পশু-পাখির চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি; ডাঃ পার্থপ্রতিম।১৭ বর্ষ ৩৩৩ সংখ্যা শনিবার ১৩ বৈশাখ ১৪০৪ উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকগুলিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি ঘটেছে অসম্ভব দ্রুতগতিতে। সেই সঙ্গে পশু-পাখির চিকিৎসার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় চিকিৎসা সংকট বলে কিছু নেই- এমন কথা খুব জোর দিয়ে বলা যায় না। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে গৃহপালিত পশু-পাখির চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তার অন্যতম কারণ, এক্ষেত্রে ওষুধের পরিমাণ ঠিক করা হয় পশুর ওজন অনুসারে। স্বাভাবিকভাবে যা মানুষের দু’তিন গুণ। রুগ্ন মানুষের সেবায় হোমিওপ্যাথির অবদান আজ বহুজন স্বীকৃত। সেভাবে অসুস্থ পশু-পাখির চিকিৎসায় এই পদ্ধতি যথাযথভাবে প্রয়োগ করলে সুন্দর ফল পাওয়া যায়।
পশু-পাখির আচরণ, পায়খানা, প্রস্রাব, শ্বাস-প্রশ্বাস, খাবার চেবানোর ভঙ্গি প্রভৃতি বিষয় সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রয়োগ করলে আশানুরূপ ফল পাওয়া সম্ভব। মানুষের মতোই নাক্স, অ্যাকোনাইট, ব্রায়োনিয়া, রাসটক্স প্রভৃতি সধারণ ওষুধ গৃহপালিত পশুর চিকিৎসায় চমৎকার ফল দেয়। ডাঃ হ্যানিম্যান দীর্ঘদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যে তিনটি পুরাতন রোগবীজ আবিষ্কার করেছেন তা হল- সোরা(Psora)), সিফিলিস (Syphilis) ও সাইকোসিস (Sycosis)। গরু, ছাগল, কুকুর, মুরগী প্রভৃতির চিকিৎসার সময় এইসব রোগবীজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। ডাঃ হ্যানিম্যানের নির্দেশ মতো চিকিৎসা করলে দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলিকে স্বল্প সময়ে ধ্বংস করা সম্ভব।
পশু-পাখির চিকিৎসার ক্ষেত্রে দুটি উল্লেখযোগ্য গবেষণাধর্মী বই হল- 'The Homoeopathic Treatment of Small animals' by christoph Day. ও 'The Treatment of cattle by Homoeopathy' by G.macleod.
রুগ্ন পশু-পাখির চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিকে আরো ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করলে ভারতবর্ষের মতো দরিদ্র দেশের মানুষেরা আরো উপকৃত হবে।