সুন্দরী চামুর্চিতে পর্যটনের সম্ভাবনা; -ডাঃ পার্থপ্রতিম। সোমবার ২৫ আগস্ট ২০১৪; আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত শিলিগুড়ি জংশন থেকে আসা ট্রেনে চা-বাগানের কোলে ছোট্ট সুন্দর বানারহাট রেল স্টেশন। ৯ কিলোমিটার দূরে সীমান্ত গ্রাম চামুর্চি। সেখান থেকে হাঁটাপথে পাহাড়ি পাকদন্ডী ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় মহাকাল শিবমন্দিরে। ট্রেকারদের জন্য এ পথ তো তাদের কাছে স্বর্গরাজ্য। প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালে পাহাড়ের গুহার ভেতরে নেমে এসেছে পাথরের তৈরি লম্বা লম্বা শিবের জটা। পৃথিবীর যে সব অঞ্চলে এমন গুহা রয়েছে তার অনেকটাই চলে এসেছে পর্যটন মানচিত্রে। অন্ধপ্রদেশের ভাইজাগের কাছে ‘বোড়াকেভ’কে ঘিরে বহু টাকার ব্যবসা চলে। যদি ভুটান সরকারে সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এখানে রোপওয়ে তৈরি করা যায়, উন্নত করা যায় পথঘাট, তবে পিলগ্রিম ট্যুরিজমের সম্ভাবনা রয়েছে। বানারহাটকে খুঁটি করে ঘুরে আসা যায় ডায়না ও রেতি ফরেস্ট এলাকায়। ডায়না নদীর তীর ধরে উত্তরে হেঁটে যাওয়া আর দূরে তাকিয়ে থাকা। তেলিপাড়া চা কারখানার কাছেই ভূগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসা প্রস্রবণ তৈরি করেছে আংরাভাসা নদী। ছোট্ট একট...
continue reading →নানা সমস্যায় জর্জরিত বানারহাটের মানুষ; -পার্থপ্রতিম; ৮ নভেম্বর, ১৯৯২; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত বানারহাট :- ২৭ টি চা বাগিচার কেন্দ্রবিন্দু জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট নানা সমস্যায় জর্জরিত। এই অঞ্চলের লোকসংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার। যার মধ্যে ৫২ শতাংশ তফসিলী উপজাতি ও ২৩ শতাংশ তফসিলী জাতির মানুষ। ১৯৯৯ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মাত্র ১৫, ১৫৯ জন পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার আওতায় এসেছেন। চা বাগিচাগুলি রয়েছে পঞ্চায়েতের বাইরে। কিন্তু চিকিৎসা, শিক্ষা, কেনাবেচা প্রায় সব বিষয়েই চা-কর্মীরা বানারহাটের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে তুঙ্গে হলো জলের সংকট। বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য ব্যবহারযোগ্য জলের স্তর ভূ-পৃষ্ঠের ২৭৫ থেকে ৩০০ ফুট নিচুতে। এই পাহাড়ি পাথুরে অঞ্চলে একটি সরকারি গভীর নলকূপ ছাড়া আর কোন জলের উৎস নেই। তাও দৈনিক সরবরাহ মাত্রা মাথাপিছু ১১.৬ লিটার। ২০ হাজার লোকের পানীয় জলের সংকট আরও মারাত্মক আকার নেয় যখন বিদ্যুৎ গোলযোগের জন্য সবে ধন নীলমণিও অচল হয়ে পড়ে। আগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হলে জিজেল পাম্প চালান হতো। গত বছর থেকে ব...
continue reading →সংকটে ডুয়ার্সের রেলপথ, চাই সঠিক পদক্ষেপ; ২৬শে অক্টোবর ২০১৯; পৃষ্ঠা-৬; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত; ডুয়ার্সের রেলপথ বলতে পশ্চিম ডুয়ার্সের শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত রেলপথকেই বোঝায়। এই রেলপথটি চা বাগিচা অধ্যুষিত ডুয়ার্স এলাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ১৬১ কিমি দীর্ঘ এই রেলপথে বর্তমানে ২১ টি স্টেশন রয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি জংশন থেকে শিলিগুড়ি টাউন, শিলিগুড়ি জংশন হয়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত যায়। কিছু ট্রেন আবার আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে নিউ আলিপুরদুয়ার হয়ে অসমগামী। আবার কয়েকটি ট্রেন আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার কোর্ট, বানেশ্বর, নিউকোচবিহার- কোচবিহার হয়ে বাংলাদেশ লাগোয়া বামনহাটে পৌঁছে যায়। ডুয়ার্সের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা শতাব্দী প্রাচীন হলেও সেভাবে উন্নত হয়নি, বরং অবনতি হয়েছে। শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ১৬১ কিমি দীর্ঘ এই রেলপথের বহু স্টেশন উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ স্টেশনগুলির মধ্যে রয়েছে শিলিগুড়ি জংশন ও গুলমার মাঝে পশ্বাশ্র...
continue reading →পায়ে পায়ে পঞ্চাশঃ বানারহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়; - ডাঃ পার্থপ্রতিম;২১শে ফেব্রুয়ারী ২০১১; পৃষ্ঠা-দশ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত যত দূর দু’চোখ যায় শুধু সবুজ শ্যামল। দিগন্ত বিস্তৃত চা-বাগিচার সবুজ গালিচা। উত্তরে মাথা তুলে থাকা মৌন গিরিরাজ। প্রকৃতির ক্যানভাসে লেপ্টে থাকা উপত্যকা, পাহাড়ী ঝোরা, নাম জানা না জানা গাছ-গাছালি। চাঁদ ভাঙা জ্যোৎস্না রাতে মুর্মূ লাইন থেকে ভেসে আসা মাদলের দ্রিমি দ্রিম। আরো কত কিছু যে মিশে আছে ডুয়ার্সের বানারহাট নামের এই বন্দর গঞ্জে। বানারহাটের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বানারহাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবার মেতে উঠেছিল সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উৎসবে। গত ৩১শে জানুয়ারী থেকে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী পাঁচদিন ব্যাপী ছিল হরেক রকমের অনুষ্ঠান। বানারহাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের জন্ম হয়েছে বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকেই। ১৯৪৯ সালে শুরু হয় বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পথচলা। ১৯৫৭ সালের শেষ দিকে সেসময়কার শিক্ষা সচিব ডি.এম. সেন বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন। সুন্দরভাবে সাজানো স্কুলের পরিবেশ শ্রী সেনকে মুগ্ধ করে। পরিদ...
continue reading →পুজোর সময় যাত্রা উৎসব; - অনিতা দত্ত; ১০ অক্টোবর ২০১৪; আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত শহুরে মানুষ যখন মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখতে ব্যস্ত, অষ্টমীর রাতে বানারহাট চা বাগানের মাঠ জুড়ে তখন ছড়িয়ে রইল এক অদ্ভুত মাদকতা। কয়েক হাজার নারীপুরুষ পা মেলালেন ধামসা মাদলের তালে তালে। নেচে গেলেন রাতভর। শুধু বানারহাট নয়, ডুয়ার্সের বিভিন্ন বাগানের শ্রমিক মহল্লার ওরাঁও, মুন্ডা, সাঁওতাল, মালপাহাড়ি, লোহার, হো বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ মেতে ওঠেন এই আনন্দোৎসবে। এই উৎসবের নাম ‘যাত্রা’। কোথাও সপ্তমী, কোনও চা বাগানে অষ্টমী কোথাও বা আবার নবমীর রাতে অনুষ্ঠিত হল যাত্রা। বিকেল গড়াতেই বাগানের মাঠে পায়ে পায়ে জমায়েত। আদিবাসী গোষ্ঠীর পুরোহিত নৃত্যানুষ্ঠানের শুরুতে মাঠে বাঁশের কঞ্চি, ঘট রেখে একটা গাছের ডালে পুজো সারলেন। পুজোর উপকরণ- আতপ চাল, পাকা কলা, সুপারি, সিঁদুর, ছোলা, ধান, দম। গাছের ডালে উৎসর্গ করা হয় মুরগি ও পায়রা। দেবতার উদ্দেশ্যে সম্মিলিত প্রণাম। প্রণাম শেষে ‘দ্রিমি দ্রিমি’ সুরে বেজে ওঠে ধামসা, মাদল। ...
continue reading →পায়ে-পায়ে ১ শো (১৯০৫-২০০৫); ডাঃ পার্থপ্রতিম। চামুর্চী হাটের শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকায় সে অনেক কালের কথা। পূর্ব হিমালয়ের শিবালিক পর্বতমালা থেকে শৈল তটিনী বয়ে আনছে পলি, নুড়ি, বালি। পাহাড়ের পাদদেশে তিল তিল জমে তৈরী হয়েছে আধপাহাড়ী ভূখন্ড। তখনো দেশভাগের লকলকে আগুন ছুঁতে পারেনি এই দেশটাকে। ভুটানের লাগোয়া সীমান্ত গ্রাম চামুর্চী। চড়াই উৎড়াই পাকদণ্ডী বেয়ে সোনালী কমলা, ধূসর সাদা, তুষারশুভ্র মাখন- সূরপী নিয়ে নেমে আসছে মানুষজন। বোঝা পিঠে দুলকি চালে আসছে ঘোড়া– খচ্চরের দল। বাঁশের ডৌকা ভরে স্কোয়াশ, সবজি আরো কত কী। সমতলের ব্যাপারিরা আনতো ধান, চাল, খৈ, মুড়ি, বেড়ি হাতা থেকে শীতের র্যাপার নক্সা কাটা। হপ্তা শেষে ক্রেতা- বিক্রেতার কলহাস্য গীতে মুখরিত বিপণন প্রাঙ্গন। ক্রেতা- হাটুয়া দিনের শেষে বাড়ি ফিরতো এক গাল হাসি নিয়ে। হাটের চত্তর ঘিরে গড়ে উঠেছে জনবসতি। সদা সরগরম। ১৯৫১- সালে প্রকাশিত এ.কে. মিত্র সম্পাদিত West Bengal District Hand Book এ দেখা যাচ্ছে জলপাইগুড়ি মহকুমাতে চারটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮০০ থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে। ১৮০৪ সালে বৈকুন্ঠ-পুরের রাজা জলপ...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →