রাখি পরিয়ে ডুয়ার্স দিবস;-অম্লানজ্যোতি ঘোষ; ১৫ জানুয়ারি ২০১১; আজকাল পত্রিকায় প্রকাশিত অম্লানজ্যোতি ঘোষ :- আলিপুরদুয়ার, ১৪ জানুয়ারি-একে অপরের হাতে রাখি পরিয়ে দিল। হিন্দু মুসলমানকে, মুসলমান হিন্দুকে। রাখি বন্ধনের মাধ্যমে একে অপরের কাছে আসল সবাই। ডুয়ার্সের কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশাকে উপেক্ষা করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ভাষা-রাজনীতি ভুলে ডুয়ার্সের সর্বত্র ভারতের জাতীয় পতাকা ও নবনির্মিত ডুয়ার্সের পতাকা উত্তোলন করে ১৪ জানুয়ারি ‘ডুয়ার্স দিবস’ পালন করল ডুয়ার্সের মানুষ। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন হয় ১৩ জানুয়ারি জেলা পুলিসের এস পি আনন্দ কুমারের হাত দিয়ে। বিন্নাগুড়িতে উদ্বোধনে হাজির ছিলেন জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাশাসক রঞ্জনকুমার ঝা। উদযাপন কমিটির পক্ষে ডাঃ পার্থপ্রতিম জানান- "পশ্চিমে ওদলাবাড়ি থেকে পূর্বে কুমারগ্রামের মধ্যে যে ১১ টি ব্লক রয়েছে সবখানেই খুবই উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করা হচ্ছে দিনটিকে।" বলেন- "রাজনৈতিক কারণে আজ ডুয়ার্স অশান্ত। কেউ ধর্মের ভিত্তিতে, কেউ ভাষার ভিত্তিতে ডুয়ার্সকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে। হচ্ছে ঘন ঘন বন্ধ। ক্ষতি হচ্ছে ডুয়...
continue reading →ডুয়ার্স ডে পালন করতে ঘরে ফিরছেন বহু মানুষ; মোস্তাক মোরশেদ হোসেন; ১৩ জানুয়ারি ২০১২ নয়; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত বানারহাট সংলগ্ন পলাশবাড়ি চা বাগানের বাসিন্দা ডাঃ শ্রীপর্ণা দত্তের কোচবিহারে বিয়ে হয় ২৩ বছর আগে। ১৪ জানুয়ারি বানারহাটে আসছেন তিনি একটা বিশেষ দিন উদ্যাপনের উদ্দেশ্যে। ময়নাগুড়ির সোমনাথ নার্জিনারি বেলুড়ে কর্মরত। ১৪ জানুয়ারি তিনিও ফিরবেন ময়নাগুড়িতে। আটপুকুরির বাসিন্দা ফালাকাটা সংলগ্ন সিন্টু বাড়ুই চাকরি করেন মহারাষ্ট্রের একটি সংস্থায়। তিনিও বাড়ি ফিরছেন ১৪ জানুয়ারি। ডাঃ শ্রীপর্ণা দত্ত, সোমনাথবাবু, সিন্টুবাবুর মতো অনেক ডুয়ার্সবাসীই বাড়ি ফিরছেন ১৪ জানুয়ারি। সকলের উদ্দেশ্য একই। ডুয়ার্সের ঐতিহ্য, সম্প্রীতি, সংহতি সংস্কৃতি রক্ষায় একটা দিন উদযাপন করা। ‘ডুয়ার্স ডে’ পালন করা। ডুয়ার্স ডে উদ্যাপনের এবার দ্বিতীয় বছর। উদযাপন কমিটির কার্যকরী সভাপতি সুকল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, কয়েক বছর থেকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন ভাষাভাষী ও সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের হৃদয়ে যে বিভেদ ও বিদ্বেষের বীজ রোপিত হয়েছে তা উৎপাটিত ...
