না জেনে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪০৯ বৃহস্পতিবার; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
গত ১২ ও ১৯ মে ২০০২ স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত ‘হাঁপানি চিকিৎসার ক্ষেত্রে গণপ্রতারণা’ শীর্ষক লেখাটি পড়ে একই সাথে বিরক্তি ও হাসি এল। লেখকদ্বয় অশোক পাশোয়ান ও দিলীপ পাল এই প্রবন্ধে শুধু যে তাদের অজ্ঞতাই প্রকাশ করেছেন তাই নয় পাঠককে হতাশ ও হতবাক করেছেন। হাঁপানির মূল কারণ ও তার প্রকারভেদ লেখকদের জানা নেই।
হাঁপানির মধ্যে অনেক প্রকারভেদ আছে। তারমধ্যে ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। আমাদের শ্বাসনালীর অনেকগুলি শাখা-প্রশাখা রয়েছে। যেমন -ব্রঙ্কাস, ব্রাঙ্কিওল, টার্মিনাস ব্রঙ্কিওল ইত্যাদি। আমাদের আশেপাশের বায়ুমন্ডল থেকে অক্সিজেন এদের মাধ্যমেই ফুসফুসের গভীরে পৌঁছায় ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস প্রশ্বাসের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যায়।
যদি কোন কারণে এই নালিগুলি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল (Hyper sensitive) হয়ে পড়ে এখন বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনায় উদ্দীপিত (Irritable) হয়। ফলে বায়ু চলাচলের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। ধুলো, ধোঁয়া, ঠান্ডা, ফুলের রেণু ও বিশেষ কতগুলি খাবারে শ্বাসনালীগুলি উদ্দীপিত হতে পারে ও তা থেকে আক্ষেপ বা স্প্যাজম শুরু হয়। ফলে ফুসফুসে বাতাস ঠিকমতো ঢুকতে বা বেরোতে পারে না। রোগীর শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকের ভেতর সাঁই সাঁই আওয়াজ হয়।
এই অসুখ কিছুটা বংশগত। তবে অ্যালার্জি জনিত হাঁপানির প্রভাব গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলিতে বেশি। বায়ুদূষণের সঙ্গে অ্যাজমার সরাসরি যোগ আছে। বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, ভাসমান ধূলিকণা এসবের পরিমাণ বেড়ে গেলে হাঁপানির আক্রমণ বাড়তে দেখা যায়। কলকাতা, দিল্লী প্রভৃতি শহরে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বেশি।
যাদের ফুলের রেণুতে অ্যালার্জি আছে, তাদের ওই ফুল ফোটার ঋতুতে শ্বাসের টান বাড়ে। তা সে ঘাসফুল, সুপারিফুল, পেঁপেফুল, চা বাগানের ফুল যা কিছু হতে পারে। পার্থেনিয়াম গাছের জঙ্গলও অনেকের হাঁপানির কারণ। এছাড়া বাড়ির ধুলো-মাটি, পশুপাখির লোম অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ায়। তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলে ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টে বারবার সংক্রমণের জন্য পরবর্তীকালে হাঁপানির উপসর্গ দেখা দেয়।
মানসিক চাপ বা টেনশনের সঙ্গে হাঁপানির সরাসরি সম্পর্ক আছে। উদ্বেগ বা টেনশন বাড়লে হাঁপানি বাড়ে। রোগীর হয়তো গোলাপ ফুলের গন্ধে টান ওঠে। এরকম এক রোগীকে দেখেছি ক্যালেন্ডারে গোলাপের ছবি দেখলে তাতেও তার টান বেড়ে যায়। ছেলেমেয়ে স্কুল থেকে ফিরতে দেরি করলে মা হাঁপানিতে কষ্ট পান।
