পায়ে পায়ে পঞ্চাশঃ বানারহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়

পায়ে পায়ে পঞ্চাশঃ বানারহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়

পায়ে পায়ে পঞ্চাশঃ বানারহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়; - ডাঃ পার্থপ্রতিম;২১শে ফেব্রুয়ারী ২০১১; পৃষ্ঠা-দশ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
যত দূর দু’চোখ যায় শুধু সবুজ শ্যামল। দিগন্ত বিস্তৃত চা-বাগিচার সবুজ গালিচা। উত্তরে মাথা তুলে থাকা মৌন গিরিরাজ। প্রকৃতির ক্যানভাসে লেপ্টে থাকা উপত্যকা, পাহাড়ী ঝোরা, নাম জানা না জানা গাছ-গাছালি। চাঁদ ভাঙা জ্যোৎস্না রাতে মুর্মূ লাইন থেকে ভেসে আসা মাদলের  দ্রিমি দ্রিম। আরো কত কিছু যে মিশে আছে ডুয়ার্সের বানারহাট নামের এই বন্দর গঞ্জে।
বানারহাটের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বানারহাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবার মেতে উঠেছিল সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উৎসবে। গত ৩১শে জানুয়ারী থেকে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী পাঁচদিন ব্যাপী ছিল হরেক রকমের অনুষ্ঠান।

    বানারহাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের জন্ম হয়েছে বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকেই। ১৯৪৯ সালে শুরু হয় বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পথচলা। ১৯৫৭ সালের শেষ দিকে সেসময়কার শিক্ষা সচিব ডি.এম. সেন বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন। সুন্দরভাবে সাজানো স্কুলের পরিবেশ শ্রী সেনকে মুগ্ধ করে। পরিদর্শন শেষে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা একসাথে মিলে ডি.এম.সেন-এর কাছে আবদার করে তাদের পৃথক বিদ্যালয় চাই। শ্রী সেন কলকাতায় ফিরেই এবিষয়ে তৎপর হন। ১৯৫৮ সালেই বানারহাট গার্লস সিনিয়ার বেসিক স্কুল প্রয়োজনীয় অনুমোদন পায়। তারপর ১৯৬১ সালে পৃথক অ্যাডমিশন্ রেজিষ্টার তৈরী করা হয়। প্রথম দিকে এই স্কুলের কোন পৃথক সত্ত্বা ছিল না। বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকই এই বিদ্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব চালাতেন। তারপর শিক্ষিকা প্রতিভা দত্তকে সিনিয়ার বেসিক সেকশনে পাঠানো হয়। কার্সিয়াং এ যান বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে। পরবর্তীকালে তিনি বহু বছর এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব সামলান। সরল ও স্নেহময়ী প্রতিভাদেবী এই এলাকায় ছেলে-বুড়ো সবার কাছেই ‘বড়দি’ নামেই পরিচিত ছিলেন। সে কারণেই সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের মূলমঞ্চটির নামকরণ হয়েছে ‘প্রতিভা মঞ্চ’।

১৯৬৭ সালে বালিকা বিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিচালন কমিটি গঠিত হয়। প্রথম নির্বাচিত সম্পাদক হন চিকিৎসক সুধাংশু কুন্ডু। সিনিয়ার বেসিক ও জুনিয়ার হাই স্কুল হিসাবে দীর্ঘ পঁচিশ বছরের বেশী সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ১৯৮৪ সালের ১লা জানুয়ারী উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে মর্যাদা পায়।  ১৯৮৬ সালে প্রবল উৎসাহে পালন করা হয় বিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী উৎসব। সেসময় স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন ডুয়ার্সের বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রয়াত ডাঃ এ.কে.বোস।    
     চুয়াত্তর বছরের প্রবীণ শিক্ষক শৈবাল কুমার ভট্টাচার্য দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ডাব্লু. বি. সি. এস হয়েও প্রশাসক হননি; রয়ে গেছেন স্বল্পবেতনের শিক্ষক হয়ে । তবে বয়স তাকে ক্ষমা করেনি। হৃদযন্ত্রের লাব-ডুপ মাঝে মধ্যেই বেতাল হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্যের কারণে অব্যাহতি চেয়েছেন বহুবার।  বক্ষপিঞ্জরে রয়েছে বৈদ্যুতিন পেসমেকার। তবুও সকলে তাকে রেহাই দিতে নারাজ। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বীনা সরকারের সোজা সাপটা কথা-"ছাড়ুন তো আপনাদের ডাক্তারী তত্ত্বকথা। ইলেকট্রিক্যাল হার্টব্লক- হৃদরোগ; শৈবাল স্যারের মতো সৎ- হৃদয়বান মানুষ এ তল্লাটে আর একটা খুঁজে পাওয়া ভার। " তাই এবারেও দায়িত্বের জোয়াল চেপেছে তাঁর বলিষ্ঠ কাঁধে।  সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন সমিতির তিনিই সভাপতি।

