প্রদর্শনীতে নানানরকম; জয়ন্ত সেন; ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত
বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে অন্য অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক মঞ্চের সামনে সুদৃশ্য কক্ষে বিজ্ঞান ও ভূগোল বিষয়ক নানান মডেল প্রদর্শন করা হয়। গ্রাফোস্কোপ, বায়ুর নিম্নচাপ, আগ্নেয়গিরি থেকে আগ্নেয় পর্বত, ভঙ্গিল পর্বতের প্রকারভেদ, এস্কিমোদের জীবনযাত্রা, বায়ুর পরিচালন পদ্ধতি, বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপ প্রভৃতি ভৌগোলিক বিষয়বস্তু মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞান বিষয়ক মডেলগুলির মধ্যে ছিল গ্রাফোস্কোপ, গলেটিনের ফলে জীবজগতের অসুবিধা, উৎক্ষিপ্ত বস্তু সোজা নিচে পড়ে না, সতর্ক বাতি, গোবর গ্যাস প্ল্যান্ট, টব প্ল্যান্ট টেস্টার, কম্বিনেশন লক, পিউরিফিকেশন অফ ওয়াটার, ডেভির নিরাপত্তা বাতি, টেথিস্কোপ, সোলার ওয়াটার ফিল্টার, মানুষের পৌষ্টিকতন্ত্র, টেনিয়ামোলিয়াসের জীবন-চক্র প্রভৃতি। বানারহাট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ছাড়াও মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বলকা পরিমল উচ্চ বিদ্যালয়, এ ভি এম উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রী এবং স্থানীয় তরুণ সঙ্ঘের সদস্যেরা এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন।
জুনিয়ার্স স্পোটিং এবং ডুয়ার্স এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড এডভান্সমেন্ট রিভেলী অর্থাৎ ডিয়ারের যৌথ উদ্যোগে একক চিত্রকলা প্রদর্শনী ও বিজ্ঞান বিষয়ক প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। একক চিত্রকলা প্রদর্শনীতে বানারহাটের সুব্রত করের ডট পেন দিয়ে আঁকা মাদার টেরিসা, সত্যজিৎ ও রবীন্দ্র চিত্র দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করে। ওই প্রদর্শনীতে কলকাতার চিত্রশিল্পী সুশান্ত চক্রবর্তী, চন্দন দাস এবং প্রকাশ কর্মকারের ছবির পাশাপাশি কোচবিহারের সুপ্রিয় দাস, পবিত্র দাস, প্রদীপ দাস, সুচিস্মিতা দেবশর্মা, উদয় ভৌমিক, প্রদীপ সরকার, দিনহাটার নন্দদুলাল কর্মকার, বকুল সরকার শিলিগুড়ির আবীর কর্মকার, শান্তনু চক্রবর্তী, ধূপগুড়ির উদয় ভৌমিক, শম্পাদিত্য সরকারের ছবি প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনী প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রতিদিনই সংক্ষিপ্ত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মেলা প্রাঙ্গণের উপস্থিত দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। সুন্দরের প্রতি আকর্ষণই নয়, মানুষের শুভবুদ্ধি ও শুভ চেতনাকে জাগিয়ে তুলতেও প্রদর্শনী এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।