continue reading →দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে মিলতে চলেছে গোটা ডুয়ার্স; -অনুপ সাহা; ১ নভেম্বর ২০১০; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রায় পঁচিশ বছর আগের কথা। কালচিনি ইউনিয়ন অ্যাকাডেমিতে একই ক্লাসে পড়তেন এরা দুজন। দুজনে যাকে বলে হরিহর আত্মা। তারপর সুনীতি ছেত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে নেপালের বিরাটনগরে। আর গার্গী গাঙ্গুলি বিবাহসূত্রে এখন কলকাতার বাসিন্দা। দুজনের আত্মীয়-পরিজন এখনও রয়ে গেছেন কালচিনিতে। বিয়ের পর দুজনেই বহুবার নিজভূমিতে এসেছেন। তবে সুনীতি যখন আসেন, তখন গার্গী কলকাতায়। আর গার্গী যখন আসেন তখন সুনীতি নেপালের দূর শহরে। এভাবেই কখন যেন কেটে গেছে দীর্ঘ পঁচিশ বছর। ইতিমধ্যে এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই পালটে গিয়েছে। দুই পরিবারের সম্পর্ক কিছুটা বিবর্ণ হয়েছে সেই ভাষা-গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে। এবার মুখোমুখি হতে চলেছে সুনীতি ও গার্গী । প্রায় একই ঘটনা ঘটতে চলেছে গোপিমোহন চা বাগিচার ফ্রান্সিস বার্লা ও দিলীপ প্রধানের, কিলকটের লক্ষ্মী হাঁসদা ও সবিতা দাসের ক্ষেত্রেও। আগামী ১৪ জানুয়ারি ২০১১ দিনটিতে পুরো ডুয়ার্সজুড়ে এমনই এক অভিনব মিলনমেলার ডাক দিয়েছে ডুয়ার্স...
continue reading →১৪ই জানুয়ারী ‘ডুয়ার্স ডে’ অন্য আকাশ পানে ডুয়ার্স; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; জানুয়ারী ২০১৫; এখন ডুয়ার্স পত্রিকায় প্রকাশিত উত্তরের জানালা দিয়ে আসছে হিমেল হাওয়া, ঘাসের আগায় শিশির বিন্দু, উৎসবের পালা এখন শেষ। তবে অন্য এক ভিন্নধর্মী উৎসবে মাততে চলেছে ডুয়ার্স। পশ্চিম ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি থেকে কুমারগ্রাম। জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা থেকে সংকোশ নদী। ১৬০ কিমি লম্বা এই ভুখন্ড বর্তমানে ডুয়ার্স নামেই পরিচিত। মেচ, রাভা, টোটো, লিম্বু, রাজবংশী, কোচ, ওরাঁও, সাঁওতাল, মুন্ডা, বিহারী, বাঙালী, নেপালী, আরো বহু জাতি, জনজাতি ও ভাষাগোষ্ঠীর বাস। সুবিশাল হিন্দু মন্দির, মসজিদ, সুসজ্জিত গির্জা, নীল আকাশে হাত বাড়ানো বৌদ্ধ প্যাগাডোর চূড়া, গুরুদ্বার সবই আছে ডুয়ার্সে। প্রায় ১৪৫টি ভাষা- উপভাষায় কথা বলে এই এলাকার মানুষ। সারা দেশে আয়তনের তুলনায় সবচেয়ে বেশী প্রকারের জনজাতির মানুষ বাস করে এই ডুয়ার্সে। অতীতে সকলে পাশাপাশি থেকে একে অপরের সুখ-দুঃখের সামিল হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই অতীত ঐতিহ্যে আঘাত লাগে। ১৯৮৬ সাল থেকেই ডুয়ার্সকে গোর্খাল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ...
continue reading →শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করতে ডুয়ার্সের রোগ সারাতে চান এক ডাক্তারবাবু; মোস্তাক মোরশেদ হোসেন;১০ নভেম্বর ২০১১ পৃষ্ঠা নয়;উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত মোস্তাক মোরশেদ হোসেন, রাঙালিবাজনা :- একটা সুন্দর অথচ নানা রোগে আক্রান্ত, ক্লিষ্ট শরীর নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন ডাক্তারবাবু। বেশ তো ছিল কুমার গ্রাম থেকে ওদলাবাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত শরীরটা। কিন্তু গত কয়েক বছরে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে ওই শরীরে। তাই চিকিৎসায় হাত দিয়েছেন বানারহাটের ডাক্তারবাবু। কাঁটাছেড়ায় তার ঘোরতর আপত্তি। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা, বিচ্ছিন্নতাবাদ নামের জটিল রোগে আক্রান্ত শরীরটার চিকিৎসা না করেও তো উপায় নেই। তাই অনেক ভেবেচিন্তে একটাই দাওয়াই ঠিক করেছেন ডাক্তারবাবু। তা হল ডুয়ার্সের জন্য পৃথক একটা দিন উদ্যাপন করা। সাম্প্রদায়িকতার ভাইরাস ধ্বংস করতে, বিচ্ছিন্নতাবাদ নামের ক্যানসারের মারণ কোষগুলি ধ্বংস করতে আলিপুরদুয়ার থেকে ওদলাবাড়ি পর্যন্ত একদল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে নিয়ে ‘ডুর্য়াস ডে উদ্যাপন কমিটি’ নামে একটা ভিন্ন প্রকৃতির ‘মেডিকেল টিম’ তৈরি করেছেন ডাক্তারবাব...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →