পুজোর সময় যাত্রা উৎসব; - অনিতা দত্ত; ১০ অক্টোবর ২০১৪; আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত
শহুরে মানুষ যখন মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখতে ব্যস্ত, অষ্টমীর রাতে বানারহাট চা বাগানের মাঠ জুড়ে তখন ছড়িয়ে রইল এক অদ্ভুত মাদকতা। কয়েক হাজার নারীপুরুষ পা মেলালেন ধামসা মাদলের তালে তালে।
নেচে গেলেন রাতভর। শুধু বানারহাট নয়, ডুয়ার্সের বিভিন্ন বাগানের শ্রমিক মহল্লার ওরাঁও, মুন্ডা, সাঁওতাল, মালপাহাড়ি, লোহার, হো বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ মেতে ওঠেন এই আনন্দোৎসবে। এই উৎসবের নাম ‘যাত্রা’। কোথাও সপ্তমী, কোনও চা বাগানে অষ্টমী কোথাও বা আবার নবমীর রাতে অনুষ্ঠিত হল যাত্রা। বিকেল গড়াতেই বাগানের মাঠে পায়ে পায়ে জমায়েত। আদিবাসী গোষ্ঠীর পুরোহিত নৃত্যানুষ্ঠানের শুরুতে মাঠে বাঁশের কঞ্চি, ঘট রেখে একটা গাছের ডালে পুজো সারলেন।
পুজোর উপকরণ- আতপ চাল, পাকা কলা, সুপারি, সিঁদুর, ছোলা, ধান, দম। গাছের ডালে উৎসর্গ করা হয় মুরগি ও পায়রা। দেবতার উদ্দেশ্যে সম্মিলিত প্রণাম। প্রণাম শেষে ‘দ্রিমি দ্রিমি’ সুরে বেজে ওঠে ধামসা, মাদল।