও হৃদরোগ; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১৮ই নভেম্বর ১৯৯৬; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত নিচের চোয়াল সামান্য ঝুলানো, চুরুটটি ঠোঁটের কোণে, চোখে মুখে একরাশ বিরক্তি আর অতৃপ্তির ছাপ। হ্যাঁ, এটুকু বিবরণেই অফিসের সবাই বুঝে ফেলবে মি. স্যানিয়ালের কথা বলছি। পুরো নাম শ্রীযুক্ত গৌরগোপাল সান্যাল। তাঁর এই আদ্যিকালের নাম রাখার জন্য তিনি মনে মনে পিতৃদেবের ওপরেও বিরক্ত। দাসবাবু ষোলো বছর ধরে অ্যাকাউন্টস্ সেকশনে আছেন। মি.স্যানিয়ালের মুখে কখনো হাসি দেখেন নি। সাধারণত ক্লার্ক থেকে ক্রমে ক্রমে সিঁড়ি ভেঙ্গে আজ তিনি বি.আর. কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার অব সেলস্। না, তাতেও খুশি নন স্যানিয়াল সাহেব, তাঁকে আরো ওপরে উঠতে হবে। অফিস থেকে ফেরার সময় ব্রিফকেস ভর্তি করে ফাইল-পত্র নিয়ে ঘরে ফেরেন। তাঁর দাপটে গিন্নি মুখ খুলতে পারেন না। বাড়ির সবাই তটস্থ। সময়ের অপচয় তিনি বরদাস্ত করবেন না। হ্যাঁ, এইসব স্যানিয়ালদের শহর-নগরে আপনারাও হয়তো দেখে থাকবেন। কার্ডিওলজির পরিভাষায় এদের ‘এ’ ব্যক্তিত্বের মানুষ বলা হয়। তখন ১৯৫৮ সাল। ক্য...
continue reading →হৃদরোগীর ডায়াবেটিস; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১৩ই সেপ্টেম্বর ১৯৯৯; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত ইংরেজিতে একটি কথা আছে-Unfortune never comes alone। দুর্ভাগ্য কখনো একলা আসে না। কিছু অসুখের ক্ষেত্রেও কথাটি প্রযোজ্য। শরীরের একটি অঙ্গ বা যন্ত্রে রোগ বাসা বাঁধলে পরবর্তীকালে তা ছড়িয়ে পড়ে দেহের বিভিন্ন অংশে। ডায়াবিটিস হলো এমনই একটি ব্যাধি যা থেকে বহু ধরনের উৎপাত দেখা দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিতে ডায়াবিটিসকে বলা হয় অন্তঃক্ষরা ও বিপাকীয় ত্রুটিজনিত রোগ (Endocrin And Metabolic Disorder) । আমরা মুখ দিয়ে খাবার খাই। তারপর সেই খাদ্য গ্রাসনালী-পাকস্থলী-অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় পরিপাক বা সরল জৈব যৌগে পরিণত হয়। এই পরিপাক হওয়া খাদ্য অন্ত্র থেকে ভিলাই নামক পর্দার মধ্য দিয়ে রক্তে মেশে। রক্তের মাধ্যমে খাদ্য পৌঁছে যায় বিভিন্ন কোষে কোষে। এরপর হয় বিপাক অর্থাৎ সরল খাদ্যকণার ভেতরে থাকা স্থিতিশক্তিকে অক্সিজেনের সাহায্যে প্রয়োজন মতো ভেঙে শরীর তাপ বা গতিশক্তি লাভ করে। ডায়াবিটিস মেলিটাস হলে আমাদের দেহ গ্লুকোজ বা শর্করা থেকে ঠিকমতো তাপ বা গতিশক্তি পায় ...
continue reading →হৃদয়ের কথা; পর্ব-৯; আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা হার্ট অ্যাটাক আজ এক সাধারণ ব্যাধি। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এর প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এটি মনে রাখতে হবে পোলিও, হাম, হেপাটিইটিস-বি-এর মতো হৃদরোগের কোনো ভেকসিন বা টিকা এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে তা আবিষ্কারের সম্ভাবনাও কম। কারণ হার্ট অ্যাটাক জীবাণুঘটিত রোগ নয়। তাই রোগ সম্বন্ধে সচেতনতা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়াই একমাত্র পথ। এখন জেনে নেওয়া যাক আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কতখানি। হিসাবটি প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। আপনি মনোযোগ দিয়ে প্রশ্নগুলি পড়ুন তারপর উত্তরগুলি চিহ্নিত করুন। উত্তরের পাশে বন্ধনীর মধ্যে থাকা সংখ্যাগুলি যোগ করে জেনে নিন- আপনার হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। ১/ আপনার বয়স - (ক) ১০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে (০); (খ) ৪১ থেকে ৫০-এর মধ্যে (২); (গ) ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে (৪); (ঘ) ৬০ বছরের বেশি (৬)। ২/ আপনার পরিবারের হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস - (ক) একদম নেই (০); (খ) বাবা, মা, সহোদর দাদা, সহোদরা দিদি-এর মধ্যে যে কোনো একজনের হয়েছে তবে ৬০ বছর বয়সের ...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →