সাগরজলে তেলদূষণ রোধ; -ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১৩ মে ১৯৯২; ওভারল্যান্ড পত্রিকাতে প্রকাশিত তখনও পুবের আকাশে ভালভাবে রঙ ধরেনি। ভোররাত। স্থানীয় অধিবাসীদের ঘুম ভাঙতে কিছু সময় বাকি। এরমধ্যে কানফাটা বিকট শব্দ, তারপর কয়েকঘন্টার মধ্যে ৭০০ হাজার গ্যালন অপরিশোধিত তেল ছড়িয়ে পড়ল সমুদ্রের জলে। উপকূল ধরে মাইলের পর মাইল নীল সমুদ্রের জল কালো হয়ে উঠল। বিপন্ন হল ১০ হাজার প্রজাতির পাখি ছাড়াও ৯৪টি সামুদ্রিক প্রজাতি। তেলে ভিজে অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি হল কয়েকটি বিরল প্রজাতির প্রাণী। অন্ধ হয়ে গেল কিছু ডলফিন, সামুদ্রিক ভোঁদড়। না, এ বুশ-সাদ্দাম লড়াইয়ের বা ভারত মহাসাগরে মোজাম্বিক উপকূলে স্পেনের তেলবাহী জাহাজের দুর্ঘটনার বর্ণনা নয়। আজ থেকে একুশ বছর আগের ঘটনা। ১৯৭১ সাল, আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার জাহাজ সানফ্রানসিসকো উপসাগরে ঢোকার সময় গোল্ডেন ব্রিজের কাছে পরস্পরকে ধাক্কা মারে, ফলে এ দুর্ঘটনা। সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ভারসাম্যের ওপর এই ব্যাপক আঘাত আসায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ল সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় ঘটনাস্থ...
continue reading →পৃথিবী দিবসের ভাবনা;- ডাঃ পার্থপ্রতিম;২০শে এপ্রিল ১৯৯২ (৭ই বৈশাখ, ১৩৯৯);দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত শীতের শেষে প্রকৃতির বুকে গ্রীষ্মের আমেজ। হাসিখুশি দমাল মন নিয়ে কিশোর-কিশোরীরা ঝাঁপিয়ে পড়ছে ‘কাহোগা’ নদীর সুনীল জলে। বাবা-মা সারা শরীরে ট্যান অয়েল মেখে অলস সময় যাপন করছে আলো ঝল-মল নদীতীরে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ছোট্ট শহর ক্লিভল্যান্ড। শহরের বুক চিরে রয়ে গেছে কাহোগা নদী। একটু হাত বাড়ালেই ‘ইরি হ্রদ’। সপ্তাহ শেষের ছুটি কাটানোর পক্ষে এর চেয়ে আর ভালো কি হতে পারে? এপ্রিল-মে মাসে গোলাপ বনে রঙ লাগার সাথে সাথে এখানে ভীড় জমায় অলস ভব ঘুরে, প্রকৃতি-প্রেমী ও রোমান্টিক পাগলের দল। না-না, এ আজকের কথা নয়। অতীতের স্মৃতি রোমন্থন। এরপর পৃথিবী বহুবার পাক খেয়েছে সূর্যের চার পাশে। শহর জুড়ে গড়ে উঠেছে কল-কারখানা কংক্রিটের জঙ্গল। আকাশ-পানে হাত বাড়িয়েছে বড় বড় অট্টালিকা। নদীর স্বচ্ছ নীল জল ক্রমে ঘোলা থেকে পঙ্কিল হয়েছে। বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ মিশেছে নদীতে। জল দূষণের পরিমাণ এমনস্তরে পৌঁছে গেল যে- স্থানীয় অনেক শহরবাস...
continue reading →হৃদয় দিয়ে রুখতে হবে পরিবেশ দূষণ; ৮ম বর্ষ ১৭৪ সংখ্যা মঙ্গলবার ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৩৯৯; বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত শান্ত-দীপ্ত চেহারা, পরনে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি, গালে শুভ্র দাড়ি। সাদা ফেট্টিতে ঢাকা পড়েছে কাঁচা পাকা চুল। বয়সের বলিরেখা মুখে ছাপ ফেললেও, সবুজ মনে দাগ কাটতে পারেনি। হিমালয়ের কুমায়ুন গাড়োয়াল পাহাড়ি অরণ্যের নাম জানা- না জানা গাছ গাছালির ফাঁকে যে নামটি দমকা হাওয়ার ঝড় তুলে চলছে, তিনিই চিপকো আন্দোলনের জনক সুন্দরলাল বহুগুণা। আজ তাঁর একটি অন্তরঙ্গ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হল বিজ্ঞান বিচিত্রায়। ডাঃ পার্থপ্রতিমঃ-আপনি এই পরিবেশ আন্দোলনের অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পেলেন? সুন্দরলাল বহুগুণাঃ- আমি একজন সাধারণ গ্রামবাসী। হিমালয় অঞ্চলেরই সন্তান। এই অতন্দ্র পর্বত থেকে ভারতের আদর্শ নদী গঙ্গার উৎপত্তি। জাহ্নবী ও হিমালয় ভারতবর্ষে সংস্কৃতির প্রেরণা। জীবন হল সৃজনশীল কাজ। যেখানে জাতি আছে সংস্কৃতি আছে। হিমালয়ের বনভূমি আজ বিরাট বিপদের সন্মুখীন। হিমালয়ের সঙ্কট কেবল হিমালয়কেই শেষ করবে না, সমগ্র দেশের সংস্কৃতি ও জনজীবনকে বিধস্ত করবে। এই বিধ্বংসী সঙ্কটকে রুখে...
continue reading →কত রকমের মেঘ দেখি ঘরে বসে; -ডাঃ পার্থপ্রতিম ও সুকন্যা আচার্য ; ২৪ জুলাই ১৯৯৫, পৃষ্ঠা- তিন; দৈনিক বসুমতি পত্রিকায় প্রকাশিত অলকাপুরীপতি কুবের কর্তব্যকর্মে অবহেলার জন্য তাঁর এক ভৃত্য যক্ষকে সূদূর রামগিরি আশ্রমে নির্বাসিত করেন। দীর্ঘদিন স্ত্রীসঙ্গ বঞ্চিত হয়ে উন্মনা হয়ে উঠল যক্ষের মন। যক্ষকান্তার সংবাদলাভে ব্যাকুল হয়ে মেঘের কাছে আকুল অনুরোধ জানালেন যক্ষ। আর মেঘ ভেসে চলল অলকাপুরীর অভিমুখে। মহাকবি কালিদাসের বর্ণনায় যাই বর্ণিত হোক না কেন মেঘ সুনীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ায় পত্নী বিরহীর অনুরোধে নয়, প্রাকৃতিক নিয়ামানুসারেই। মেঘের বিজ্ঞানভিত্তিক গল্প তুলে ধরেছেন পা র্থ প্র তি ম ও সু ক ন্যা প্র তি ম। দূর আকাশের বুকে যে ছোট ছোট জলকণা বা তুষারকণা ভেসে বেড়ায় মেঘ বলতে তাকেই বুঝি আমরা। আমরা এও জানি সূর্যের উষ্ণ কিরণে ভূপৃষ্ঠ থেকে জল বাষ্পে পরিণত হয়ে উপরে উঠে। কারণ, জলীয় বাষ্প বায়ুর তুলনায় বেশ হাল্কা। এইভাবে হালকা বাষ্প ওপরে উঠতে উঠতে ক্রমে শীতল হতে থাকে। তারপর একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছে গেলেই তা ঠান্ডা হয়ে জলকণায় পরিণত হয়, বিজ্ঞানীরা সেই নির...
continue reading →তৃনয়না টুয়াটারা প্রশান্ত মহাসাগরের নীল জলে ঘেরা এই দেশটিকে দ্বীপপুঞ্জ বললেও ভুল হবে না। নিউজিল্যান্ডের উত্তরভূমির কাছে রয়েছে উঁচু-নীচু এক পাথুরে দ্বীপ, যেখানে সাধারণ মানুষের যাওয়া নিষেধ। একমাত্র বিজ্ঞানী ও গবেষকরা সেখানে যাওয়ার ছাড়পত্র পান। তার কারণ হল- সে দ্বীপে বসবাস করে এক অদ্ভুত বিরল প্রাণী, যার নাম টুয়াটারা। বৈজ্ঞানিক নাম- স্ফীনোডন পাঙ্কটাটাস (Sphenodon Punctatus) হলেও ডাক নামেই সবাই? এরা পৃথিবীতে এসেছিল সম্ভবত ২০ কোটি বছর আগে। কচ্ছপ, কুমীর এমন কি ডাইনোসরস, টেরাডেকটাইলেরও তখনো আবির্ভাব ঘটেনি। সে সময়ে রিঙকোসাফেলয়ান (Rhynchocephalion) নামে একধরনের সূচালো মাথাওয়ালা সরীসৃপ দেখা দিয়েছিল। ওদেরই একটি শ্রেণী টুয়াটারা। অন্যসব জাতভাইয়েরা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কিন্তু যেভাবেই হোক বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে আজও এরা টিকে আছে। প্রাচীনতম এই প্রাণীটি সম্ভবত ২০ কোটি বছর আগেকার সরীসৃপদের মতো একই ঢংয়ে জীবনযাপন করে। তাই বৈজ্ঞানিকদের কাছে টুয়াটারা চাঞ্চল্যকর গবেষণার বিষয়। প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রাণীরা কিভাবে বেঁচে থাকতো? টুয়াটারাদের জীবনধারা পর্যবেক্ষ...
continue reading →শব্দ ব্রহ্মের মাতামাতি; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; বর্ষ ৩ সংখ্যা ১০ সোমবার ২৮ আশ্বিন ১৩৯৭;কলকাতা পত্রিকায় প্রকাশিত পূজার সময় সারা দিনরাত ধরে অবিরাম মাইকের আওয়াজের সাথে বাজি-পটকার প্রলয়ঙ্কর শব্দ মিলে তৈরি হয় এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে কলকারখানা যানবাহন ও বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি অবশ্যই অবাঞ্ছিত শব্দ সৃষ্টির জন্য দায়ী। এক শ্রেণীর বিচারবুদ্ধিহীন লোকের কার্যকলাপও পরিবেশ দূষণ ঘটায়। এরাই আনন্দের অতিশয্যে বাজি-পটকা ফাটায়, জোরে মাইক বাজায় এবং ক্ষতিকারক পরিবেশ সৃষ্টি করে। কোন শব্দ কতখানি ক্ষতিকারক তা নির্ভর করে শব্দের চরিত্রের উপর। শব্দ মৃদু বা প্রবল যাই হোক না কেন তার একটা তীব্রতা ও তীক্ষ্মতা আছে। শব্দের তীক্ষ্মতা নির্ভর করে শব্দ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে কতগুলি কম্পন হয় তার সংখ্যার উপর এবং যত বেশি কম্পন হবে শব্দের তীব্রতা বা প্রবলতা শব্দ তরঙ্গের বিস্তার অর্থাৎ শব্দ তরঙ্গের একশীর্ষ থেকে পরবর্তী শীর্ষ পর্যন্ত দূরত্ব দ্বারা মাপা হয় এবং বিস্তার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতাও ক্রমশ বাড়তে থাকে। শ...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →