আইসক্রিমের ইতিকথা; ডাঃ পার্থপ্রতিম; রবিবাসরীয় ৭ জুলাই’ ৯১; পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৬; আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনাটি হঠাৎই ঘটে গেল। বড়দিনের মাঝরাতে নাচগান শেষ করে যে যার বাড়ি ঘিরে গেছে। ভোরের আলো ফুটতেই গির্জার প্রহরী এসে দেখতে পেল- এক অতিথির ফেলে যাওয়া একজগ মধু মেশানো দুধ, লনের ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে গেছে। সে আর লোভ সামলাতে পারল না। খেতে বেশ চমৎকার লাগল। আইসক্রিমের প্রচলন নিয়ে এমন একটি মজার গল্প অনেক আমেরিকান বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের শোনান। সে সত্যি মিথ্যে যাই হোক। আইসক্রিম তৈরির কলাকৌশল যে চীনেরাই প্রথম রপ্ত করেছিল তার যথেষ্ট প্রমাণপত্র আছে। ঐতিহাসিকদের বিবরণ থেকে জানা যায়, খ্রিস্টের জন্মের চারশো বছর আগে গ্রীক বীর আলেকজান্ডার চীনে এসে জমানো ফসলের রস মেশানো দুধ খেয়েছিলেন। সে সময়ে পাহাড়ের চূড়া থেকে ক্রীতদাসেরা কাঠের গুঁড়োর মধ্যে করে বরফ শহরে নিয়ে আসত। রোমান সেনাপতি কুইনটাস্ মাক্সিমাস যার ডাক নাম শুটান, তাঁর লেখাতেও চীনের আইসক্রিমের উল্লেখ পাওয়া যায়। ১২৯৫ সাল পর্যন্ত ইউরোপের লোকেরা আইসক্রিম বানানোর পদ্ধতি জানতো না। ...
continue reading →অক্লান্ত নায়ক; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১১ই এপ্রিল ২০০৪; রবিবারের সাময়িকী; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত বাজছে ভোটের ঘন্টা। চটক নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি, আর প্রতিশ্রুতি পালনের প্রতিশ্রুতি শুনে গণজনতার কান-মাথা ভোঁ ভোঁ। কাজ না করার অজুহাতের ভারে জনমানসের দেহ-মন যখন ভারাক্রান্ত, তখন এই ধরিত্রীর একজন চলতে না পারা, বলতে না পারা মানুষ স্পিচ সিন্থেসাইজারের বোতাম টিপে টিপে জানিয়েছেন- আমার অনেক অ-নে-ক কিছু করার আছে। সেই ‘অক্লান্ত নায়ক’-কে নিয়েই এবারে আপনাদের সামনে হাজির -ডাঃ পার্থপ্রতিম। "আমি লক্ষ করলাম চলাফেরায় আমি জবুথবু হয়ে যাচ্ছি। এক দু-বার বিনা কারণে পড়েও গেলাম। আমি এমন একটা রোগে ভুগছি যেটা সারবে না এবং কয়েক বছরের ভেতরেই আমার মৃত্যু হবে। আমি যখন হাসপাতালে ছিলাম তখন আমার উল্টোদিকের বিছানায় একটি ছেলে দীর্ঘদিন ভুগে ভুগে মারা গেল। আমি আবছা আবছা বুঝতে পেরেছিলাম, রোগটি ছিল লিউকোমিয়া। দৃশ্যটা সুন্দর মনে আছে। যদি কখনো আমার নিজের জন্য দুঃখ করতে ইচ্ছা করে, তখন আমি ওই ছেলেটির কথাই ভাবি।" ১৯৮৭ সালের অক্টোবর মাসে বার্মিংহামে ব্রিটিশ মোট...
continue reading →ঈর্ষা; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৫ নভেম্বর ২০০১; রবিবারের সাময়িকী; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সাত সকালেই এ কী কান্ড! মি. চ্যাটার্জি তো এক্কেবারে থ। নতুনকেনা মারুতি এসটিমের উইন্ড গ্লাস ভেঙ্গে চুরমার। গ্যারেজের দরজার ফাঁক দিয়ে এই কান্ডটা কেউ করে বসেছে। ঠিক এমনটি না হলেও ঈর্ষার এ ধরণের প্রকাশ আমরা মাঝে মধ্যেই দেখতে পাই। ঈর্ষা বা হিংসা মানুষের জন্মগত প্রবৃত্তি নয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন-শিশু তিনটি মৌলিক অনুভূতি নিয়ে এই পৃথিবীর আলোয় চোখ মেলে। এই তিনটিকে বলে সহজ প্রাথমিক অনুভূতি (সিম্পল প্রাইমারী ইমোশন), ভয় (Fear), রাগ (Anger),ও ভালোবাসা (Love) হলো তাই। কোনো কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ, বাজি পটকার শব্দ, শিশুকে ফেলে দেওয়া হবে এমন ভঙ্গি (Loss of support) করলে সে ভয় পায়। শিশু মন যা করতে চায় যেমন মুখে আঙ্গুল দেওয়া, কোনো কিছুকে ধরতে চাওয়া এসব না করতে দিলে তার রাগ হয়। অনেক সময় বাচ্চাকে জোরে চেপে ধরা হলে তার রাগ হতে পারে। মা-বাবা কোলে নিলে বা তার পছন্দ মতো কিছু পেলে তার ভালোলাগে এটাই ভালবাসা। জন্মের পর থেকে ৬-৭ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর মধ্যে এগুলিই থাকে। তারপর ধীরে ধীরে সামাজিক যৌথ অনু...
