ম্যালেরিয়া দমনে

ম্যালেরিয়া দমনে

ম্যালেরিয়া দমনে; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৬ আগস্ট ২০০৬; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
সব ধরনের ম্যালেরিয়া দমনে ক্লোরোকুইন-ই এখনো সবচেয়ে ভালো দাওয়াই। হ্যাঁ, ভারতে। যেটা বলা হচ্ছিল, প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্সের মতো ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে ক্লোরোকুইন কোনো কাজই করছে না। হালফিলের গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম, প্লাসমোডিয়াম ম্যালেরি,  প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স, প্লাসমোডিয়াম ওভেল, এই চার ধরনের ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেই ক্লোরোকুইন দারুণ দাওয়াই। দেশের ৬০২ টি জেলার মধ্যে ৫২ টি জেলায় প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরামের ক্ষেত্রে ক্লোরোকুইন কাজ করছে না। ওদিকে, ট্রানজেকশনস অফ দি রয়্যাল সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন-এর সেপ্টেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স ম্যালেরিয়া দমনে ক্লোরোকুইন কার্যকারিতা হারিয়েছে, এ খবরের সত্যতা হয়তো অনেকটাই, তবে ভারতের ক্ষেত্রে ক্লোরোকুইন এখানো ১০০ শতাংশ কার্যকরী। ডা. নীনা ভালেচা-র নেতৃত্বে ইন্সটিটিউট অফ ম্যালেরিয়া রিসার্চের একদল গবেষক ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের ২৮৭ জন ম্যালেরিয়া রোগীর ওপর ক্লোরোকুইন প্রয়োগ করে দারুন ফল পেয়েছেন। সবার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশই কার্যকারী সাব্যস্ত হয়েছে ক্লোরোকুইন।  

আপনিও আসুন
কোষ্ঠীবিচার করে বিয়ে দিন। আপত্তি নেই। পাশাপাশি ছেলে, মেয়ে উভয়পক্ষের শরীরে থ্যালাসেমিয়া, এইডস রোগের হানাদারি ঘটেছে কিনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে ভুলবেন না। শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিবির বসছে কোচবিহারের এম. জে. এন. ক্লাবে। ২৭ আগস্ট রবিবার এই শিবির শুরু হবে সকাল দশটায়। অন্য যে কোনো জায়গার তুলনায় এক চতুর্থাংশ খরচে, মাত্র দেড়শো টাকায় এখানে থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ের সুযোগ মিলবে। কলকাতার সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে ব্যবস্থাপনায় এই শিবির হচ্ছে।

সেই ৮৮ বাবা
সকালে, বিকেলে উটের দুধ খান। আর সেই উটের দুধের কারণেই নাকি অষ্টাশি বছরে পৌঁছে বাবা হতে পারা! আর বাবা হয়েই দাবি, সরকারের উচিত ছেলে মানুষ করার জন্য আমাকে পেনসন বা বেতন দেওয়া। বারমের জেলার লিলসার পঞ্চায়েতের বুধিয়া কা তালা গ্রামের ভীরমা রাম এই বয়সে বাবা হওয়ায় খুশিতে ডগমগ গোটা গ্রাম। লিলসারের গ্রাম-প্রধান জোগা রাম জাঠ জানাচ্ছেন, ‘আশেপাশের সাত গ্রামের মরু-বাসিন্দারা মিলে ১৫ হাজার টাকা তুলেছিল। ভীরমা ৮৮ বছর বয়সে বাবা হয়েছেন এই আনন্দে ৯০০ মানুষ ভোজ  খেয়েছে।’
উল্লেখ্য, ভীরমা পুত্রসন্তান পেয়েছেন তৃতীয় স্ত্রীর গর্ভে। ছেলের নাম রেখেছেন ভোম্যো। তৃতীয় স্ত্রী তথা ভোম্যোর মায়ের নাম গাম্মো দেবী। বয়স ৪৩। একসঙ্গে দু-সন্তান জন্ম নিয়েছিল। একটি ছেলে মৃত ভূমিষ্ঠ হয়। থর মরুভূমির মাঝামাঝি এলাকার বাসিন্দা ভীরমা জানাচ্ছেন, ‘আমি সাধারণ একজন কৃষক। চাহিদা খুব সামান্যই। কোনো কোনো দিন দু থেকে তিন লিটার উটের দুধ খাই। বরাবরই নিরামিষাশি। খাই চাপাটি, বাজরা, দই এবং উটের দুধ থেকে আরো যে সব খাবার দাবার হয়, সেসব। প্রতিদিন ১০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার এখনো হাঁটি। যতদিন বেঁচে থাকব জীবনকে পুরোপুরি উপভোগ করতে চাই। একশো বছর বাঁচার ইচ্ছে এবং আরো ইচ্ছে, শেষ দিন পর্যন্ত  যৌনতায় স্নাত হওয়া।

 

Join our mailing list Never miss an update