দেহের অ্যালার্জি পরীক্ষা করলে জানা যায় কার কিসে অ্যালার্জি। এটি সাধারণতঃ দু ভাবে জানা যায়। একটি স্কিন প্রিক টেস্ট ও অপরটি রক্তে ইমিউনোগ্লোবিউলিন-ই (Ig E) পদ্ধতিতে।
হাঁপানি রোগীকে টানের কষ্ট থেকে আরাম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে সব কারণে টান বাড়ে সেগুলিকেও প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রয়োজনে সাইকিয়াট্রিষ্ট ও ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিতে হবে।
অ্যালোপ্যাথিক মতে, রোগীর টান কমাতে স্যালবিউটামল, টারবিউটালিন, ডেরিফাইলিন প্রভৃতি ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে রোগীর কষ্ট লাঘব করা চিকিৎসারই একটি অঙ্গ।
হাঁপানিতে হোমিওপ্যাথি ওষুধের উল্লেখ করতে গিয়ে লেখকদ্বয় লিখেছেন- প্ল্যাসিবো ক্রিয়ার ঘটনা। আসলে আপনাআপনি সে হাঁপানি রোগী ভালো থাকেন তাঁর ক্ষেত্রেই কাকতলীয় ব্যাপার ঘটে হোমিওপ্যাথি ব্যবহারে।’- শ্রীপাশোয়ান ও শ্রীপালের এই উক্তি ক্ষমার অযোগ্য। অ্যাকোনাইট (Aconite. nap), ইপিকাক (Ipecac), আর্সেনিক আল্ব (Arsenic Alb) প্রভৃতি ওষুধ হাঁপানির চিকিৎসায় খুবই কার্যকারী। কলকাতার সল্টলেকস্থিত ভারত সরকারের 'ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথি' র গবেষকেরা দেখেছেন ব্যাসিলিনাম (Bacillinum), ইপিকাক প্রভৃতি ডাইলুসন ওষুধ প্রয়োগে রক্তের ইয়োসিনোফিল এর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়। ডাক্তারমাত্রই জানেন রক্তের ইয়োসিনোফিলের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে হাঁপানির ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে।
প্রবন্ধটি নেতিবাচক উদ্দেশ্যে ভরা। শ্রীপাশোয়ান ও শ্রীপালের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ও অজ্ঞতা হাঁপানির রোগী ও তাঁর পরিবারকে হতাশ করবে। লেখাটি পড়ে মনে হতে পারে হাঁপানির কোনো চিকিৎসা নেই। প্রসঙ্গত জানাই চিকিৎসার দ্বারা হাঁপানির অসুবিধাকে জয় করে পরবর্তীকালে বিশ্বজয় করেছেন এমন লোকও আছেন। জার্মানির সাঁতারু কর্নেলিয়া এন্ডার অ্যাকিউট অ্যাজমার রোগী ছিলেন। চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে ১৯৭৬ এর মিউনিখ অলিম্পিকে ১০০ ও ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইল, ১০০ মিটার বাটারফ্লাই বিভাগে সোনা এবং ৪ x ১০০ মিটার রিলেতে রুপো জিতেছিলেন। জাপানি জিমন্যাস্ট ইউকিও এন্ডো আজন্ম হাঁপানির রোগী ১৯৬০, ১৯৬৪ ও ১৯৬৮ এর অলিম্পিকে মোট ৫ টি সোনা ও ২ টি রুপোর পদক পেয়েছিলেন। আমাদের দেশে দৌড়বীর শ্রীরাম সিংহ, অভিনেতা অশোক কুমার হাঁপানির রোগী হয়েও জীবন খাতার পাতায় উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
লেখকদ্বয় লিখেছেন- ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি ‘অ্যাসমন’ নামের নব আবিষ্কৃত হাঁপানির ওষুধের বিরুদ্ধে নদীয়া জেলার শিমুরালিতে সেমিনারের আয়োজন করেছিল। এরদ্বারা কী বোঝাতে চাইলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের নস্যাৎ করে কিছু হাফজান্তা স্বঘোষিত যুক্তিবাদী চিকিৎসাবিজ্ঞানের শেষ কথা বলবে- দেশের এমন দুর্দিন বোধহয় এখনো আসেনি।