continue reading →কুসংস্কারবিরোধী আন্দোলন ও প্রবীর ঘোষ প্রায় সমার্থক হয়ে গেছে। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। শতাধিক জ্যোতিষী ও আলৌকিক ক্ষমতাশীল ভন্ড বাবাজির তিনি মুখোশ খুলেছেন। চল্লিশটির বেশি গ্রন্থের লেখক। তাঁর লেখা ‘আলৌকিক নয় লৌকিক’ বইটি সপ্তাহের পর সপ্তাহ বেস্ট সেলার ছিল বাংলা প্রকাশনার জগতে। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের কিছু প্রশ্ন নিয়ে শ্রীঘোষের মুখোমুখি হয়েছেন ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১১ আগস্ট, ২০০৫ ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত ডাঃ পার্থপ্রতিমঃ-বিজ্ঞান আন্দোলন চললেও আবার পৃথকভাবে যুক্তিবাদী আন্দোলন কেন? প্রবীর ঘোষঃ- ৭০ এর দশকের আগে বিজ্ঞান আন্দোলন বলতে মনে করা হত বিজ্ঞানের তৈরি, মডেল প্রদর্শনী, দু-একটি কর্মশালা এমন কিছু অনুষ্ঠান। এর বাইরে সাধারণ মানুষের সমস্যাকে কেন্দ্র করে তেমন কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। কোনো রকম বড় উত্তোরণকেই আমরা বিপ্লব বলতে পারি। আসলে যুক্তিবাদী মন বা মানসিকতা ছাড়া কোনো রকম উত্তোরণ বা বিপ্লব সম্ভব নয়। নকশাল আন্দোলনের ক্ষেত্রে সমাজ পালটে দেওয়ার মানসিকতা থাকলেও গ্রাম্য ও শহরের মানুষের মধ্যে...
continue reading →উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় ২৩ই নভেম্বর ২০০৯ তারিখে ১০ নং পাতায় প্রকাশিত “ যখন একা একা কেউ কোন স্বপ্ন দেখে তা হয়তো বা স্বপ্নই থেকে যায়; কিন্তু বহু মানুষ যখন একসাথে মিলে একই স্বপ্ন দেখে তখন তার কিছুটা হলেও বাস্তব রূপ পায়..” -আবেগ জড়ানো গলায় এই কথাগুলিই বলে গেলেন শ্রীমতি ছন্দা দাস; অধ্যক্ষা বিন্নাগুড়ি আর্মি পাবলিক স্কুল। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থানায় বিন্নাগুড়ি। পূর্বভারতের অন্যতম আর্মি ক্যান্টনমেন্ট বা সেনানগর। রাজকীয় সিংহদুয়ারে নিরাপত্তার বেষ্টনী পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলেই এক অচীন নগর। ঝাঁ-চকচকে প্রশস্ত পথ, নিখুঁত দেখভাল। সবসময়ই রঙচঙে। সারিবাঁধা একতল- দ্বিতল আর্মি কোয়াটারগুলির মাঝে অনেক ফাঁকা জায়গা। অজস্র মহীরুহ সবুজে শ্যামল করে তুলেছে এই মায়াবী নগরকে। কিছুদূর পর পর সুন্দর সাজানো ট্রফিক আইল্যান্ড। সেখানেও আধুনিক স্থাপত্যের মনকাড়া নিদর্শন। হাজার হাজার সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প রাতটা দিন করে দেয় । ...
continue reading →‘ওভারল্যান্ড’ পত্রিকায় ১৫ জানুয়ারি ১৯৯২ (বুধবার) প্রকাশিত যদি প্রশ্ন করা হয় কোন সাল লিপ-ইয়ার হবে? সবাই বলবে ‘এতো খুবই সহজ ব্যাপার, কোনও বছরের সংখ্যা চার দিয়ে বিভাজ্য হলেই বছরটি লিপ-ইয়ার হবে। অর্থাৎ সে বছরের ফেব্রুয়ারি মাসটি ২৮ দিনের পরিবর্তে হবে ২৯ দিনে।’ কথাটি আংশিক সত্য হলেও পুরোপুরি সত্য নয়, কারণ ১৭০০, ১৮০০ ও ১৯০০ সালের সংখ্যা চার দিয়ে বিভাজ্য হওয়া সত্ত্বেও বছরগুলি অধিবর্ষ হয়নি। এইসব অদ্ভুত ব্যাপারের কারণ হলো- দিন, মা...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →