এখনই কমান

এখনই কমান

এখনই কমান; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২ জুলাই ২০০৫; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
বেশি কফি খাওয়া ভালো নয়। হার্ট অ্যাটাক  হতে পারে। স্ট্রোকও। আর কফির সঙ্গে সিগারেট হলে তো কথাই নেই, সর্বনাশ রোখে কার সাধ্যি। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন-এ এই হুঁশিয়ারি সহ একটি গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ এথেন্সের গবেষকরা জানাচ্ছেন, কফি খান যাঁরা, তাদের ধমনিগুলির স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়। ফলে, ধমনিতে রক্তপ্রবাহ বাড়লে একসময়তা ফেটে যায়। দিনে তিন কাপের বেশি কফি খান যাঁরা, তাঁরা এখনই কফি খাওয়া কমিয়ে ফেলুন।

মাথায় রাখুন
আবার ধরা পড়ে গেল নেসলে। শিশুদের গুঁড়ো দুধে আয়োডিন বেশি, প্রোটিন কম। নেসলে-র চেংচাং ওয়ান প্লাস মিল্ক পাউডার বাজার থেকে তুলে নিতে বলল চিন। ক-দিন আগে এক বছরের বেশি বয়সি শিশুদের বাড়বৃদ্ধির জন্য তৈরি নেসলাক গোল্ড থ্রি প্লাাস দুধে বেশি মাত্রায় আয়োডিন দিয়ে ফেলায় চিনের জনগণের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল নেসলে কোম্পানি।

রোগ উপহার
রোগ উপহার দিচ্ছেন ডাক্তাররা। জীবাণু সংক্রমণঘটিত সেইসব রোগের জেরে প্রতি বছর এক লাখ তিরিশ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে আমেরিকায়। ডাক্তারবাবুরাই নন, ওঁদের সহকারী শুশ্রুষাকর্মীরাও একই ধরনের অপরাধ করে চলেছেন। পরিবেশ থেকে যাতে জীবাণু সংক্রমণ না ঘটে, সেজন্য রোগীর শরীর ছোঁয়ার আগে ও পরে চিকিৎসক, শুশ্রুষাকারীদের পরিষ্কার করে হাত ধুয়ে নেওয়া নিয়ম। কঠোরভাবে এই নিয়মকে অনুসরণ করতে হবে, চিকিৎসকরা তা জানেনও। তা সত্ত্বেও যেটা হচ্ছে, বাইরে থেকে এসেই হাত না ধুয়ে তাতে একটা দস্তানা তথা গ্লাভস চড়িয়ে নিচ্ছেন। হাত না ধুয়ে গ্লাভস চড়িয়ে নেওয়া মানে তো জীবাণুকুলকে স্থায়ী আস্তানা গড়ায় সাহায্য করা। অধিকাংশ রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন মেথিসিলিন-রেজিসট্যান্ট স্ট্যাফাইলোকক্কাস আউরিয়াস-এ। এই এম আর এস এ আক্রান্তদের মাসের পর মাস হাসপাতালে রাখতে হয়। সংক্রমণঘটিত টিস্যুগুলিকে কেটে বাদ দিতে হয়। এই স্টাফ জীবাণু সংক্রমণজনিত রোগের হার ৬০ শতাংশের উপরে পৌঁছে গেছে। পঁচানব্বই সালে ছিল ২২ শতাংশ। ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডে একসময় এই ধরনের জীবাণু সংক্রমণ ঘটিত রোগের বহর ব্যাপক বেড়ে গিয়েছিল। হাত ধোয়া, হাসপাতালে ঢুকে বাইরের জামাকাপড় বদলে নেওয়া, সমস্ত চিকিৎসার সরঞ্জামকে জীবাণুমক্ত করে রাখা, হাসপাতালের কক্ষগুলির প্রতিটিকে তকতকে সাফ রেখে ওইসব দেশ এই ধরনের সংক্রমণ ঘটিত রোগের হারকে ১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে সফল হয়েছে। ওইসব দেশে ডাক্তার, নার্স সহ রোগীর শুশ্রুষায় নিযুক্ত  সমস্ত কর্মীকে এমন অ্যাপ্রন তথা অঙ্গাবরণী পরতে দেওয়া হয়; যা একবার ব্যবহারের পর পুড়িয়ে ফেলা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়ামাত্রই রোগীদের পোশাকও পাল্টানো হয়।
  

Join our mailing list Never miss an update