ডুয়ার্স উৎসব; শুক্রবার ৯ জানুয়ারি ২০১৫; আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত
আগামী ১৪ জানুয়ারি এক অন্য রকম উৎসবে মাততে চলেছে ডুয়ার্সবাসী।
‘সকল দ্বন্দ্ব ভেদাভেদ ভুলে আমরা মিলিতে পারি।
সাক্ষী রইবে ডুয়ার্স দিবস, ১৪-ই জানুয়ারি’।
এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও প্রগতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে ‘ডুয়ার্স দিবস’ উদযাপনের সূচনা হয়েছিল। ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্তের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের উদ্যোগে বছর চারের আগে শুরু হয়েছিল এই মহতী প্রচেষ্টা। ১৪ জানুয়ারি কেন? ১৮৬৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ব্রিটিশ সার্জেন রেইনি বড়লাট লর্ড এলগিনকে ডুয়ার্সের সার্বিক উন্নতির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে একটি চিঠি লেখেন। তাই ওই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ‘ডুয়ার্স দিবস’ দিনটিতে তাই সারা ডুয়ার্স জুড়েই বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করা হবে। বানারহাটে এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। মালবাজার বাসীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। ওই দিন ডুয়ার্সের প্রতিটি বাড়িই আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। পালিত হবে আলোক-উৎসব। চামুর্চি বাজারের সাংস্কৃতিক মঞ্চে স্থানীয় বাসিন্দারা নৃত্য-গীতির মাধ্যমে তুলে ধরবেন লোকসংস্কৃতির নমুনা। বীরপাড়ায় ডুয়ার্স বিহারী জাগরণ মঞ্চে থাকছে লুডো প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পালিত হবে দিনটি। প্রবাসীদেরও এ দিন নিজভূমে ফিরে আসার আহ্বান জানান স্বজনেরা-এই উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য। এই উৎসব সাংগঠনিক নয়, পরিবারকেন্দ্রিক। ডুয়ার্সের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ নিজস্ব ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি অনুযায়ী নিজের বাড়িতে, এলাকায় দিনটি পালন করবেন। এটিই এই উৎসবের বৈশিষ্ট্য বলে জানান ‘ডুয়ার্স দিবস উদযাপন কমিটি’র আহ্বায়ক ডাঃ পার্থপ্রতিম।