বিজ্ঞান ক্লাব সন্মেলন; সোমবার ১৪ জানুয়ারি. ১৯৯১; দৈনিক বসুমতী পত্রিকায় প্রকাশিত
গত ২৩-২৭ ডিসেম্বর বালিয়া নফরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ে গড়িয়া বিজ্ঞান সঙ্ঘের উদ্যোগে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া সায়েন্স ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের দ্বাদশ জাতীয় বিজ্ঞান সঙ্ঘ সন্মেলন-৯০ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডাঃ সুশীল মুখোপাধ্যায় বলেন, তাঁদের ছোটবেলায় এত বেশি বিজ্ঞান প্রদর্শনী হত না। বহু ক্লাব তখনকার দিনে গঠিত হয়েছিল, আবার ভেঙ্গেও গেছে, তবে আবার অনেক ক্লাব গঠিত হয়েছে তার কারণ যারা বিজ্ঞান শিক্ষা পেয়েছে তাদের কাছে সমাজের অনেক কিছু দাবি আছে। সেই দাবি মেটাতে পারা যায় এই সমস্ত বিজ্ঞান ক্লাবের মাধ্যমে। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া সায়েন্স ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে পার্থপ্রতিম বসু বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞান মানসিকতা ততটা আশাবাদী নয়। এখনও সমাজে রূপ কানোয়ারের ঘটনা ঘটে, ভূতরে ঘটনায় মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়। মানুষের মধ্যযুগীয় ধারণা এখনও বর্তমান। তিনি জানান ইস্টার্ন ইন্ডিয়া সায়েন্স ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে এবং আজও বিভিন্ন বিজ্ঞান ক্লাবের স্বাতন্ত্র বজায় রেখে মানুষের কাছে বিজ্ঞান সচেতনতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডঃ বিশ্বরঞ্জন নাগ, ডঃ মনীন্দ্র-নাথ মুখোপাধ্যাায়, ডঃ নৃপেন পুরকাইত প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
প্রসঙ্গ উল্লেখ্য এবারের সন্মেলনে সত্তরটাবিজ্ঞান সঙ্ঘ এবং ১২০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। এবারের সন্মেলনে বিভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ক মডেল, প্রশ্নোত্তরের আসর, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা এবং বিতর্ক সভার আয়োজন করা হয়েছিল, এ ছাড়াও বিভিন্ন তথ্যচিত্র, স্লাইড প্রদর্শন, ভিডিও প্রদর্শন, দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে নক্ষাদি দর্শন, কলকাতা ৩০০ বছর উদযাপন এবং স্যার আইজাক নিউটন জন্মদিবস পালন প্রভৃতি অনুষ্ঠান হয়।
বর্তমানে বিজ্ঞান প্রদর্শনীর ওপর মানুষ অনেক বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে, তবে শুধু মাত্র দেখলেই চলবে না বা কৌতুহল নিবারনটাই আসল নয় এর আসল কারণ অনুসন্ধান করা দরকার, সূক্ষ তত্ত্বটা জানা দরকার। তবেই বিজ্ঞান শেখা যাবে এবং বিজ্ঞানের সমাদর সেই ভাবেই হবে।