৩১শে জানুয়ারী সকালে প্রভাতফেরীর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর বেলা ১১টায় পতাকা উত্তোলন ও শ্বেতকপোত উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত। অনুষ্ঠানের অন্যতম অতিথি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধান ডঃ আনন্দ গোপাল ঘোষ বর্তমান সমাজে শিক্ষা সংকটের কথা প্রাঞ্জল ভাষায় তুলে ধরেন। উত্তরের সাহিত্য জগতের অন্যতম নক্ষত্র অধ্যাপক অর্ণব সেন ডুয়ার্সের শিক্ষা - সংস্কৃতির পটভূমি সহজ সরলভাবে ব্যাখ্যা করেন। ছিলেন ডি.এফ.ও(বন্যপ্রাণী) সুমিতা ঘটক, ডিএফ.ও কল্যাণ দাস সহ আরো অনেকে। সেই বৈশাখে-ফাগুনে  যাঁরা এখানে ছিলেন; সেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা দিপালী রায় চৌধুরী, শিখা সরকার, সতী চৌধুরী, আরতী রায় চৌধুরী, দীপশিখা ভট্টাচার্য দলবেঁধে এসেছিলেন এই আনন্দযজ্ঞে। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকে ঘিরে স্কুলের প্রবেশদ্বারের পাশে তৈরী করা হয়েছে শিক্ষামূলক উদ্যান। প্রাচীন গুরুকুলের সুষমা বিমুর্ত হয়ে উঠেছে এই কাননে। শিক্ষিকা মৌসুমী সরকারের উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই বাগিচাকে শৈল্পিক ছোঁয়ায় ভরিয়ে দিতে তাঁর বাস্তুকার স্বামী চন্দন বসু কোমর বেঁধে নেমে পড়েন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে ছিল রক্তদান শিবির ও চক্ষুপরীক্ষা শিবির। বানারহাট লায়ন্স ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় ও শিলিগুড়ি গ্রেটার আই হাসপাতালের সহযোগিতায় এই আয়োজন। এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা দীপশিখা ভট্টাচার্য ও বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকল্যান ভট্টাচার্য রক্তদান করে শিবিরের সূচনা করেন। ছাত্রী ও অন্যসব রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ইন্টারন্যাশানালের ভূতপূর্ব  ডিস্ট্রিক গভর্নর শৈবাল দাসগুপ্ত ( রানাবাবু)। উদযাপন সমিতির সম্পাদিকা শিক্ষিকা মহাশ্বেতা বক্সী জানালেন-“ নবীন প্রজন্মের মধ্যে সেবার মানসিকতা তুলে ধরার জন্যই এই শিবিরের আয়োজন।”  
অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিনে ২রা ফেব্রুয়ারী  সকাল-দুপুর কেটেছে মহিলা পুরুষদের ভলিবল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে। রাতে শিক্ষিকাদের নাটক। গভীর রাতে আসর মাতালেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী সৌরজ্যোতি ঘোষ। ‘চরণে বাজে মঞ্জির রিনিঝিনি..’ সুরের লহমা ঢেউ তুলে গেল শ্রোতাদের মনের গহনে।
৩রা ফেব্রুয়ারী ছিল বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রীদের পূনর্মিলন উৎসব। সে এক আবেগ মেদুর মুহূর্ত। ডাঃ শ্রীপর্ণা দত্ত (ব্রক্ষ্ম) ১৯৭৯ সালের মাধ্যমিক ব্যাচ। এখন সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক। গলায় স্টেথোস্কোপ, হাতে কবিতার খাতা, নাট্য অভিনেত্রী হিসাবে বহু পদক ঝুলিতে পুরেছেন। বিজ্ঞান- সাহিত্যের অপূর্ব মিশেল।  কোচবিহার থেকে গাড়ি চালিয়ে সাতসকালে স্কুলে হাজির। মঞ্চে জয় গোস্বামীর কবিতা শুনিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করলেন শ্রোতাদের। স্কুল লাইফের নস্টালজিয়ায় কলকাতার লেকটাউন কানাড়া ব্যাঙ্কের কর্মী মেরুনা দাস দিন দু’য়েক আগেই এসেছেন। কৃষ্ণনগর থেকে ছেলে ও তার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে এসেছেন রীনা রাহারায়। মায়ের স্কুলের মঞ্চে উঠে সুরেলা গান শুনিয়ে দিল কিশোর অর্পন রায়। এভাবেই সেই বজ্র-মানিক দিয়ে গাঁথা দিনগুলির টানে জড়ো হয়েছে কাকলি বিশ্বাস, মিতালী দে সরকার, দেবিকা বড়ুয়া, অঞ্জনা প্রসাদ আরো কত কে। সাঁঝবেলায় যখন প্রাক্তন ছাত্রী দেবযানী বসু গান ধরলেন- ‘পুরোনো সেই দিনের কথা..’ তখন মঞ্চে একে একে উঠে এলো বাসন্তী ভৌমিক , স্বপ্না রাহা, , বিপাশা দে আর সবাই। মিলিত ঐক্যতানে মনপবন মাতোয়ারা। বানারহাটের সমাজসেবী শিব শঙ্কর ব্যানার্জী ও অসীম সেন পাঁচদিন ধরে অনুষ্ঠানের হেঁসেল সামলেছেন। বাজারঘাট-রান্নাবান্না সব কিছু দেখভালে তারা ব্যস্ত; ছাত্রীদের এই মিলনমেলায় আপ্লুত তাঁরাও।

