আতস বাজি; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৫ অক্টোম্বর ২০০৩; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত খাজনা আদায়ের কাছারি, গোলাঘর, মোষের খামার একে একে তলিয়ে গেল গোটা গ্রাম। হোয়াং হো-ইয়াং সিকিয়াং-এর জলে চারিদিক থৈ থৈ। এ নিশ্চয়ই সেই শয়তানের কারবার। দুর্যোগ থেকে বাঁচতে গেলে ভয় দেখাতে হবে অপদেবতাকে। পোড়াতে হবে বাজি পটকা। না, এ বর্তমানের কোনো ঘটনার বিবরণ নয়। আজ থেকে দু’হাজার বছর আগেকার কথা। তখন চীনে রাজ করছে হ্যান বংশ। সে সময় চীনাদের ধারণা ছি&...
continue reading →বহু বছর পর যেতে হলো রাজধানীতে। এ.পি.জে আব্দুল কালাম গোল্ড স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে। ডুয়ার্স থেকে দিল্লী, সূর্যস্নাত বর্ণময় সেই দিনগুলিতে মজা, ভালোবাসা, অনুভূতিতে উপচে উঠলো হৃদয়ের পাত্রখনি। মন চাইলো- সেই টুকরো হাসি, টুকরো কথা প্রিয়জনদের ভাগ দিতে. . .। দিল্লীর দিনলিপি; পর্ব -১; শুরুর সুরুয়াৎ আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সপ্তাহে চিঠিটা দিয়ে গেল পোষ্ট অফিসের পিওন ভাই। লেফাফার ওপর প্রেরক হিসেবে দিল্লীর ঠিকানা ছাপা। ইংরাজী চিঠিটি বাংলা তর্জমা করলে যা দাঁড়ায় - আমরা ২০১৯ সালের এ.পি.জে আব্দুল কালাম গোল্ড স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের জন্য প্রাথমিক স্তরে সারা ভারতের ৭৫ জন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছি। আপনি তার মধ্যে একজন। আপনার সামাজিক কাজের বিস্তারিত বিবরণ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের কাছে পাঠানোর অনুরোধ রাখছি। চিঠিটি ড্রয়ারের এক কোণায় বেশ কিছুদিন পড়েছিল। এর আগে যে এ ধরনের পুরস্কার পাইনি তা নয়; তবে সে সবক্ষেত্রে দলিল দস্তাবেজ পাঠানোর ঝক্কি ঝামেলা ছিল না। এরই মাঝে একদিন বানারহাট স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ভ্রাতৃপ্রতিম জুয়েল স্...
continue reading →বহু বছর পর যেতে হলো রাজধানীতে। এ.পি.জে আব্দুল কালাম গোল্ড স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে। ডুয়ার্স থেকে দিল্লী, সূর্যস্নাত বর্ণময় এই যাত্রাপথে মজা, ভালোবাসা, অনুভূতিতে উপচে উঠলো হৃদয়ের পাত্রখনি। মন চাইলো- সেই টুকরো হাসি, টুকরো কথায় প্রিয়জনদের ভাগ দিতে. . .। দিল্লীর দিনলিপি; পর্ব -২; বিশ্ব সাথে যোগে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশানাল এয়ার পোর্টের উপর দুবার চক্কর কাটল ফ্লাইট 6E5061। দিল্লীতে এখন সবুজের সমারোহ। আকাশ থেকে তা বেশ বোঝা যায়। ধীরে ধীরে তা নেমে এল T3 ডোমেস্টিক টার্মিনালে। দেশের রাজধানী বলে কথা। স্বাভাবিক ভাবেই তা বেশ ঝকঝকে তকতকে। সুন্দর সব ভাস্কর্যে মোড়া। কোথাও বড়সড় শঙ্খ পাঁক মারছে। কোথাও সূর্য নমস্কারের বিভিন্ন আসনের মডেল। আরও বহুকিছু। আগেই ঠিক করেছিলাম চিত্তরঞ্জন পার্কে উঠব। সি. আর পার্কের সেই লজ মালিক গৌরাঙ্গ বাবুকে ফোন করলাম। তিনি বললেন- ‘‘আপনি ওখানে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের গাড়ি আপনার কাছে পৌঁছে যাবে। আপনি হোয়াটসঅ্যাপে লাইভ লোকেশনটি শেয়ার করে দিন। আপনার নম্বর ড্রাইভারকে দেওয়া আছে।” কিছুক্ষণের মধ...
continue reading →হাটের মাঝে হাঁড়ি ভাঙলেন মানসবাবু; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ৩০ মে ২০০৪ পৃষ্ঠা- দশ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিতকয়েকজন চিন্তাশীলের মগজে মগজে কথাটি ঘুরছিল..। হাটের মাঝে (বইয়ের পাতায়) হাঁড়ি ভাঙলেন মানসবাবু। ‘উদারীকরণ উন্নয়ন ও উত্তরবঙ্গ’ শীর্ষক বইটির মুখবন্ধে জানিয়ে দিয়েছেন - ‘উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার বহু পত্রিকা বর্তমানে বের হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের জন্য দু-চার পাতা যোগ করে তাঁরা একটি উত্তরবঙ্গে সাপ্লিমেন্ট বের করেন। এটি আবার দক্ষিণবঙ্গের পাঠকের কাছে যায় না- কলকাতাতেও যায় না।’ হ্যাঁ, মানসবাবুর এই লেখার মধ্যে এক অদ্ভুত বেদনার দ্যোতনা লুকিয়ে আছে। উত্তরবঙ্গের ব্যথা বেদনার গল্পগাথা ছাপা হয় কলকাতা থেকে আসা মগজে, যা আর গঙ্গাই পেরোয় না। পলিসি মেকাররা ওই পাড়ে- আর সমস্যার পাহাড় এই পাড়ে, মাঝখানে গঙ্গা ওই বয়ে চলে যায়। সেকারণেই হয়তো মুখ্যমন্ত্রী এতো জোরগলায় বলতে পারেন - ‘বন্ধ চা বাগানগুলিতে অনাহারে কেউ মারা যায়নি।’ না, মন্ত্রীমহোদয় ডাহা মিথ্যে বলেননি। সত্যিই অনাহারে কেউ মারা যায়নি। কোনোকালে কেউ মারাও যায় না। নিরন্ন মানুষ খিদের জ...
continue reading →নষ্ট চরিত্রের কবিতা;ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৫ জুলাই ২০০৪ পৃষ্ঠা-দশ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত ডাঃ বিজয়ভূষণ রায়ের নষ্ট চরিত্রের কবিতা ভিন্ন স্বাদের কাব্যগ্রন্থ। নামটিতে আসলে লুকিয়ে রয়েছে প্রচ্ছন্ন বিদ্রুপ। কবিতাগুলি সামাজিক ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে জেহাদ। পংক্তিগুলি আপাদমস্তক এক গভীর স্মৃতিমেদুরতায় মোড়া। এই ব্যাকুলতা দেশের প্রাচীন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি কবির তীব্র আকর্ষণকে বুঝিয়ে দেয়। কবিতাগুলি ঘিরে একে একে উঠে এসেছে ভারতীয় পুরাণের বিভিন্ন চরিত্র। হরগৌরী, মহেশ্বর, জানকী... আধুনিক সমাজের রূপকল্পে লেখক তাঁদের দেখতে চেয়েছেন। এর পাশাপাশি রয়েছে ধর্ষণ, মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, চটুল শিল্পের প্রতি কবির ধিক্কার। ডাঃ রায় স্বচ্ছন্দে লিখেছেন- পাশবিক অত্যাচার কথাটি/ মুখরোচক শব্দচয়নে/ শিশুমনে জাগতো প্রশ্ন/ মানুষ পশু হয় কেমনে? অথবা টেলিভিশনের অমোঘ প্রবাহ/ শতেক নাটক আর নভেলে/ উন্মুক্ত নগ্নতা ক্রমে ক্রমে/ নরনারীকে নরকে ডোবালে। গ্রামে-গঞ্জে ব্লু ফিল্মের রমরমা বাণিজ্য কবিকে ব্যাথিত করে ; তিনি বলে উঠেন -আধুনিক এই যুগ সমাজে/ চারদিকে দূষণে...
continue reading →জলের দাম দুধের সমান;ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৮ এপ্রিল ২০০৪; পৃষ্ঠা- এগারো; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত জলের দাম দুধের সমান। না, রাজস্থান বা গুজরাটের কথা বলছি না। এটি আমাদের ঘরের কাছের ঘটনা। এক লিটার বোতলবন্দি পানীয় জলের দাম বারো টাকা, দুধের দামও তাই। চোখের সামনে এ কারবার চললেও তেমনভাবে ভেবে দেখা হয় নি। ভাবিয়ে তুললো মনচাষা। ‘মনচাষা’ তাদের মানব সংস্কৃতি-বিষয়ক কাগজের জলবৈঠক সংখ্যা প্রকাশ করেছে। জল নিয়ন্ত্রণ ও মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ এবং নদী-বন্যা নিয়ে মনচাষা এবং এককমাত্রার যৌথ উদ্যোগে বসেছিল জলবৈঠক। কলকাতার সল্টলেকে মনচাষা-র বই বিপণন কেন্দ্রে আয়োজিত এই আড্ডা আসরে এসেছিলেন শ-খানেক পরিবেশ সচেতন মানুষ। মূল বক্তা ছিলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক জয়ন্ত বন্দোপাধ্যায় ও নদী বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র। আড্ডায় যা কিছু আলোচনা হয়েছিল তাই বৈঠকি মেজাজে ধরা হয়েছে দুই মলাটের মধ্যে। মূল বক্তাদের বিষয়গত জ্ঞান যে প্রশ্নাতীত তা পাঠকের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, বন্যা ও নদীপ্লাবিত অঞ্চলে ঘোরাঘুরি বক্তাদের অভিজ্ঞতা...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →