‘ডুয়ার্স উৎসব’কে চ্যালেঞ্জ ‘ডুয়ার্স ডে’র; ২ জানুয়ারি ২০১১; সকালবেলা পত্রিকায় প্রকাশিত
একদিকে সপ্তম ডুয়ার্স উৎসব, অন্যদিকে ‘ডুয়ার্স ডে’। জোর টক্কর লেগেছে এই দুই ডুয়ার্সমুখী অনুষ্ঠান নিয়ে। আগামী ১৪ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে, সরকারি অর্থানুকূল্যে শুরু হতে চলেছে সপ্তম ডুয়ার্স উৎসব। অপরদিকে, ডুয়ার্স উৎসব পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থার উদ্যোগে একইদিনে পালিত হতে চলেছে ‘ডুয়ার্স ডে’। ডুয়ার্সের বানারহাট, কালচিনি, বীরপাড়া, জয়গাঁ, হ্যামিল্টনগঞ্জ, রাজাভাতখাওয়া, বক্সাফোর্ট কুমারগ্রাম, ফালাকাটা, আলিপুরদুয়ারসহ ১১টি ব্লকের প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকায় আগামী ১৪ জানুয়ারি গুণীজন সংবর্ধনা, রাখীবন্ধন, মন্দির-মসজিদ-গির্জা-গুরুদ্বারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে পালিত হবে ডুর্য়াস ডে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ডামাডোল অশান্ত ডুয়ার্স বর্তমানে এই দুটি একমুখী উৎসবের প্রতিক্রিয়াতে উত্তেজনাপূর্ণ। ডুয়ার্স উৎসব চালু হয়েছিল ২০০৪ সালে। মূলত, ডুয়ার্সের জনজাতি সংস্কৃতি, পর্যটন ও ভৌগোলিক বৈচিত্র্যকে জনমানসে তুলে ধরতে। এবার এই উৎসবের দায়িত্বভার প্রশাসনের হাত বদল হয়ে পড়েছে পুরসভার কাঁধে। উৎসব কমিটির সম্পাদক তথা পুরপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, ডুয়ার্সের অপরূপ সৌন্দর্যকে পাথেয় করে পর্যটনের বিকাশ ও এখানকার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে দেশের কাছে তুলে ধরাই এই উৎসবের লক্ষ্য।
অপরদিকে, ‘ডুয়ার্স-ডে’ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা তথা কমিটির সম্পাদক পার্থপ্রতিম জানান, ডুয়ার্সের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ফিরে এই উৎসব হওয়ার কথা হলেও শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ারেই এই উৎসব কেন প্রতিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাও দেখা দরকার। তিনি আরও বলেন, ‘১০ দিন ধরে এই উৎসবে স্থানীয় মানুষেরা প্রাধান্য পান না, বহিরাগত শিল্পী আনা হয়। আমরা ডুয়ার্স-ডে পালন করছি অশান্ত ডুয়ার্সে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার তাগিদে।’