উন্নয়নের দাবিতে সরব ডুর্য়াস তরাই নাগরিক মঞ্চ; ৬ জুন ২০০৯; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
বানারহাট, ৫ জুন:- ডুয়ার্স-তরাই নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে বানারহাট ব্যবসায়ী সমিতি ভবনে বৃহস্পতিবার এক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ওদলাবাড়ি, মালবাজার, হ্যামিলটনগঞ্জ, কালচিনি, আলিপুরদুয়ার এলাকার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে ভবিষ্যত কর্মপন্থা ঠিক করেন।
আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সভাপতি ও নাগরিক মঞ্চের কার্যকরী সভাপতি ল্যারি বোস বলেন, ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় আছে নানা সমস্যা। ২০০১ সালে মাল মহকুমা গঠিত হলেও আজ পর্যন্ত তা পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। আলিপুরদুয়ারকে অবিলম্বে জেলা ঘোষণা করা দরকার। হ্যামিল্টনগঞ্জের জাগরণ মঞ্চের পক্ষে এন বর্মন বলেন, এলাকার বহু মানুষের বসতবাড়ির জমির কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। ফলে, ব্যাংকের ঋণ থেকে শুরু করে আরও বহু বিষয় থেকে তার বঞ্চিত। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করা দরকার। ডুয়ার্স করিডোর মুভমেন্ট কমিটির পক্ষে শংকর ঘোষ বলেন, পিছিয়ে পড়া ডুয়ার্স বিভিন্নভাবেই বঞ্চিত। অবিলম্বে ডুয়ার্স-তরাই- এর ভিতর দিয়ে প্রস্তাবিত পথে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের কাজ শুরু করতে হবে। তা না হলে এলাকার পর্যটন শিল্প বা অন্যসব উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাবে। নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক বিজয় বড়–য়া বলেন, নাগরিক মঞ্চ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ। এই এলাকায় প্রয়োজনীয় হিন্দি স্কুল না থাকায় বহু ছাত্রছাত্রী প্রাথমিক পাঠ শেষ করে হাইস্কুলে ভরতি হতে পারছেন না। এখানে হিন্দি কলেজ স্থাপিত হওয়াও দরকার। ‘ডিয়ার’- এর সভাপতি ডাঃ পার্থপ্রতিম বলেন, এই এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বিধানসভা ও লোকসভায় এলাকার সমস্যার কথা সঠিক ভাবে তুলে ধরতে পারছেন না। তাই স্বাধীনতা লাভের এত বছর পরেও ডুয়ার্সে নতুন করে কোনো শিল্প গড়ে ওঠে নি। এই বৈঠকে মালবাজার থেকে চ্যাংরাবান্ধা পর্যন্ত পুনরায় ট্রেন চালু করার জন্য রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এলাকার পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের প্রস্তাব নেওয়া হয়। সম্পাদক বলেন, আবেদন-নিবেদন করে কাজ না হলে আগামীদিনে বিক্ষোভ , পথ অবরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি নেওয়া হবে।