Motherland (21 )

দূরদর্শনে উত্তরবঙ্গের না বলা কথা স্বাগত

13 Sep 2020 দূরদর্শনে উত্তরবঙ্গের না বলা কথা স্বাগত

দূরদর্শনে উত্তরবঙ্গের না বলা কথা স্বাগত; ডাঃ পার্থপ্রতিম;বৃহস্পতিবার ১৪ ভাদ্র ১৪১৩; ২৭ বর্ষ ১০৪ সংখ্যা; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত গত ২৪ জুন জনমত বিভাগ থেকে জানতে পারলাম উত্তরবঙ্গের না বলা কথাকে বাঙ্ময় করার প্রয়াসী হয়েছে কিছু মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের এই উত্তরাঞ্চল যে বিভিন্নভাবে অবহেলিত ও বঞ্চিত তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। উত্তরবঙ্গে চা শিল্প আজ নানা কারণে রুগণ। রয়েছে নদী ভাঙ্গন বন্যা। ফি বছর আসে ম্যালেরিয়া। কান্নার রোল ওঠে চা বাগিচায় বনবস্তিতে। শবের মিছিল দীর্ঘ হলে ‘মাস্টার প্ল্যান’ না কী যেন তৈরির কথা শোনা যায়। আবহাওয়া-পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে এলে আবার সব প্ল্যান-প্রোগ্রাম চলে যায় হিমশীতল সিন্দুকে। কথা, কথাই হয়ে থাকে, কাজে রূপায়িত হয় না। এর পাশাপাশি রয়েছে বহু সৃজনশীল প্রতিভার অপমৃত্যু। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতার ও প্রচারের অভাবে যা তিলেতিলে নিভে যায়।     ‘উত্তরবঙ্গ সংবাদ’-এর অভাবনীয় সাফল্যের পর বেশ কিছু কলকাতার পত্রিকা উত্তরবঙ্গে চৌকি পেতেছে। তারা ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উত্তরবঙ্গের জন্য বিশেষ পাতা ...

continue reading →

ডুয়ার্সের ল্যান্ডস্কেপ

31 May 2020 ডুয়ার্সের ল্যান্ডস্কেপ

ডুয়ার্সের ল্যান্ডস্কেপ; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২ আগস্ট, শনিবার ১৯৯৭; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত বর্ষা রাতের শেষে চা-বাগিচার সবুজ গালিচায় আছড়ে পড়া সোনা রোদের আভা, অদূরেই মাথা তোলা হিমালয়, যৌবনমদে মত্ত পাগলা ঝোরা, অলস পায়ে হেঁটে চলা বুনো হাতির দল। এ সবই পরিচিত ল্যান্ডস্কেপ।     হ্যাঁ, এ সবের বাইরেও বানারহাটে রয়েছে আরও বহু আকর্ষণ। যা শুধু ভ্রমণবিলাসীদের নয়, ছা-পোষারও মন কেড়ে নেবে। শিলিগুড়ি জংশন থেকে আসা মিটারগেজ ট্রেনে চা-বাগিচার কোলে ছোট সুন্দর বানারহাট রেল স্টেশন। বানারহাট থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে সীমান্তগ্রাম চামুর্চি। চামুর্চি থেকে হাঁটাপথে পাহাড়ি পাকদণ্ডী ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় মহাকাল মন্দিরে। পাহাড়ে ট্র্যাকিং করা যাদের নেশা, এ পথ তো তাদের কাছে স্বর্গরাজ্য। আপনার ভেতরে যদি একটি রোমাঞ্চপিয়াসী মন থাকে তবে অপ্রচলিত পথে মন্দিরে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। প্রকৃতির এক অদ্ভুত খেয়ালে পাহাড়ের গুহার ভেতর নেমে এসেছে পাথরের তৈরি লম্বা লম্বা শিবের জটা। এগুলি আবার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। জটা অবিরাম টুপটাপ ঝরে পড়ছে জলবিন্দু। এই জলে রয়েছে কিছু দ...

continue reading →

“ রেলপথে ডুয়ার্স ভ্রমণ ”

