মদেই উড়ছে

মদেই উড়ছে

মদেই উড়ছে; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২ এপ্রিল ২০০৫[ উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
গ্যাসোলিন চাই না। অ্যালকোহলেই উড়ছে প্লেন। ব্রাজিলে। আখের রস থেকে ইথানল। সেই ইথানলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইথানল পুড়িয়ে উড়ছে এক আসনের এই বিমান। মডেল ইএমবি ২০২ ইপানেমা-কে আকাশে ডানা মেলার অনুমোদন মঞ্জুর করেছে ব্রাজিলের বিমান মন্ত্রক। বিমানটি তৈরি করেছে নাইভা অ্যারোনোটিক্স ইন্ডাস্ট্রি। তাঁদের এক মুখপাত্র জানাচ্ছেন, এ বছর এ ধরনের ৭০ টি বিমান তৈরির বরাত পেয়েছেন ওঁরা। গ্যাসোলিনে যতটা দূষণ হয়, ইথানলে তেমনটি নয়। দামও গ্যাসোলিনের চেয়ে পাঁচ গুণ কম। ইথানলে চালিত বিমানের আয়ু যেমন বেশি, তেমনই সাত শতাংশ বেশি ক্ষমতাধর। শয়ে শয়ে ইথানলচালিত খুদে বিমান বানানো সারা। এবার বড়ো বিমানও বানাবে নাইভা।

ছিল ৬০, হল ৬১
এতদিন ৬০ ছিল। বাড়ানো হল এক বছর। এখন একষট্টি বছর বয়স পর্যন্ত বিমান চালাতে পারবেন বৈমানিকরা। প্রধান বৈমানিক, সহকারী বৈমানিক দু-ধরনের কাজের জন্যই এই বয়স বাড়ানো হয়েছে। উড়ান বাণিজ্য যত সম্প্রসারিত হচ্ছে, ততই বাড়ছে কমার্শিয়াল পাইলটের চাহিদা। সেদিকটা মাথায় রেখেই পাইলটদের অবসর বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মুখে দুর্গন্ধ? তাড়ান, তাড়ান
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে দই। দিনে দুবার করে দই খান। প্রতিবারে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম। ব্যাকটেরিয়া তথা জীবাণু পুরু হয়ে মুখের মধ্যে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। এই দুর্গন্ধ রোগ তথা হ্যালিটোসিস থেকে বাঁচায় দই। টক-দই খান। কলা কেটে টুকরো টুকরো করে দইয়ে ফেলে খান। অথবা কয়েক দানা আঙুর। এভাবে দেড় মাস চালিয়ে যান। মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টির জন্য দায়ী যে হাইড্রোজেন সালফাইড তার মাত্রা কমিয়ে আনা ছাড়াও অন্যান্য ক্ষতিকর সালফাইডের মাত্রাও রোধ করে দই।
    জাপানের ইয়োকোহামায় সুরুমি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ কেনিচি হোজো এবং তার গবেষক সঙ্গীরা মিলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। কদিন আগে বালটিমোরে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেন্টাল রিসার্চের তিরাশিতম বার্ষিক অধিবেশন হয়। সেখানে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দূর করতে দইয়ের এই ভূমিকা নিয়ে গবেষণাপত্র পেশ করেন ওঁরা।
এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছিল, যে সব মহিলারা সপ্তাহে অন্তত তিনদিন দই  খান, তাঁদের প্রস্রাবের নালিতে রোগজীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না। বিভিন্ন খাবার দাবার থেকে শরীরে এ ধরনের রোগজীবাণু ঢোকে। যাঁদের ঠিকঠাক পায়খানা হয় না, অন্ত্রজনিত অসুস্থতার কারণে পায়খানা করতে কষ্ট হয়, সমস্যা বেড়েই চলে, তাঁদেরও বাঁচায় দই।
ডাঃ কেনিচি হোজো-র পরামর্শ, যখন মনস্থ করে ফেললেন, নিয়মিত দই খাবেন, তখন প্রথম দিকে ধরুন মাস দেড়েক দুয়েক মাখন এবং আচার-টাচার খাওয়া বন্ধ রাখুন। চিনি ছাড়া এই টক-দই কখন খাবেন? প্রাতঃরাশ এবং দুপুরের খাবারের মাঝখানে। ফের লাঞ্চ এবং ডিনারের মাঝে। মানে বিকেলের দিকটায়। টক দইয়ের সঙ্গে জাম, গোলাপজাম, জামরুলও খেতে পারেন। কখনো-সখনো ট্যাপারি।

 রোদ মাখা জল খান
ঠান্ডা নয়, রোদ মাখা জল খান। এ গ্লাস জল রোদে রাখুন পাঁচ মিনিট। সরাসরি সূর্যালোকতাপিত সেই জল দেরি না করে গলায় ঢালুন। বাড়তি শক্তি মিলবে। মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে। বাড়ির সবাই, অফিসের সহকর্মীরা এরকম জল খেতে চাইলে গ্লাস বা জার, সিরামিকের পাত্র অথবা ধাতব কোনো পাত্রে জলভর্তি করে সরাসরি রোদ পায় এমন জায়গায় রাখবেন। মাত্র পাঁচ মিনিটই যথেষ্ট।

মুটিয়ে যাচ্ছেন
মুটিয়ে গেছেন? স্থুলত্ব রোগের শিকার হতে চলেছেন? খুব সাবধান। যৌন আহ্লাদ বোধ ক্রমশই ম্রিয়মান হবে। সক্রিয়তা হারাবে যৌনাঙ্গ। মুটিয়ে যাওয়া, রক্তে বেশি মাত্রায় কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া মানেই যৌন ক্রিয়ায় অক্ষম হয়ে পড়বেন। হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস রোগ থাবা বসাবে। এই গবেষণা তথ্য বেরিয়েছে জার্নাল অফ দি আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজিতে।

ই-কে লাই নয়
এতদিন ধারণা ছিল, ভিটামিন ই যৌবন ধরে রাখে, শরীরে বয়স বাড়ার ছাপ পড়তে দেয় না। শেষতম গবেষণা কী বলছে? বেশি ভিটামিন ই খেলে হার্ট ফেল করে মারাও যেতে পারেন। বিশেষ করে যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে বা যাঁদের ধমনিতে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বুকে ব্যথা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে এরকম হার্ট ফেলের ঘটনা ঘটতেই পারে। মানে মুত্যু হতেই পারে। এতদিন ধারণা ছিল, ভিটামিন ই হার্ট অ্যাটাক, ক্যানসার উপশমে সাহায্য করে। ১৬ মার্চ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে বেরিয়েছে, ‘হার্ট অ্যাটাক, ক্যানসারে কোনো উপকারই করে না ভিটামিন ই। করে না মানে, করার ক্ষমতা নেই।’ গবেষক দলের প্রধান শিকাগোর ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির কার্ডিওলজির প্রফেসর ডাঃ ইভানন জানাচ্ছেন, বেশি মাত্রায় ভিটামিন ই খেলে হার্ট তা ফেলিওয়রের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, এর একটা কারণ হয়, শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি বা পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভারসাম্যকে নষ্ট করে দেয় অতিরিক্ত ভিটামিন ই। আরো কিছু কারণ আছে বৈকি। সেগুলো খতিয়ে দেখা যাচ্ছে।

Join our mailing list Never miss an update