দেশ; ৪ মে ২০০২; হৃদয়ের কথা; ডাঃ পার্থপ্রতিমের এই চেষ্টা খুবই প্রশংসনীয়
পৃথিবীর সেরা যন্ত্রটি নিঃসন্দেহে মানুষের হৃদয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, কখনও কখনও একশো বছরেরও বেশি নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়ার নজির আছে কোন মনুষ্যসৃষ্ট যন্ত্রের? সত্তর বছরের জীবনে একজন মানুষের হৃৎপিন্ড কেবল সংকুচিত প্রসারিত হয় প্রায় দুশো পঁয়ষট্টি কোটি বার। ওই সময়ের মধ্যে এই যন্ত্রটি, যা আসলে একধরনের পাম্প, রক্ত সরায় প্রায় ২২ কোটি ৭ লক্ষ লিটার। মানুষ তার এই অঙ্গটিকে যেমন ভয় পায়, তেমনই ভালোবাসে; হৃদয়ের কথা শুনিতে সে ব্যাকুল। শ্রী পার্থপ্রতিম আমাদের সেই আকাঙ্খা মেটাতে চেষ্টা করেছেন। হৃৎপিন্ড সম্পর্কে জরুরি জ্ঞাতব্য প্রায় সমস্তই তিনি ব্যক্ত করেছেন প্রাঞ্জল ভাষায়। এর গঠন, কার্যপ্রণালী, হৃদয়ঘটিত রোগ, তার নিরাময়, অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ইত্যাদি বিভিন্ন মতে চিকিৎসার বর্তমান সুযোগ-সুবিধা, হৃদয়কে নীরোগ রাখার উপায়, এমনকী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানগুলির হালহদিশও পাওয়া যাবে এই বইতে। শ্রী পার্থপ্রতিমের এই চেষ্টা খুবই প্রশংসনীয়। কিছু কিছু অসাবধানী উক্তি, যেমন, লেসারের পরিচিতি দিতে গিয়ে ‘‘আলট্রাভায়োলেট ও ইনফ্রারেড রশ্নির মাঝামাঝি তরঙ্গদৈর্ঘ্যে রয়েছে লেসাররশ্নি” বা “হৃদয় কথাটির মধ্যে প্রায় বিপরীতার্থক দুটি ধাতু আছে, ‘হৃ’ (হরণ করা বা নিয়ে যাওয়া ও ‘দয়’ দয়া বা অনুকম্পা করা)” এড়ানো যেত।
Gist:- This effort is a very appealing - Desh. Desh- the pioneer of Bengali literature, appreciated Dr. Partha pratim's ‘Hridoyer katha’; a book on heart diseases and heart care.