ডুয়ার্স দিবস

ডুয়ার্স দিবস

ডুয়ার্স দিবস; ১৯ জানুয়ারি ২০২১; আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত
১৪ জানুয়ারি ডুয়ার্স দিবস। ২০১০ সালের আগে রাজনৈতিক কারণে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ত। হিংসাত্মক ঘটনাও ঘটত। তৈরি হয়েছিল অবিশ্বাসের বাতাবরণ। ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর বানারহাটের সভায় একাধিক সংগঠন আলোচনায় বসেন। সভাপতিত্ব করেছিলেন শ্রমিক নেতা চিত্ত দে। সভায় ঠিক হয়, ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ডুয়ার্স ডে’ হিসেবে পালিত হবে এবং জাতি-ধর্ম-ভাষা নির্বিশেষে ডুয়ার্সবাসী দিনটিকে উদযাপন করবেন। দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ হল ১৮৬৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ইংরেজ সার্জেন ডেভিড ফিন্ড রেনি তৎকালীন , বড়লাটকে একটি চিঠিতে ডুয়ার্স এলাকার ভৌগোলিক গুরুত্ব, প্রাকৃতিক সম্পদ ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তারপর থেকে ব্রিটিশ সরকার এই এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারে সক্রিয় হয়ে ওঠে। রেলপথ, টেলিগ্রাফ, সড়ক যোগাযোগ গড়ে উঠতে থাকে দ্রুত গতিতে।

গত ১০ বছর ধরে ‘ডুয়ার্স ডে’তে ডুয়ার্স জুড়ে আলোক উৎসব পালিত হয়। বেনারসনিবাসী সাধনা বসু, চন্ডীগড়ের ভুজেন্দ্রনাথ রসাইলি, কৃষ্ণনগরের রীনা রাহা রায়, ওয়েলিংটনের তাপস ভাদুড়ী, ডালাস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের গ্রাউন্ড স্টাফ নবীন তিরকে-সহ দেশবিদেশে ছড়িয়ে থাকা ডুয়ার্সের মানুষজন এ দিন মোমবাতি জ্বালান। ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান হয়। মূল উৎসবটি হয় নাগরাকাটা আদিবাসী সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র। আলোচনায় অংশ নেন সুকল্যাণ ভট্টাচার্য, অমরনাথ ঝা, মনোজ ভুজেল, কাইলা সোনার, রামলাল মুর্মু প্রমুখ। ছিল অঙ্কন প্রতিযোগিতা। ধূপগুড়ি ডাকবাংলোয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিধায়ক মিতালি রায়। দেখানো হয় ডুয়ার্সের জনজাতির উপর নির্মিত দুটি তথ্যচিত্র। গারোপাড়ায় মায়েদের জন্য ছিল লুডো প্রতিযোগিতা। নাগরাকাটা, শিশুবাড়ি, আলিপুরদুয়ার সংলগ্ন চাছাখাতায় খাওয়ানো হয় খিচুড়ি।   


 

Join our mailing list Never miss an update