পঞ্চাশবছরের এই দীর্ঘ যাত্রায় কৃতিছাত্রীর সংখ্যাও কম নয়। একদা ছাত্রী পারমিতা ভট্টাচার্য এখন মালদায় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা, ব্যাঙ্গালুরে থাকা অলকানন্দা বসু প্রতিষ্ঠিত কমপিউটার প্রযুক্তিবিদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে শম্পা ভট্টাচার্য উল্লেখযোগ্য ফল করেছে। ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী আমেরিকার ওয়াসিংটন ডিসি-র আন্তর্জাতিক শিশু-কিশোর সম্মেলনে অংশ নেয়। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শুক্লা রায় চৌধুরী এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী। এভাবেই ছাত্রী থেকে শিক্ষিকা হয়েছেন নীহারিকা ঘোষ। প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি গারতি ওরাঁও ম্যারাথন দৌড়ে ও প্রতিভা সাহ এন.সি.সি প্রশিক্ষণে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছে।
বাংলামাধ্যমের স্কুল হলেও বহু ছাত্রী এখানে পড়তে আসে যাদের মাতৃভাষা বাংলা নয়। অভিভাবক চরণ ওঁরাও ও নরেন্দ্র সুব্বা জানালেন- ‘হিন্দি মাধ্যমের স্কুল কাছে পিঠে থাকলেও এখানে শিশু-কিশোরীদের সার্বিক বিকাশ হয়; তাই মেয়েকে এখানে পাঠিয়েছি।’ ছাত্রীদের পদবীর রকমফের যে কোন নৃতত্ত্ববিদের কাছে ঈর্ষার বিষয়। ওঁরাও, মুন্ডা , সাঁওতাল, মেচ, রাভা , কোচ, মারোয়ারী, বিহারী, নেপালী, ওড়িয়া, অসমিয়া, গুজরাঠি, বোড়ো, আফগান -কে পড়েনি এখানে। ডুয়ার্সের অন্যান্য বিশিষ্টের মতো স্কুলের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারও যেন নানা ফুল দিয়ে গাঁথা মালা।