13 Jan 2020 “ রেলপথে ডুয়ার্স ভ্রমণ ”

“ রেলপথে ডুয়ার্স ভ্রমণ ”-ডাঃ পার্থপ্রতিম।জলপাইগুড়ি জেলা সার্ধশতবার্ষিকী স্মারক গ্রন্থ (১৮৬৯-২০১৯) -এ প্রকাশিত প্রবন্ধ। অরণ্য-বনানী- পাহাড়ের কোল ঘেসে এগিয়ে চলা ডুয়ার্সের রেলপথ; ভ্রমণ পিপাসুদের রসাস্বাদনের অন্যতম আকর্ষণ। ডুয়ার্সের রেলপথ বলতে পশ্চিম ডুয়ার্সের শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত রেলপথকেই বোঝায়। এন.জে.পি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন ১৬৮ কিমি দীর্ঘ এই রেলপথে বর্তমানে ২৩ টি স্টেশন রয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি জংশন থেকে শিলিগুড়ি টাউন, শিলিগুড়ি জংশন হয়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত যায়। কিছু ট্রেন আবার আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে নিউ আলিপুর হয়ে আসাম গামী। আবার কয়েকটি ট্রেন আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার কোর্ট, বানেশ্বর, নিউকোচবিহার- কোচবিহার হয়ে বাংলাদেশ লাগোয়া বামনহাটে পৌঁছে যায়। শিলিগুড়ি জংশন থেকে গুলমাতে আসা রেলপথটি নয়নাভিরাম দৃশ্য মেদুর। শিলিগুড়ি নগরের সীমানা ছাড়ালে মোহরগাঁও গুলমা চা বাগানের বুক চিরে দু’পাশে আদিগন্ত বিস্তৃত সবুজের গালিচা পথ পেরিয়ে চলে আসে গুলমা স্টেশন। মহানন্দা নদীর ধারে শান্...

continue reading →

ভ্রমণ- জলপাইগুড়ি

06 Jan 2020 ভ্রমণ- জলপাইগুড়ি

পাহাড়- অরণ্য- নদী আর নানা জনজাতির সংস্কৃতি নিয়ে ভ্রমণের হাতছানি দিচ্ছে ডুয়ার্স;ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১লা জানুয়ারী ২০২০; বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত। উত্তরের আকাশে মাথা তোলা মৌন হিমালয়, তার কোল বেয়ে নেমে আসা দিগন্ত ছোঁয়া চা বাগিচার সবুজ গালিচা। নীচে তিস্তা-তোর্ষা অববাহিকার সমভূমি। কল-কল ধ্বনি তুলে বয়ে যাওয়া পাহাড়ী স্রোতস্বিনী; আবার কোথায় শান্ত নীরব তটিনী। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা; জনজাতী ও ভূমি বৈচিত্র্যের নিরিখে এককথায় অনন্য। ভ্রমণবিলাসী মানুষের কাছে চিরকালের আকর্ষণ হয়ে রয়ে গেছে জলপাইগুড়ি জেলা।     জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্স অঞ্চলে রয়েছে মূলত পাহাড়, নদী, অরণ্য। রেলপথে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে আসার পর; সড়কপথে শিলিগুড়ি হয়ে ঢুকে পড়া যায় ডুয়ার্সে। ডুয়ার্সে প্রবেশ পথে পড়বে সেবকসেতু। তিস্তা নদীর ওপর এই সেতুটি ১৯৩৭ সালে তৈরি। ইংরেজ যুবরাজ ষষ্ঠ কিং জর্জ ও রানী এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেকের সময় এই সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। তাই এর আর এক নাম করনেশন ব্রিজ। জলস্তর থেকে ব্রিজ স্প্যানের উচ্চতার নিরিখে এটি ভারতের মধ্যে অন্যতম। মহানন্দা অভয়ারণ্য ও বহু চ...

continue reading →

পুড়লো আমার প্রেমের প্রথম পাঠ

12 May 2019 পুড়লো আমার প্রেমের প্রথম পাঠ

পুড়লো আমার প্রেমের প্রথম পাঠ; -ডাঃ পার্থপ্রতিম। তখন সবে ক্লাস সেভেন থেকে এইটে উঠেছি। চা বাগিচা ঘেরা ডুয়ার্সের এক গঞ্জ। মূলতঃ পূর্ব পাকিস্থান থেকে আসা বাঙলাভাষী মানুষের ভাবনা ও প্রয়াসে গড়ে উঠেছে এই শিক্ষা নিকেতন। বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয়। আমাদের স্কুলে তখন লাইব্রেরিয়ান ছিল না। ইতিহাস পড়ানোর পাশাপাশি লাইব্রেরিয়ানের দায়িত্ব সামলাতেন মন্ডল স্যার। শৈলেন কুমার মন্ডল। লাইব্রেরিতে আনা নতুন বইগুলি তিনি প্রথমে বেশ মন দিয়ে পড়তেন। তারপর মার্কা লাগাতেন। কোনটা এক- দুই- তিন, কোনটিতে দুই- তিন- চার, কোনটা আবার তিন- চার- পাঁচ-ছয়। এক মার্কার বইগুলি শুধুমাত্র ক্লাস ফাইভের জন্য উপযুক্ত। দুই ছিল ক্লাস সিক্স এর। এভাবেই শুধুমাত্র একাদশ শ্রেণীর ছেলেমেয়েরাই পাবে ছয় মার্কা দেওয়া বই। আমাদের ছোটবেলায় বই পড়ার একটা চল ছিল। ফোর ফাইভ থেকেই পড়ে চলেছি। বিভিন্ন রকমারী বই। সেই সময় জন্মদিন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বই উপহার দেওয়ার রীতি ছিল। এমন কী বিয়ে, বৌভাতে কোন বাড়ির একজনকে নিমন্ত্রণ করলে তিনি একটি বই হাতে নিয়ে আসতেন। গিফট্ হাউসের ধারালো নখর তখনো আঁচড় কাটতে পারেনি বইবাজ...

continue reading →

এথেলবাড়ির সুশীতল তপোবন

01 Dec 2018 এথেলবাড়ির সুশীতল তপোবন

এথেলবাড়ির সুশীতল তপোবন; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৪ আগস্ট ২০০২; রবিবারের সাময়িকীতে উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত দোলনা, বোটিং, রোপওয়ে, ভুটানি মদের চোরাগোপ্তা ঠেক..। না, এসব কিছুই নেই। এ এক ব্যতিক্রমী জায়গা ছায়া সুশীতল তপোবন।     গয়েরকাটা বা বিন্নাগুড়ি থেকে বীরপাড়া যাওয়ার পথে পড়বে এথেলবাড়ি মোড়। বাস থেকে নেমে রিকশা-ভ্যান চালককে বললেই হল-আশ্রম যাব। খগেনহাট যাওয়ার রাস্তায় তিন কিমির পথ। পাকারাস্তার পাশে দয়ানন্দ বিদ্যাপীঠ-এর কোল ঘেঁষে বাঁ হাতে ঢুকে গেছে গাড়ি চলাচলের উপযোগী কাঁচা রাস্তা। একটু গেলেই পৌঁছে যাবেন শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ সারদা সাধনালয়ে।     ষাট বিঘা জমিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে সেগুন-বট-নিম-কদম শিরীষের গাছ। মাঝে বিঘা চারেকের জায়গা। গেট দিয়ে ঢুকে উত্তরদিকে রয়েছে বিরাট বড় নাটমন্দির। এখানে দুর্গাপুজোর সময় তিনদিন ধরে চলে কুমারীপুজো। প্রায় ১৮-২০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। ঠাকুর রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের জন্মোৎসবে চলে অষ্টপ্রহর নাম সংকীর্তন, ভক্তিগানের আসর।     আদি আশ্রম ছিল ত্রিপুরায়। ১৯৬৭ সাল থেকে দয়ানন্দ মহারাজ ও তাঁর শিষ্যা বাণী...

continue reading →

Join our mailing list Never miss an update