যুদ্ধ ও পরিবেশ; ১৫ মে ও ১লা জুন ২০০৩; উত্তরের হাওয়া পত্রিকায় প্রকাশিত
যুদ্ধোন্মত্ত এই বিশ্বে পরিবেশ বিপন্ন তাই উজ্জ্বল পরমায়ু। যুদ্ধের এই ভয়াবহ উন্মত্ততার বিরুদ্ধে এবং পরিবেশ সচেতনতা বিকাশের পক্ষে জলপাইগুড়ি শহরের বিজ্ঞান সংস্থা ‘লাইট অব সায়েন্স’- এর উদ্যোগে গত ১০ এপ্রিল ‘যুদ্ধ ও পরিবেশ’ বিষয়ক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় স্থানীয় মাড়োয়ারী হিন্দী বালিকা বিদ্যালয়ে। ‘বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা..., সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে...., বিপুল তরঙ্গ কে ....., জলপাইগুড়ি রবীন্দ্র পরিষদের শিল্পীদের সমবেত সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
‘যুদ্ধ ও পরিবেশ’ শীর্ষক সেমিনারে যাঁরা বক্তা ছিলেন তাঁরা হলেন গৌতমেন্দু নন্দী, কৌশিক শিকদার, অধ্যাপক তন্ময় দত্ত এবং শুভাশিষ মাইতি। যুদ্ধ পরবর্তী তেজস্ক্রিয়তার কুপ্রভাবে মানুষের শরীরের ক্রোমজমের ডি. এন. এ, ও আর. এন. এ কিভাবে পরিবর্তিত হয় এবং যুদ্ধ জনিত শব্দ দূষণের ফলে স্বাভাবিক বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ যে মানসিক প্রতিবন্ধীতে পরিণত হোতে থাকে- বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে তা তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন ধ্বংসের কিনারায় দাঁড়িয়ে মানব সভ্যতার এই সংকটের সময় যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি পরিবেশ বিষয়ক নাগরিক গণচেতনা ও বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিতে হবে।
প্রতিটি বক্তার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেই ‘যুদ্ধ ও পরিবেশ’ বিষয়ে এক মনোজ্ঞ ভাষণ উপস্থাপনা করেন পশ্চিমবঙ্গ ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির সহ সভাপতি ডাঃ শুভাশিষ মাইতি এবং জলপাইগুড়ি আনন্দ চন্দ্র কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ডঃ সুজিৎ ঘোষ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লাইট অব্ সায়েন্সের সদস্য অধ্যাপক মনোতোষ প্রামানিক। বক্তাদের বক্তব্যের শেষে কালার ট্রান্সপেরেন্সি প্রোজেক্টারের সাহায্যে মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্রদের বিষয়ে আকর্ষণীয় স্লাইড শো পরিবেশন করেন ডুয়ার্স এক্সপ্লোরেশন এন্ড অ্যাডভান্সমেন্ট রিভেলির সভাপতি ডাঃ পার্থপ্রতিম।