হ্যাঁ, তবুও সমস্যা রয়েছে বিভিন্ন রকমের।  বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের জন্য কোন সরকারী অনুদান পাওয়া যায় নি। স্কুল পরিচালন সমিতি নিজের উদ্যোগে একটি লাইব্রেরী গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে বইয়ের সংখ্যা দেড়হাজার। এদিক-ওদিক থেকে জোগাড় করে প্রতিবছরই নতুন কিছু বই কেনা হয়। লাইব্রেরীর জন্য আরো আর্থিক সাহায্য দরকার। শিক্ষিকা জয়িতা গাঙ্গুলী কোন পারিশ্রমিক ছাড়াই গ্রন্থাগার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ছাত্রীদের কমপিউটার প্রশিক্ষণের তেমন কোন পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়নি। শৈবালবাবু জানালেন বহুবার আবেদন করা সত্ত্বেও বিদ্যালয়কে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত করার সরকারী অনুমোদন পাওয়া যায় নি। বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো আছে, আছে উপযুক্ত যোগ্যতার শিক্ষিকা, ছাত্রী সংখ্যাও খুব একটা কম নয়, তা সত্ত্বেও বিদ্যালয়কে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা হচ্ছে না- এটা খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়। ছাত্রীদের জন্য পৃথক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জোরালো চাহিদা রয়েছে স্থানীয় অভিভাবকদের।

    অনুষ্ঠানের শেষ দিন ৪ঠা ফেব্রুয়ারী পালন করা হয় রবীন্দ্রজন্মের সার্ধশতবর্ষ। কবি জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ নীলাংশু শেখর দাস। রবীন্দ্রসংঙ্গীত পরিবেশন করেন শ্রাবনী সেন।  তারপর কোলকাতার অন্যদেশ নাট্যসংস্থা উপস্থাপনা করে ‘রক্তকরবী’। এই নাটকের বেশীরভাগ কুশীলবই দৃষ্টিশক্তিহীন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে শিল্পীরা যে ভাবে দর্শকদের সামনে এই জটিল প্রতীকি নাটকটিকে প্রাণবন্ত করে তোলেন তা এক কথায় অনবদ্য। স্কুলের কর্মী অম্বরীশ সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই এলাকার দর্শক এক বিরল অভিজ্ঞতা লাভ করলো। দীর্ঘ পাঁচ দিনের এই অনুষ্ঠানে মঞ্চ পরিচালনা ও সঞ্চালনার দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করলেন ডুয়ার্সে অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিক্ষক প্রলয় দে সরকার।
    অদূর অতীতের শান্ত ডুয়ার্স এখন ক্রমেই যেন বদলে যাচ্ছে। ভাষা- জাতি- ধর্মের ভিত্তিতে গড়ে উঠছে দল-উপদল। তাদের দাবী-দাওয়া ঘন ঘন বন্ধ অবরোধে ক্রমেই ভারী হয়ে উঠছে ডুয়ার্সের স্নিগ্ধ সমীরণ। পুলিশীগুলি, প্রাণহানি, চলছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, ডামাডোল। সমাজের অন্যান্য অংশের মতো অস্থিরতার ঢেউ আছড়ে পরছে শিক্ষা অঙ্গনে। এই অন্ধকার কালরাত্রির শেষে নেই কী কোন আলোর ঠিকানা? অনাগত ভবিষ্যত কি আলোড়িত হবে দানবের দুন্ধুভি নিনাদে ? ? তা হয়তো নয়; অনুষ্ঠান শেষে শুক্লাদিদিমণিকে দেখা গেল সহকর্মীদের নিয়ে রাধাচূড়া তরুতলে  সমবেত গলায় গান ধরেছেন-“ ঐ তো তোমার আলোক-ধেনু / সূর্যতারা দলে দলে . . . ।”


 

Join our mailing list Never miss an update