প্রেসার মাপুন দিনে ৪ বার

প্রেসার মাপুন দিনে ৪ বার

প্রেসার মাপুন দিনে ৪ বার; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
ব্লাড প্রেসার মাপার আগে আরামদায়ক ঘরে টেনসনহীন হয়ে জিরিয়ে নিন। অন্তত ৫ মিনিট। এসময় পা-দুটো চ্যাটালো করে মেলা থাকুক মেঝেতে। হার্ট বরাবর উচ্চতায় দুদিকে দু-হাত তোলা থাকুক অবশ্যই আরামপ্রদ অবস্থানে। চেয়ারের হাতল হার্টের অবস্থানের সমান্তরাল থাকাটা জরুরি এই জন্যই যে, হাত দুটো যদি হার্টের অবস্থানের থেকে অনেকটা নীচের দিকে থাকে তাহলে ব্লাড প্রেসার হাই ‘শো’ করবে। অন্যদিকে যদি বেশি উচ্চতায় থাকে তাহলে ব্লাড প্রেসার লো শো করবে। বাড়িতে বা কাছাকাছি দোকানে গিয়ে যাঁরা ব্লাড প্রেসার নিয়মিত মাপতে চান, তাঁদের বলি, প্রতিদিন একই সময়ে প্রেসার মাপুন। সকাল/ দুপুর / রাতে যখনই প্রেসার মাপতে চাইবেন, মাথায় রাখুন ভারি খাবার খাওয়ার পর পরই প্রেসার মাপতে যাবেন না।

কফি বা সিগারেট খাওয়ার আধ ঘন্টা না কাটা পর্যন্ত প্রেসার মাপবেন না। কফি বা সিগারেট খাওয়ার  পর পর প্রেসার মাপলে যেটা হবে প্রেসার বেশি হাই শো করবে। প্রেসার মাপা নিয়ে দুর্ভাবনা এড়াতে যেটা করতে পারেন, তা হল দিনে চারবার সকালে দুবার, সন্ধেয় দুবার করে টানা সাতদিন প্রেসার মাপুন। প্রথমদিনে দুবার করে চারবার যা মাপা হয়েছিল, সেগুলি ভুলে যান। বাকি ৬ দিনে ২৪ বার নেওয়া প্রেসারের মাপের গড় বের করে নিন। সেই হল আপনার গড় প্রেসার। এরপর সপ্তাহে একবার করে প্রেসার মাপান বা মেপে নিন। বেশিবার মাপার দরকার হলে চিকিৎসকই বলে দেবেন। অন্যদিকে প্রেসার মাপার হোম মনিটর যেটি রয়েছে আপনার, সেটি এক/দুই বছর বাদে উৎপাদক সংস্থার প্রতিনিধিদের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন, প্রেসার মাপার সময় যাতে ভুলচুক না ঘটে, তা নিশ্চিত করুন।

রিটালিনই ভালো
পড়াশোনায় অমনোযোগী? আগ্রাসী? এটা ওটা দিলেও সে পড়ে না কিংবা দুষ্টমি থামায় না। মস্তিষ্কের মধ্যে ডোপামাইন নামের রাসায়নিক স্বাভাবিকের চেয়ে কম মাত্রায় থাকে বলেই বাচ্চারা এরকম অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিজঅর্ডারে ভোগে। পুরস্কৃত/ তিরস্কৃত হওয়ার বোধটাই কাজ করে না। এদের রিটালিন দিয়ে চিকিৎসা করাই ভালো। দি জার্নাল অফ দি আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে জানানো হয়েছে।

Join our mailing list Never miss an update