ছিল ৫৫০ গ্রাম

ছিল ৫৫০ গ্রাম

ছিল ৫৫০ গ্রাম; -ডাঃ পার্থপ্রতিম;২৭ ডিসেম্বর ২০০৮; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
গর্ভে মেয়ে তখন মাত্র ২৫ সপ্তাহের। ওজন সাড়ে পাঁচশো গ্রামের মতো। মায়ের প্রসব বেদনা উঠে যায়। ২৯ বছর বয়সি মা অ্যাঞ্জেলা ইয়ংয়ের গর্ভাশয়ে স্টেরয়েড ইনজেকশন দেওয়া হয় মেয়ের ফুসফুসের বাড়বৃদ্ধি বজায় রাখতে। পরদিন এম্মা নামের মেয়ের জন্ম দেন অ্যাঞ্জেলা। কম ওজনের জন্য জন্মের পরই এম্মাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। এম্মার না জুড়ে যাওয়া হার্টের ত্রুটি মেরামতের জন্য ৬ সপ্তাহের মাথায় অস্ত্রোপচার করতে হয়। অস্ত্রোপচার সফল হলেও এম্মার শরীরে নতুন ধরনের ভোগান্তি শুরু হয়। ঘন ঘন দম বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। দিনে ১২-১৬-১৮ বার শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। অ্যাঞ্জেলাই আবিষ্কার করেন, পায়ের নীচে টোকা মারলেই ফের শ্বাস নিতে শুরু করছে এম্মা, টোকা মারতেই ধড়ফড় করে উঠছে এম্মার বুক। এরপর কখনও নার্সরা, কখনও অ্যাঞ্জেলা এম্মার পায়ের নীচে টোকা মেরে মেরে ওর শ্বাসপ্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে গেছেন। ১৫ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ওভাবেই শ্বাসক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে। এরপর অবশ্য সেই সমস্যা দূর হয়ে গেছে। সেই মেয়ের বয়স এখন ১ বছর পার। এই বয়সে যে ওজন হওয়ার কথা, যতটা বড়ো হওয়ার কথা সেরকমই সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে ওয়াশিংটনের কো-ডুরহামের এই পুঁচকে মেয়ে।

খেতে পারত না
চার কিলো ১০০ গ্রাম নিয়ে জন্ম এই শিশুর। কিন্তু জন্মের পর থেকে কিছুই খেতে পারত না। মায়ের দুধও চুষতে পারত না। নল দিয়ে খাওয়ানো হত। জন্মের পর প্রথম ৪ সপ্তাহ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখতে হয়েছিল। কারণ মাঝে মাঝেই জ্ঞান হারাত সে। শরীর নীল হয়ে যেত। মুখ মুখে রেখে ‘রিসাসিটিটেশন’ করে প্রাণ সঞ্চার করে যেতে হয়েছে পুনঃ পুনঃ। মুখে জমে যাওয়া লালা বের করতে হত চোষক যন্ত্র দিয়ে। এই ছেলে ডেক্লান স্ট্রিঙ্গারকে নিয়ে বাইরে বেরলে সঙ্গে রাখতে হত ওই সাকশন মেশিন তথা চোষক যন্ত্র। প্রতি বছরই জন্মদিনে ডেক্লানের জন্য কেক বানিয়ে রাখতেন ওর মা র‌্যাচেল (২৭)। বাবা পল (২৮) আশায় আশায় থাকতেন এবার হয়ত ছেলে খেতে পারবে। প্রথম দুটো জন্মদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডাক্তাররা ধরতে পারেননি কী কারণে শক্ত খাবার খেতে পাছে না ডেক্লান। শেষমেশ গত গ্রীষ্মে অস্ত্রোপ্রচার করে নাক থেকে পাকস্থলি পর্যন্ত নল বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই নলের মাধ্যমে শক্ত খাবারকে  তরল করে খাওয়ানো হয়েছিল । তাতেই কাজ হয়। নল সরিয়ে দেওয়ার পর তরল খেতে শুরু করে কভেন্ট্রির ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের বাসিন্দা ডেক্লান। তৃতীয় জন্মদিনে ওর মুখে কেক তুলে দিতেই ও খেয়ে নেয়। এখন সমস্ত খাবার দাবারই খাচ্ছে ডেক্লান।

ম্যাঙ্কিক্যাপ এবং
শরীর থেকে উত্তাপ বেরিয়ে যাচ্ছে? শুধু মাথা ঢাকলেই হবে না, ঢাকতে হবে অন্যান্য অনাবৃত অংশও, তবেই শরীরের মধ্যে আটকে রাখা যাবে তাপ-উত্তাপ। এতদিন ধারণা ছিল, মাথা দিয়েই সবচেয়ে বেশি তাপ বেরিয়ে যায়। সে ধারণা ঠিক নয়। মাফলার, ম্যাঙ্কিক্যাপ, টুপিটুপি পরা না থাকলে মাথা দিয়ে তাপ বেরয় মাত্র ১০ শতাংশ হারে। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

Join our mailing list Never miss an update