ন্যাট পরীক্ষা

ন্যাট পরীক্ষা

ন্যাট পরীক্ষা; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৮ এপ্রিল ২০০৭; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
রক্তগ্রহীতাকে এইডস, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাবে নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্টিং (ন্যাট)। ব্লাড ব্যাংকে সংরক্ষিত আপাতত নিরাপদ রক্তে ওপরের রোগগুলির কোনোটির ভাইরাস ঢুকে গেছে কিনা, তা জলদি শনাক্ত করে দেবে ন্যাট। স্ট্যান্ডার্ড এলাইজা টেস্টের মাধ্যমে এইচ আই ভি (এইডস) সংক্রমণ ধরতে যেখানে ২১ দিন লাগে, ন্যাট ধরে দেবে ১০-১৫ দিনের মধ্যেই। হেপাটাইটিস বি ধরতে ৩৫ দিন লাগবে না , ২০ দিনেই ধরা পড়বে। হেপাটাইটিস সি ধরতে ৮০ দিন নয়, ৬০ দিনই যথেষ্ট। ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ব্লাড ট্রান্সফিউশনের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. আর এন মাকরু জানাচ্ছেন, পাঁচ বছর আগেই এই নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্টিংকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। ভারতে সবে ন্যাট সিস্টেম বসেছে, তাও শুধুমাত্র দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হসপিটালে! রক্তের ন্যাট পরীক্ষার জন্য খরচ হাজার টাকা। প্রিয়জনের জীবনের চেয়ে নিশ্চয় খুব বেশি নয়।

বাঃ খরমুজ
শরীরকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট তথা অক্সিজেনের মৌলিক অণুগুলির অসুখপ্রদায়ী থাবা থেকে বাঁচাতে খরমুজ খান। খরমুজে আছে চর্বিতে দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন এবং শরীরের জলীয় অংশে দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি রক্তের শ্বেতকণিকাকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য উদ্দীপিত করে। যার জেরে বহু ব্যাকটিরিয়া এবং ভাইরাসকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। ফলে ভিটামিন ই পুনরুজ্জীবিত হয়। দিনে অন্তত ১০০ গ্রাম খরমুজ খান। পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মিলবে। শশার মতো খরমুজেও পটাসিয়াম মেলে। মেলে ভিটামিন বি সিক্স। খরমুজ প্রকৃতিদত্ত ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের ভান্ডার। কোষে কোষে সুগার সহ কার্বোহাইড্রেট প্রক্রিয়াকরণের জন্য, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দরকার হয়। খরমুজে প্রচুর খাদ্যআঁশও মেলে। ১৬০ গ্রাম খরমুজে ৫৬ ক্যালোরি শক্তি মেলে। দইয়ের সঙ্গে খরমুজ মিশিয়ে পুদিনাপাতা ছড়িয়ে খান। দারুণ খেতে। ফ্রুট স্যালাডেও সম্ভ্রান্ত আইটেম এটি।

শশায় সিলিকা
কথায় বলে, শশা খান, শশার মতো ঠান্ডা থাকুন। শশায় থাকে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড তথা ভিটামিন সি এবং ক্যাফিক অ্যাসিড। ত্বককে পেলব রাখতে, ত্বকের ফোলাভাব কমাতে এই দুইয়ের দারুণ ভূমিকা। শশায় থাকে সিলিকা নামের খনিজ পদার্থ, যা পেশি, সন্ধিবন্ধনী, তরুণাস্থি, হাড়ের কোষকলাকে তন্দুরস্ত রাখে। মোটা, শক্ত যে তন্তুরজ্জু পেশিকে হাড়ের সঙ্গে যুক্ত করে রাখে, সেই টেনডেন এর সুস্থতা বজায় রাখতেও সিলিকা চাই। শরীরে জল জমে ফুলোভাব কমাতে শশা চাক চাক করে কেটে লাগাতে বলা হয়। রোদে বেরনোর আগে এবং রোদ থেকে ফিরে শশার রস মুখে, হাতে, পায়ে গলায় পিঠে মেখে বেরলে সূর্যরোদের ছোবল থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ত্বককে তকতকে করে শশা। ত্বকের জ্বলুনি, প্রদাহ দূর করে। শশায় থাকে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শশায় থাকে পর্যাপ্ত খাদ্যআঁশ।

Join our mailing list Never miss an update