সাবধান! শিশু পড়ে গেলেই আর্নিকা নয়; ডাঃ পার্থপ্রতিম। ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০১২, পৃষ্টা নং-১৬;উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে পাঁচবছর বয়স পর্যন্ত ভারতীয় শিশুরা যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধটি সবচেয়ে বেশী খেয়ে থাকে তা আর্নিকা মন্টেনা। মূলত: আঘাতজনিত উপসর্গে এই ওষুধটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শিশু যখন হাঁটতে চলতে শিখতে শুরু করে তখন পড়ে যাওয়া ও ছোটখাটো আঘাত পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। পড়ে গেলেই শিশুকে কাঁদতে দেখা যায়। এটা আঘাতজনিত ব্যথা থেকে যতটা না কাঁদে; তারচেয়ে বেশী কাঁদে ভয় পেয়ে। মূলতঃ ভারসাম্য হারানো ভয় থেকেই শিশু কেঁদে ওঠে। আমাদের দেশে আর একটা বড় মুশকিল এখানে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ বিনামূল্যে সর্বত্র পাওয়া যায়। বাবাইয়ের কান্না শুনে শ্যামলী বৌদি ছুটে এলো। “কী গো দিদি, বাচ্চাটা পড়ে গেল, তখন থেকে কাঁদছে! এখনো কোন ওষুধ দিলে না? শ্রীপর্ণাদির অপরাধীর মতো কাচুমাচু মুখ। সুবল সাইকেল নিয়ে ছুটলো আর্নিকা আনতে। এরপর থেকেই যখনই যতবার বুবাই আছাড় খেয়েছে ততবারই শ্রীপর্ণাদি এদিক ওদিক না তাকিয়ে বুবাইয়ে মুখে ঠুসে দিয়েছে বেশ কয়...
continue reading →গলব্লাডার স্টোন গলতে পারে ওষুধে; - ডাঃ পার্থপ্রতিম। ৩০ ডিসেম্বর ২০০৬; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত পিত্তপাথুরী বা গলস্টোন (Gallbladder stone) পিত্তথলিতে হওয়া পাথরের মতো জমা কঠিন বস্তুকে বোঝায়। যকৃত থেকে বেরিয়ে আসা পিত্তরস পিত্তথলিতে জমা হয়ে গাঢ় হয়। গলব্লাডার নীলচে-সবুজ থলির মতো অংশ। বাড়ির মা-বোনেরা যখন মাছ কাটেন তখন এই থলিটিকে ঠিকভাবে ফেলে দেন। পিত্তথলি ফেটে পিত্তরস ছড়িয়ে পড়লে মাছ তেতো হতে পারে। গলব্লাডার হল ছোট্ট মাংসল থলি। আমাদের যকৃত বা লিভারের নিচের দিকে থাকে। লিভার প্রতিদিন প্রায় একলিটার পিত্তরস তৈরী করে। গলব্লাডারে ৬০ মিলিলিটারের মতো পিত্তরস জমা হতে পারে। পিত্ত খাদ্যের মধ্যে থাকা চর্বি জাতীয় পদার্থকে হজম হতে সাহায্য করে। যকৃত থেকে পিত্তরস পিত্তথলিতে এলে রস থেকে জলীয় পদার্থ পিত্তথলির দেওয়াল শুষে নেয় ফলে পিত্তরস গাঢ় হয়। যকৃত থেকে নিঃসৃত পিত্তরসের চেয়ে পিত্তথলির পিত্তরস প্রায় দশগুন গাঢ় ও শক্তিশালী। পিত্তথলির ভেতরের দেওয়াল এপিথেলিয়াল কোষ (Epithelial Cell) দিয়ে আবৃত থাকে। এই কোষস্তর কাপড়ের মতো ভেতরের অংশকে ঢেকে রাখে ও যকৃত থেকে আসা পিত্তর...
continue reading →মনের অসুখে হোমিওপ্যাথি;- ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২ ডিসেম্বর ২০০৬; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত মন হল আমাদের দেহ জোড়া সুবিশাল স্নায়ুতন্ত্রের ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়ার ফল। জন্মের পর ধীরে ধীরে আমাদের দেহের বৃদ্ধি হয়। তৈরি হয় নতুন নতুন দেহকোষ। অবশেষে শরীর পূর্ণতা লাভ করে। সেভাবেই পার্শ্ববর্তী পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে ঘাত- প্রতিঘাত, আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে আমাদের মনোজগৎ। আশা-আকাঙ্খা, প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তি, আর্থসামাজিক অবস্থা, চারপাশের মানুষজনের আচার- আচরণের মাধ্যমে তৈরি হয় মনোভূমি। মনই হলো আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক কাজকারবারের চালিকাশক্তি। ঐ যে ডায়না পাড়ের কাশবন মাথা চাড়া দিলে আমাদের বিকাশবাবু রশিদ হাতে দৌড়-ঝাপ শুরু করে দেন, স্বপ্নাদি ব্যস্ত হয়ে পড়েন লেখা সংগ্রহের কাজে- এ সবেরই প্রেরণা আসে এক বিশেষ মানসিক গঠন থেকে। পাঠকবন্ধু, এই যে লেখাটি পড়ছেন এত আমার মনের ভাবনার সাথে মিশেল ঘটছে আপনার কৌতুহলী মনের। এতো কিছুর পরেও আমাদের এই পোড়া দেশে মনোবিজ্ঞানটাই সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত। পুষ্টির অভাব ও বাইরের জীবাণুর আক্রমণে যেমন আমাদের দেহে বিভিন্ন ...
continue reading →Dr. Parthapratim. He exposes himself in such name i.e. without surname. This is his first revolt against such caste, creed and religion of so called society. Since the very boyhood he has been integrally attached with various scientific movement. He actively takes part in different Health and Science seminar bot
Read More →