তিন বাগানের শ্রমিকরা প্রদর্শনী দেখলেন একসঙ্গে; ১২ আগষ্ট ২০১৪; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
নাগরাকাটা, ১১ আগষ্ট: ডুয়ার্সের তিন বাগানের শ্রমিকরা একসঙ্গে বসে এনকেফেলাইটিসের ওপর সচেতনামূলক অডিয়ো ভিশুয়াল প্রদর্শনী দেখলেন। সোমবার বিকেলে রাজ্য সরকার অধিগৃহীত মহুয়া চা বাগানের উদ্যোগে ওই প্রদর্শনীটির আয়োজন করা হয়। মহুয়ার শ্রমিকরা ছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন পাশের দলসিংপাড়া ও তোর্ষা চা বাগানের শ্রমিকরাও। প্রোজেক্টরের সাহায্যে বড়ো পর্দায় দেখানো এই বিশেষ কর্মসূচীটির পরিচালক বানারহাটের প্রকৃতিপ্রেমী ও সামাজিক সংগঠন ‘ডিয়ার’।
লাগাতার কয়েকদিন ধরেই ওই সংগঠনের দুই শীর্ষকর্তা তথা সমাজসেবী ডাঃ পার্থপ্রতিম ও সুকল্যাণ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে ডুয়ার্সের নানা চা বাগানে নিখরচায় এমন প্রদর্শনী চলছে। এনকেফেলাইটিস রোগের উৎস, উপসর্গ থেকে শুরু করে জীবাণুর ধারক শুয়োর এবং বাহক মশার ভূমিকা, কীভাবে রোগের আক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব ইত্যাদি সমস্ত কিছুই প্রামাণ্য ভিডিয়ো ক্লিপিংস, স্থিরচিত্র, ফুটেজ, সহ জীবন্ত আকারে পর্দায় ওই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে শ্রমিকদের সঙ্গে রোগের নানা বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভাষায় আলোচনা। এদিন মহুয়া চা বাগানের প্রদর্শনীটিকে ঘিরেও ব্যাপক সাড়া পড়ে। পরিবেশবান্ধব চা বাগান হিসেবে পরিচিত মহুয়ার স্থানীয় বিভিন্ন শ্রমিক মহল্লায় ইতিমধ্যেই সাফাই এর কাজ শেষ হয়ে গেছে। ছড়ানো হয়েছে মশা দমনকারী স্প্রেও। শুয়োর প্রতিপালনের নানা দিক নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসেছেন বাগান পরিচালকরা। মহুয়ার ম্যানেজার তথা বিশিষ্ট চা গবেষক রাম অবতার শর্মা বলেন, - ‘এদিনের প্রদর্শনীটি ছিল এককথায় দারুণ উপযোগী। সহজসরলভাবে তিনটি চা বাগানের শ্রমিকরা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।’