শুয়োরের ফুসফুসেই

শুয়োরের ফুসফুসেই

শুয়োরের ফুসফুসেই; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ দশ; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
শুয়োরের ফুসফুস দিয়েই চলবে মানুষের  ফুসফুসের কাজ। যাঁদের ফুসফুস বদলের দরকার, তাঁদের শরীরে মানুষের ফুসফুস বসাতে দাতার জন্য অপেক্ষার দরকার হবে না। আর মাত্র ৫ বছরের অপেক্ষা। একটি বিশেষ জিন পরিবর্তনের পর শুয়োরের ফুসফুস যে একদম মানুষের ফুসফুসের মতোই কাজ করছে। সেই  পরীক্ষায় সাফল্য মিলেছে। অনেকদিন ধরেই চেষ্টা চলছিল। আগে যেটা সমস্যা হচ্ছিল, শুয়োরের ফুসফুস মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের পর রক্ত জমাট (ডেলা) বেঁধে যাচ্ছিল। ফলে মানুষের দেহ ফুসফুসকে প্রত্যাখ্যান করছিল। মেলবোর্নের সেন্ট ভিনসেন্ট হসপিটালের বিজ্ঞানীরা শুয়োরের ডিএনএ থেকে গল জিন নামক অংশটি বাদ দিয়ে তাতে মানব জিন পুড়ে দিয়ে নতুন ধরনের শুয়োর তৈরি করেছেন।

সেই শুয়োরের ফুসফুসকে কৃত্রিম উপায়ে পরীক্ষা করার পর দেখেছেন,মানব শরীরে যেভাবে রক্ত ঢুকে যায় ফুসফুসে, সেভাবেই ঢুকছে  এবং অক্সিজেন নিয়ে বেরিয়ে আসছে। মেলবোর্নের আলফ্রেড হসপিটালের ডাঃ গ্নেন উইস্টল জানিয়েছেন, আমরা জিন পরিবর্তিত শুয়োরের ফুসফুস পরীক্ষার সময় দেখেছি, শুরু থেকে ৫-৬ ঘন্টা ধারাবাহিক মানুষের ফুসফুসের মতোই কাজ করে চলেছে সেটি। আগে যেটা হত শুয়োরের ফুসফুসকে মানুষের ফুসফুসের মতো ব্যবহার করার প্রক্রিয়া চালু হওয়ার দশ মিনিটের মধ্যে সব ধ্বংস হয়ে যেত।

যখন চাইছেন
যখন সন্তানের মা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন অতিরিক্ত খাদ্যআঁশ আছে এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গর্ভসঞ্চারের বয়স আছে এমন ২৫০ মহিলার উপর দুবছর ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন আমেরিকার গবেষকরা। তাঁরা দেখেছেন, অতিরিক্ত খাদ্যআঁশ যুক্ত খাবার প্রজননী সক্রিয়তা নষ্ট করে। বেশি বেশি করে অতি খাদ্যআঁশ যুক্ত খাবার যেমন রুটি, পাস্তা এবং অন্যান্য, এসব খেলে হরমোনের খামতি ঘটে। আর এই হরমোন খামতির কারণে যেটা হয়, মাসিক পর্বে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিগর্মন হয় না। ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার কোনোরকম সম্ভাবনাই থাকে না। ফলে সন্তানবতী হওয়া যায় না।
    এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে অ্যানোভুলেশন। ব্যাপক ব্যায়াম, উদবেগ স্ট্রেসের কারণেও হরমোন খামতি ঘটে অ্যানোভুলেশন হয়।



লেজারে আরাম
গ্রীবা তথা ঘাড়ের ব্যথায় দারুণ শুশ্রুষাকারী মৃদু-তীব্রতার লেজার রশ্নি। ব্যথা/প্রদাহ দমনকারী ওষুধের সমান শুশ্রুষাই মেলে। যেমন ঘাড়ের ধারে, পিঠের দিকে ঠিক যে জায়গায় ব্যথা, সেই এলাকায় লেজার রশ্নি ফেলে ৮২০ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকদের দাবি, ঘাড়ে বা পিঠে এই লেজার রশ্নি ফেলায় শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। ব্যথাও লাগে না। ত্বক ভেদ করে রশ্নি বেশ কয়েক সেন্টিমিটার ভেতরে চলে যায়। যাঁরা ঘাড়ের ব্যথায় খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন, তাঁদের এই লেজার ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই যন্ত্রণা কমে। যাঁদের ভোগান্তি ধারাবাহিক মিনিট পাঁচেকেই আরাম পান।

Join our mailing list Never miss an update