লকডাউনের সময়সূচি ঠিক করা হোক স্থানিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে

লকডাউনের সময়সূচি ঠিক করা হোক স্থানিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে

লকডাউনের সময়সূচি ঠিক করা হোক স্থানিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৩১ মে ২০২১; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
কোভিড -১৯’ এর দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এ রোগের  সংক্রমণ মহামারির আকার নিয়েছে। রোগ মোকাবিলায় এ রাজ্যে এখন কার্যত লকডাউন চলছে। এখন বাজার বসার সময়সীমা সকাল ৭টা-১০টা। আর এতেই দেখা দিয়েছে বিভিন্ন অসুবিধা। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় কিছু স্থানিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসার কিছু আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য। বিশেষত, অনেক এলাকায় সকাল ৭টার মধ্যে দোকানপাট বসে না। বন্দর ও মফসসলে বাজার শুরু হয় সাধারণত সকাল ৯টার পর। যেসব সবজি- মাছ- মাংস বিক্রেতা বিভিন্ন জায়গা থেকে আনাজপাতি সংগ্রহ করে মফসসল- গঞ্জে আসেন, তাঁদের পক্ষে সকাল ১০টার মধ্যে বিকিকিনি শেষ করে ঘরে ফেরা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এসব বিভিন্ন কারণে বিশেষত মাছ-মাংস-সবজি বাজারে মূল্য ঊর্ধ্বগামী। বিভিন্ন শাকসবজির অভাবও দেখা দিয়েছে। জনসমাগম হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট সময়ে, ফলে আংশিক লকডাউনের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে।

উত্তরবঙ্গের যে সব জায়গায় সাপ্তাহিক বা দ্বিসাপ্তাহিক হাট বসে, সেখানে পার্শ্ববর্তী গ্রামগঞ্জ থেকে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন। সরকারি সময়সূচির নির্দেশিকায় সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন সেইসব গরিব ক্রেতা-বিক্রেতা।
এই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য আংশিক লকডাউনের সময়সূচি স্থানিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে ঠিক করা দরকার। স্থানীয় পঞ্চায়েত, ব্যবসায়ী সমিতি ও পুলিশ প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্মতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। এতে একদিকে যেমন সবজি-মাছ-মাংস বিক্রেতা উপকৃত হবেন, সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের খাদ্যসংকটও দূর হবে। বাস্তবায়িত হবে করোনা মোকাবিলার শপথ। এ বিষয়ে সরকার ও প্রশাসনকে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে।
ডাঃ পার্থপ্রতিম, বানারহাট, জলপাইগুড়ি।   

 

Join our mailing list Never miss an update