পরিশেষে জানাই উত্তরবঙ্গ সংবাদের স্বাস্থ্য বিভাগে অচিকিৎসকদের প্রলাপ প্রকাশিত হতে থাকলে পাঠককুল আন্তরিকভাবে ব্যথিত ও বিভ্রান্ত হবেন।
-ডাঃ পার্থপ্রতিম; বানারহাট; জলপাইগুড়ি
হাঁপানির চিকিৎসা ঘিরে বিতর্ক; সোমবার ১৬ আষাঢ় ১৪০৯; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
৩০ মে এবং ১২ জুন ‘উত্তরবঙ্গ সংবাদ’- প্রকাশিত যথাক্রমে ‘না জেনে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না’ এবং হাঁপানি চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি’ শীর্ষক চিঠি দু’টি আমাদের আমাদের নজরে এসেছে। চিঠি দুটি এমন একটা বিষয়কে ঘিরে যা নিয়ে আমাদের সংগঠন, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি কিছু কাজকর্ম করেছে। তা’ছাড়া প্রথমোক্ত পত্রে আমাদের সংগঠনের নামও উল্লেখিত হয়েছে। সে কারণে এ বিষয়ে আমাদের সংগঠনের তরফ থেকে কিছু কথা লেখার প্রয়োজন বোধ করছি। তবে দ্বিতীয় পত্রের প্রেক্ষিতে এখানে তেমন আলোচনার অবকাশ নেই, কারণ দ্বিতীয় পত্রের লেখক শ্রীচিত্রসেন বিশ্বাস মূল লেখাটিকে পক্ষপাতিত্ব ও অসম্পূর্ণতা দোষে দুষ্ট বলে অভিযোগ আনলেও তাঁর অভিযোগের সমর্থনে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ হাজির করেননি। সে কারণে তাঁর চিঠিটিকে আমরা আলোচনার যোগ্য বলে মনে করছি না।
প্রথম পত্রের লেখক ডাঃ পার্থপ্রতিম মূল প্রবন্ধের লেখকদের অজ্ঞতায় বিরক্ত হয়েছেন এবং হেসেছেন। কারণ ওই লেখকদ্বয় হাঁপানির ‘মূল কারণ’ জানেন না। এ প্রসঙ্গে সবিনয়ে জানাই, আমরাও লেখকদ্বয়ের এই দুর্দশার ভাগীদার; কারণ হাঁপানির ‘মূল কারণ’ আমাদেরও জানা নেই। হাঁপানির অসংখ্য অস্পষ্ট আপাত-কারণ আছে, যার একটি অতি সীমিত অংশের উল্লেখ আলোচ্য পত্রেও রয়েছে। কিন্তু হাঁপানির ‘মূল কারণ’ অর্থাৎ কিনা সেই বিশেষ প্রক্রিয়াটি যেটিকে রোধ করলে যে কোনও ধরনের হাঁপানি সারানো যাবে, চিকিৎসা বিজ্ঞান আজও তাকে চিহ্নিত করতে পারেনি। পত্রলেখক লিখেছেন, হোমিওপ্যাথি হাঁপানি সারাতে পারে না- এ ধরনের উক্তি নাকি ক্ষমার অযোগ্য। কিন্তু হাঁপানিতে হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতার সমর্থনে তিনি যা বলেছেন তাকে বিশেষ গ্রহণযোগ্য মনে হল না। তাঁর উল্লেখিত হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলিতে ইওসিনোফিল বাড়ে কি কমে, আমরা জানি না (হোমিওপ্যাথিক ওষুধ যেভাবে দেওয়া হয় তাতে ওষধি উপাদান থাকে না, তার ডাইলুশনের তত্ত্ব নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব না)। রক্তে ইওসিনোফিল বাড়ার অজস্র কারণ রয়েছে। ইওসিনোফিল বাড়লেই সবাই হাঁপানি নিয়ে হাজির হন না। ইওসিনোফিল বৃদ্ধি যদি হাঁপানির কোনো সূচকও হয়, তাহলে তাকে কমিয়ে হাঁপানি সারানো অনেকটা, ওই যাকে বলে, থার্মোমিটারের পারদ নামিয়ে জ্বর সারানোর মতো।
পার্থপ্রতিমবাবু লিখেছেন, হাঁপানির কোনও চিকিৎসা নেই- এই বক্তব্যের দ্বারা রোগী ও তার প্রিয়জনেরা হতাশ হতে পারেন। সে তো ঠিকই। এখন পর্যন্ত হাঁপানির তেমন চিকিৎসা নেই, কেবল উপশম আছে-এই সাদা-সাপ্টা সত্যি কথাটা রোগীদের বলে দিলে আশার যোগানদাররা তখন কোথায় যাবেন?
