ভায়গ্রা-পুত্র

ভায়গ্রা-পুত্র

ভায়গ্রা-পুত্র; ডাঃ পার্থপ্রতিম; ৮ নভেম্বর ২০০৮; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
অ্যাভানাফিল। পুরুষাঙ্গকে দৃঢ়তা প্রদানকারী এই ওষুধটি ১৫ মিনিটেই যৌন উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলা শুরু করবে। দেড় ঘন্টা স্থায়ী হবে এর প্রভাব। অ্যাভানাফিলের আবিষ্কর্তা ইতালির চিকিৎসা বিজ্ঞানী প্রফেসর (ডা.) ফ্রান্সিসকো সাসো জানিয়েছেন, হার্টের ভোগান্তি উপশমে যাঁরা ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁরাও এটি নিশ্চিন্তে গলাধঃকরণ করতে পারবেন। ভায়াগ্রার চেয়ে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। রোমের স্যাক্রেড হার্ট ইউনিভার্সিটিতে ওষুধটির পরীক্ষা চলছে। উল্লেখ্য, ভায়াগ্রা তথা সিলডেনাফিল জাতীয় ওষুধে যৌন উদ্দীপনা জাগে খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে। সেই প্রভাব থাকে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা।

টিউমারে পেট ফুলে...
১৪ মাস বয়সি এই ছেলের পাকস্থলিতে টিউমার বাড়তে বাড়তে ৩ কিলো ৩০০ গ্রাম ওজনের হয়ে গিয়েছিল। পেটটা বেড়ে গর্ভবতী রমনীর পেটের মতো হয়ে গিয়েছিল। শরীরের ওজন হয়ে গিয়েছিল ১১ কিলোগ্রাম। অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে পূর্ব টিমোরে বাড়ি শিশুটির। স্থানীয় এক চিকিৎসক আবিষ্কার করেন, যেভাবে টিউমারটি বেড়ে চলেছে তাতে শিশুটি আর বেশিদিন বাঁচবে না। সম্প্রতি এক চিকিৎসা জাহাজ সেখানে গিয়ে পৌঁছলে জাহাজের চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিশুটিকে। সেই চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নিউজিল্যান্ডে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানকার ওয়েলিংটন হসপিটাল ২ ঘন্টার অস্ত্রোপচারে শিশুটির টিউমার কেটে বের করে আনা হয়। এখন সুস্থ হয়ে পূর্ব টিমোরের বাড়ি ফেরার পথে সে। শিশুটির নাম : অ্যালেক্স গোনজাগা। নির্দোষ গোত্রের টিউমার হলেও শিশুটির ক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছিল, বলাই বাহুল্য। কেননা, টিউমারটির বাড়বৃদ্ধিতে কিডনি সহ প্রধান দেহযন্ত্রগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ত। অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. ব্রেডোন বাউকেট জানিয়েছেন, একরকম মৃত্যুমুখ থেকেই ফিরিয়ে আনা গিয়েছে অ্যালেক্সকে। তাঁর কথায়, অ্যালেক্সের এভাবে বেঁচে ফেরা ওদের গ্রামে চিকিৎসা জগতের সাফল্য সম্পর্কে দুরন্ত আশাজ্ঞাপক বার্তা পৌঁছোবে। গ্রামের মানুষের মধ্যে চিকিৎসা সম্পর্কে আগ্রহ জাগবে।

হাঁপানির কষ্টে
হাঁপানির শ্বাসকষ্ট লাঘব করবে রেস-কিউ। একটি ট্যাবলেট মুখে নেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে আরাম মিলবে। ১২ ঘন্টা পর্যন্ত সেই আরাম অব্যাহত থাকবে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ এটি। ট্যাবলেট আকারে বাজারে ছেড়েছে অশোকা লাইফসায়েন্স লিমিটেড। হাঁপানির  কষ্ট লাঘবকারী এই ওষুধটির তৈরি করেছে যাদবপুর  বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি বিভাগের গবেষক-ব্জ্ঞিানীরা। বাসক, তালিসপত্র, নিশাদল, কাকড়াসিংহি, সুন্তি, ষষ্ঠীমধু, দারচিনির মতো কিছু ভেষজ নির্যাস মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে ওষুধটি। জল দিয়ে গিলে নয়, মুখে রেখে খেতে হবে। মুখে থাকা অবস্থাতেই গলতে থাকবে। মুখে রেখে খাওয়ার জন্য এই ওষুধের বেশিটাই সরাসরি রক্তে যেতে পারে। অন্ত্রে গিয়ে নষ্ট হয় সামান্যই। উল্লেখ্য, এই ওষুধের জন্য তালিসপত্র আনতে হয়- তিব্বত থেকে। রেস-কিউ ১০টি ট্যাবলেটের একটি পাতার দাম ৫৫ টাকা।

আর্থ্রাইটিস সারে!
২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত আর্থ্রাইটিস সারে লেখাটি পড়ার পর অনেকেই জানতে চেয়েছেন, আপেল সাইডার ভিনিগার কোথায় পাওয়া যাবে। যেসব দোকানে কেচআপ, সস, ভিনিগার পাওয়া যায়, সেসব দোকানেই মিলবে। বিগবাজারেও পেতে পারেন। কলকাতায় নিউমার্কেট সহ বহু জায়গায় পাওয়া যায়। ৪৭৩ মিলিলিটারের বোতল ১১০ টাকা, ৯৫০ মিলিলিটার ১৮০ টাকা।   

Join our mailing list Never miss an update