স্রেফ বিস্কুট খেয়েই

স্রেফ বিস্কুট খেয়েই

স্রেফ বিস্কুট খেয়েই; -ডাঃ পার্থপ্রতিম; ২৯ মার্চ ২০০৮; উত্তরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত
পেশায় শেফ তিনি। নামি রেস্তোরাঁর পাচক। কতরকম জিভে জল আনা পদই না তৈরি করেন। কিন্তু ওইসব খাবার খাওয়া মানা তাঁর। শুধু খাওয়াই মানা নয়, রান্নার গন্ধে জিভে জল আসাও চলবে না। কেননা এইসব খাবার দাবার খাওয়ার কথা ভাবলেও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। ফলে, রন্ধন ও পুষ্টি বিষয়ে পড়াশোনা করে শেফ হওয়া এই মানুষটি যা কিছু রাঁধেন, তাঁর স্বাদগন্ধ কেমন হয়েছে তা টেস্ট করান অন্য কাউকে দিয়ে। রান্না করছেন, কিন্তু স্বাদগন্ধ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারছেন, এই বিদ্যে তাঁকে রপ্ত করতে হয়েছে মনস্তত্ত্ববিদ এবং পুষ্টিবিদদের সাহায্য নিয়ে।

ব্রিটেনের ডারহাম কাউন্টির শোটলি ব্রিজের সেল পেপে রেস্টুরেন্টের পাচক কী কী খান তবে? পাচক অ্যানডু ফরস্টার নিজেই জানাচ্ছেন, দিনে বড়ো দুই প্যাকেট বিস্কুট হলেই সেদিনের খাওয়া হয়ে যায়। ফিনফিনে মুচমুচে মিষ্টি বিস্কুট ‘ওয়েফার’ থেকে শুরু করে নানা ধরনের  বিস্কুট খান। অ্যানড্রু জানিয়েছেন, তাঁর বয়স যখন দুই বছর, তখন থেকেই স্রেফ বিস্কুট খেয়ে বেঁচে থাকা। পঁচিশ বছর ধরে বিস্কুটের ওপরই রয়েছেন। আর চা। বয়স যখন আঠারো মাস, তখন ডাক্তাররা তাঁর মাকে বলেছিলেন, আমার রোগটার নাম ইটিং ডিজঅর্ডার। অন্যদের মতো খাবার দাবার খেলে আমাকে অসুখে বিসুখে কাতর হতে হবে। হ্যাঁ, অন্য যে কোনও খাবার খেলেই অসুস্থ হয়ে পড়ি আমি। উৎকণ্ঠায় ভারাক্রান্ত হই। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগে না। কাজ করতে ইচ্ছা করে না। অ্যানড্রু যে এভাবে  দিনের পর দিন বিস্কুট খেয়েই দিন কাটাচ্ছেন, তা জানা যায় সম্প্রতি।  

Join our mailing list Never miss an update