পত্রলেখক জানিয়েছেন, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি ‘অ্যাসমন’ নামক হাঁপানির ওষুধের বিরুদ্ধে যে সেমিনারের আয়োজন করেছিল, তার তাৎপর্য তিনি বুঝতে পারেননি। আমাদের মনে হয় তাঁকে এইটা বললে তিনি সহজে বুঝবেন যে, ‘ডাঃ’ উপাধির আড়ালে যাঁরা রোগীদের হতাশাকে পুঁজি করে প্রতারণা ও তস্করবৃত্তিতে রত, সমাজ থেকে তাদের উৎখাত করাই ওই সেমিনারের লক্ষ্য ছিল এবং সে লক্ষ্যে সামিল হয়েছিলেন সৎ ও সমাজ সচেতন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরাও। ওই সেমিনারের তাঁরাই ছিলেন বক্তা। আমাদের কর্মীরা ছিলেন শ্রোতা, শিক্ষার্থী।
ডাঃ পার্থপ্রতিমের আশঙ্কা, বিজ্ঞানীদের নস্যাৎ করে ‘হাফজান্তা, স্বঘোষিত যুক্তিবাদীরা’ চিকিৎসা বিজ্ঞানের শেষ কথা বললে দেশে দুর্দিন আসবে।
এখন দেখা যাচ্ছে, আমরা চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের নস্যাৎ তো করিইনি বরং তাদের সমর্থন ও সহযোগিতাই আমাদের পাথেয়। আর চিকিৎসা বিজ্ঞানের শেষ কথাও আমরা বলবার চেষ্টা করিনি, বরং তার গোড়ার কথাটাই বলবার চেষ্টা করেছি যে, বিজ্ঞানের অগ্রগতির মূল শর্ত হল বুজরুকি ও প্রতারণা নির্মূল করা।
‘হাফজান্তা, স্বঘোষিত যুক্তিবাদী’ হওয়ার মধ্যেও আমরা লজ্জার বিশেষ কিছু দেখি না। আমরা সবজান্তা নই, আবার সম্পূর্ণ অজ্ঞও নই- সুতরাং আমরা ‘হাফজান্তা’। আর বুজরুক ও প্রতারকরা কবে আমাদের যুক্তিবাদী বলে সার্টিফিকেট দেবে তার জন্যও আমরা অপেক্ষা করি না। অতএব আমরা ‘স্বঘোষিত যুক্তিবাদী’। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও দেশের দুর্দিনের সম্ভাব্য কারণগুলি সম্পর্কে তাঁর সঙ্গে আমরা একমত না হলেও দেশের দুর্দিন নিয়ে তাঁর যে দুশ্চিন্তা, আমরা তার শরিক। পাঠকদের জানানো দরকার, অ্যাকোনাইট, ইপিকাক, আর্সেনিক প্রভৃতি মধ্যযুগীয় চিকিৎসা-উপাদান ব্যবহার করে যাঁরা এই একবিংশ শতকেও রোগ সারাবার দাবি করে তারা আসলে সভ্যতাকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে চান মধ্যযুগেই। ১৯৮৩ সালেই ভারত সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোলার আর্সেনিক, টিংচার প্রভৃতির ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। (Gazette Notification No:X1014/1/83 Dated July 23, 1983 ) তা সত্ত্বেও হোমিওপ্যাথিতে সেগুলি ‘মহৌষধি’ হিসাবে পরিগণিত। আজও!
আমাদের দুশ্চিন্তা, চিকিৎসক ভেকধারী বুজরুকরা, যারা আর্সেনিক, ইপিকাক দিয়ে হাঁপানি সারানোর দাবি করে ‘ভেষজ ও প্রসাধনী আইন’ (১৯৯৬ সংশোধনী) কে (এই আইনের সিডিউল জে অনুসারে হাঁপানি সারিয়ে দেওয়ার দাবি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ) বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, তারা কেন শাস্তি পাবেন না?
দেবকুমার হালদার; দপ্তর সচিব, কেন্দ্রীয় কমিটি, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি, ৩১, প্রাণকৃষ্ণ সাহা লেন,
বরানগর, কলকাতা -৭০০০৩৬।