রোগ নির্ণয়ে যন্তর মন্তর

রোগ নির্ণয়ে যন্তর মন্তর

কবিগুরুর খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থের সেই ডাক্তারের ছড়াটা মনে আছে ? না,  পাড়াতে আজ আর নাড়ী টেপা ডাক্তারের অতি উচু নাক দেখা যায় না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভিনব অবিষ্কারের ফলে ভোল পাল্টে যাচ্ছে পরিচিত দুনিয়ার। চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে আসছে নিত্য নতুন অত্যাধুনিক উপকরণ। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বহু আধুনিক যন্তর- মন্তর আজ আমাদের দোরগোড়ায়।  ডাক্তারবাবুরা এখন হামেসাই এইসব  পরীক্ষার জন্য রোগী ও তার পরিবারকে পরামর্শ দেন। এই সব পরীক্ষা- নিরীক্ষার নাড়ী- নক্ষত্র আমাদের আমজনতাকে জানাতে কলম ধরেছেন  -ডাঃ পার্থপ্রতিম।

ই.সি.জি.  -ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম
    লাব্-ডুব্-লাব্-ডুব-লাব্- ডুব....। আপনার বুকের গভীর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে  উঠে আসছে জীবনের সা-রে-গা। সোনালী প্রভাত থেকে উষ্ণ দুপুর পেরিয়ে গোধূলি। আর গোধূলি থেকে রাতের আঁধার বৃন্ত ছেঁড়া ফুটন্ত সকাল। না, এর কোন বিরাম নেই। মাতৃজঠর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কাজ করে যাওয়া হৃদযন্ত্রের মূল চাবিকাঠিটি লুকিয়ে আছে তার বৈশিষ্ট্যময় হৃৎপেশীর মাঝে।
    হৃদযন্ত্রের ভেতরে আছে কতগুলি বিশেষ কোষ; যার নাম পেসমেকার (Pacemaker cell) । এদের কোষ না বলে বৈদ্যুতিক ব্যাটারী বা জেনারেটর বলা ভাল। পেসমেকার থেকে তৈরী হয় বৈদ্যুতিক তরঙ্গ। হৃৎপিন্ডের ডান অলিন্দের প্রাচীরে থাকা সাইনো অরিকুলার পর্ব (Sino Auricular Node)  থেকে ঋনাত্মক তড়িৎ তরঙ্গ (Negative Electrial Wave) অলিন্দের প্রাচীরে প্রবাহিত হয়। এই তড়িৎ তরঙ্গ নিয়মিত ভাবে এক নির্দিষ্ট মাত্রায় হার্টের অলিন্দ ও নিলয় দুটিকে সংকুচিত ও প্রসারিত করে। আসলে আমাদের ‘দিল কি ধড়কন’ -এর মূল উৎস হল সুনির্দিষ্ট তালে বয়ে যাওয়া এই তড়িৎ প্রবাহ।
       

Join our mailing list Never miss an update