কেউ কেউ পারেন

কেউ কেউ পারেন

কেউ কেউ পারেন; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৫ জুলাই ২০০৬; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
একুশ বছরে একদিনও ছুটি নেননি! ক্যাজুয়াল লিভ নয়, প্রিভিলেজ লিভ নয়, এমনকি সিক লিভও না! বাবার মৃত্যুতে ছুটি নেননি, ছেলের জন্মের সময়ও না। ছেলে অসুস্থ হলেও ছুটি নেননি, ভাইয়ের বিয়ের দিনেও অফিস কামাই করেননি। আর নিজে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, এমনটি ভাবতেই পারেন না। বাহান্ন বছর বয়সি ভি এম ল্যাভ। প্রতি বছর কোম্পানি এজন্য পুরস্কার দেয় তাঁকে। পুনের কল্যাণী কার্পেন্টার স্পেশাল স্টিলস লিমিটেডের ইলেকট্রিক্যাল। সুপারভাইজার এই ল্যাড। কারখানার প্রবেশপথের অদূরেই মুনধওয়া রেলগেট। সেই গেটের  কারণে ট্রাফিক জ্যাম প্রতিদিনের ঘটনা। কিন্তু সেই যানজটও তাঁকে আটকাতে পারেনি। কারণ, হাজিরা খাতায় ল্যাডের নামের পাশে লেটমার্ক নেই, একদিনও পথে হল দেরি - এরকম হয়ই নি যে। আরো বছর আষ্টেক চাকরি আছে। চাকরির শেষ দিনটি পর্যন্ত প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটা ধরে অফিস পৌঁছে যেতে চান।

বিষের স্বাদ
কেমন স্বাদ পটাশিয়াম সায়ানাইডের? যে খায় সে কি আর জানিয়ে যেতে পারে! খায় আর সঙ্গে সঙ্গে মরে যায়। তাহলে কী করে জানা যাবে, পটাসিয়াম সায়ানাইড ঝাল, মিষ্টি, টক নাকি তেতো? কেরলের কোচির এক স্বর্ণকার সেই কাজটা সেরে গেছেন। পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করলেও তাঁকে মনে রাখবেন চিকিৎসক মহল, বিজ্ঞানীরা। কোচির সেই স্বর্ণকারের নাম এম পি প্রসাদ। ১৭ জুন এসে উঠেছিলেন পাল্লাকড়ের এক হোটেলে। কাছাকাছি এক পানশালা থেকে মদ আনিয়েছিলেন। একটা প্লাস্টিকের প্যাকেটে করে পটাসিয়াম সায়ানাইডের গুঁড়ো নিয়ে হোটেলের কামরায় ঢুকেছিলেন স্বর্ণকার প্রসাদ। মদ্যপান করতে করতে জেলাশাসক সহ অনেককেই চিঠি লিখেছিলেন। কোনো ফাঁকে মদঘোরে কলমের পেছন দিকটাকে বদভ্যাসবশে মুখে ঢুকিয়েছিলেন। সেই পটাসিয়াম সায়ানাইডের বিষক্রিয়া হতে হতে যেটুকু সময় মিলেছিল, সেটুকু সময়ের মধ্যেই এম পি প্রসাদ লিখে যান, ডাক্তারবাবু পটাসিয়াম সায়ানাইডে জিভ খুব জ্বলে। বড্ডো তেতো এই বিষের গুঁড়ো। প্রসাদের পরিবার শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দাবি করেছেন, পৃথিবীতে এই প্রথম কেই পটাসিয়াম সায়ানাইডের স্বাদ বলে যেতে পেরেছেন। আমরা পেটেন্ট করাব।

কান সাফ করুন
 সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে চলেছেন? কানের ময়লা পরিষ্কার করে নিন। কানে ময়লা জমে থাকলে, অন্য সব দিক দিয়ে যোগ্য হলেও শেষমুহূর্তে গিয়ে হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে চাকরিটি। আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল সার্ভিসেসের ডিরেক্টর জেনারেল ভাইস অ্যাডমিরাল ডি কে সিং নিজে একজন দাঁত, কান, নাক বিশেষজ্ঞ। জানালেন, কান, নাক, গলার অসুখ থাকলে ফৌজে নেওয়াই হয় না।

তাতা টা টা
রবিবার মারা গেছে। বয়স হয়েছিল ৫৯। বৃদ্ধের নাম ছিল: তাতা। চুয়ান্ন বছর বয়সে দু-চোখেই ছানি পড়ে গিয়েছিল। নিউ ইয়র্কের ৯৫ মাইল উত্তরে বিয়ারসভিলের ছোট্ট এক জনপদ উডস্টকের বাসিন্দা ছিল এই তাতা। ১৯৪৭ সালের তীব্র ঝড়ের সময় তার গাছবাড়ি ভেঙে যায়, দুটো ডানায়ই খুব চোট লাগে। আর কোনোদিনও উড়তে পারেনি। প্রথমে ছিল কবরস্থানের গাছে, তারপর কবরস্থানের চৌকিদারের কাছে। এরপর পশুপ্রেমী ম্যানেটা পরিবারের কাছে ৫০ বছরেরও বেশি। তাতা ৬ বছর ধরে ছিল ক্রিস্টিন ফ্লোনস এর কাছে। তাতা, এক দীর্ঘজীবী কাক। করলন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখি বিশারদ অধ্যাপক কেভিন ম্যাকগোয়ান জানাচ্ছেন, বাইরে বাইরে খুঁটে খাওয়া কাক এতদিন বাঁচে না।
 

Join our mailing list Never miss an update