বদলি হার্টে ৩১ বছর!

বদলি হার্টে ৩১ বছর!

বদলি হার্টে ৩১ বছর!; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২২ আগস্ট ২০০৯; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
একবারই হার্ট বদল হয়েছিল তাঁর। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি হসপিটালে। আটাত্তরে। সেই হার্ট নিয়ে টানা ৩১ বছর বেঁচে থাকার রেকর্ড গড়ে মারা গেলেন টনি হুয়েসম্যান। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। ডায়াবেটিস, ক্যানসারের ভোগান্তিতে মৃত্যু হলেও তাঁর দান করে যাওয়া সেই হার্টটি আজও সবল। যখন হাই স্কুলের ছাত্র টনি, তখন নিউমোনিয়া ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ায় হার্টের বারোটা বেজে গিয়েছিল। কার্ডিওমায়োপ্যাথি-তে আক্রান্ত টনির হার্ট প্রতিস্থাপন করা ছাড়া উপায় ছিল না। হার্ট বদলের পর স্বাভাবিক মানুষের মতোই কাজকর্ম করে গেছেন ক্রীড়া সরঞ্জাম বিপণন কোম্পানির বিপণন অধিকর্তা টনি। বলতেন, জীবন বিপন্নকারী অসুখের মোকাবিলা করেও যে বেঁচে থাকা যায় তার জীবন্ত প্রমাণ এই আমি। উল্লেখ্য, টনির বোন লিন্ডার হার্টও বদলে নিতে দিয়েছিল কার্ডিওমায়োপ্যাথির জেরে। তিরাশিতে। কিন্তু লিন্ডা বেশিদিন বাঁচেননি। ১৯৯১ সালে মারা যান মাত্র  ২৯ বছর বয়সে। বোনের স্মৃতিতে নার্সিংয়ের ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি ডেটন-এ হুয়েসম্যান হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন টনি। কীভাবে হার্টের সুরক্ষা দিতে হয়, ছোটোদের তা শেখায় এই ফাউন্ডেশন।

ওষুধ আসছে
নতুন করে হাড় গজাবে, শিরদাঁড়া এবং শ্রোণির হাড়ে চিড় ধরলে দ্রæত সারিয়ে তুলবে, সর্বোপরি ঋতুজরায় পৌঁছোনো মহিলাদের চিড় হওয়া আটকাবে। এমন ওষুধ তৈরি করে ফেলেছে ব্রিটেন। ২০১০ সালেই বাজারে এসে যাবে সেই ওষুধ- ইনজেকশন, নাম ডেনোসুম্যাব। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এ গবেষকরা জানিয়েছেন, ডেনোসুম্যাব বছরে দুবার নিতে হবে দুটো ইনজেকশন। মেনোপজোত্তর অস্টিওপোরোসিসে ভোগান্তি রুখে দেবে এটি। শ্রোণিতে, মেরুদন্ডে চিড় ধরা এবং হাড় ভেঙে যাওয়া রুখবে ৪০ শতাংশ ও ২০ শতাংশ হারে। প্রস্টেট ক্যানসারের ভোগান্তিতে যখন হরমোন থেরাপি নিতে হয়, তখন হাড়ের ক্ষয় হয় এবং চিড় ধরার ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্টদের উপর ডেনোসুম্যাব প্রয়োগ করে দেখা গেছে, হাড়ের খনিজ উপাদানগত ঘনত্ব বেড়েছে। অ্যানড্রোজেন খামতির জেরে চিড়-টিড় ধরার ভোগান্তি কমেছে। হাড়কে পলকা বা দুর্বল করে যে প্রোটিন, সেই র‌্যাঙ্ক লিগ্যান্ড প্রোটিনকে শায়েস্তা করার প্রতিরোধী যোগ্যতা বাড়ে ডেনোসুম্যাবে। তবে বেশিরভাগ ওষুধের মতোই ডেনোসুম্যাবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। যেমন গাঁটে গাঁটে ব্যথা হওয়া, পিঠে ব্যথা হওয়া, ব্লাড প্রেসার হাই হওয়া, সেলুলাইটিস স্কিন ইনফেকশন হওয়া এরকম। ওষুধটি তৈরি করছে ক্যালিফোর্নিয়ার বায়োটেকনোলজি কোম্পানি অ্যামগেন। উল্লেখ্য, এই ইনজেকশন নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই প্রভাব-প্রতিক্রিয়া টের পাওয়া যায়, তিন বছর পর্যন্ত থাকে সেই প্রভাব।

Join our mailing list Never miss an update