গুণীজন সংবর্ধনা ও সাহিত্যমেলা-২০০৫; উত্তরবঙ্গ নাট্য জগৎ পত্রিকায় প্রকাশিত
বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী -ডাঃ পার্থপ্রতিম; জন্ম: ডুয়ার্সের বানারহাটে। এখন চল্লিশে পা দিয়েছেন। পেশায় চিকিৎসক। নেশায় অনেক কিছু- ফুলের বাগান করা, ছবি তোলা, ছবি আঁকা, দূরবীণ দিয়ে আকাশ দেখা। স্কুল জীবন থেকেই বিজ্ঞান চর্চার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ। বহুবার অংশ নিয়েছেন রাজ্য ও জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে। যৌবনেই প্রশংসিত হয়েছেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির কাছে।
ডুয়ার্সের সাধারণ মানুষের মন থেকে কুসংস্কার দূর করা ও পরিবেশ সচেতনতার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে গড়ে তুলেছেন বিজ্ঞান ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ডুয়ার্স এক্সপ্লোরেশন এন্ড অ্যাডভান্সমেন্ট রিভেলী (ডিয়ার)’। বর্তমানে ডিয়ার-এর জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। কর্মজীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে তিনি ছুটে যান গ্রাম-গঞ্জে, স্কুল-ক্লাবে, স্বাস্থ্য-পরিবেশ-মহাকাশ বিষয়ক অডিও ভিসুয়্যাল শো করতে। নামের সাথে সংস্কারমূলক পারিবারিক পদবি ব্যবহার করেন না। জাতপাত, বর্ণবিভেদের বিরুদ্ধে এটাই তাঁর প্রথম জেহাদ।
বিজ্ঞান সাংবাদিকতার জগতে ডাঃ পার্থপ্রতিম একটি পরিচিত নাম। আনন্দ বাজার পত্রিকা, বর্তমান, গণশক্তি, সানন্দা, আজকাল, জ্ঞান ও বিজ্ঞান, কিশোর জ্ঞান-বিজ্ঞান, জ্ঞান বিচিত্রা (ত্রিপুরা), উত্তরবঙ্গ সংবাদ, বসুমতী আরও বহু পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রবন্ধ-নিবন্ধ। বহুবার অংশ নিয়েছেন আকাশবাণী কলকাতার বিজ্ঞান অনুষ্ঠানে। সম্পাদনা করেছেন ‘পাসপোর্ট’ পত্রিকার। তাঁর লেখা হৃদরোগ সংক্রান্ত বই ‘হৃদয়ের কথা’ প্রশংসিত হয়েছে দেশ, আনন্দ বাজার পত্রিকা, সপ্তাহিক বর্তমান, আজকাল ও আরও বহু পত্র-পত্রিকায়।
কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ইতিমধ্যেই পেয়েছেন দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের বিজ্ঞান পুরস্কার, এন.সি.ই.আর.টি-র মেধা পুরস্কার, জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পুরস্কারে ২০০২, কিরাত ভূমি স্মারক সম্মান ২০০৪। পঃবঙ্গ সরকারের যুব কল্যাণ দপ্তরের সৃজনী পুরস্কার। এছাড়াও দেশের বহু অনুষ্ঠানে তিনি সম্মানিত হয়েছেন।